ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

‘জুয়াড়ি’ ট্রাম্পকে ইরানের কড়া হুঁশিয়ারি, যুদ্ধের ইতি টানব আমরাই

  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ইরান যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ -ছবি রয়টার্স

প্রত্যাশা ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সশস্ত্র বাহিনীর পাল্টা হামলার বৈধ নিশানার পরিধি আরো বড় করে দিয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র।

ইরানে ইসরায়েলের ‘আগ্রসনে’ যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি ‘জুয়াড়ি’ অ্যাখ্যাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর খতম আল-আনবিয়া কেন্দ্রীয় সামরিক সদরদপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম জুলফাকারি বলেছেন, যা করেছে তার জন্য চড়া মূল্য চুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।

‘জুয়াড়ি ট্রাম্প, আপনি হয়তো যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু আমরাই সেই যুদ্ধের ইতি টানতে যাচ্ছি,’ রেকর্ডকৃত ভিডিও বিবৃতির শেষে ইংরেজিতে এমনটা বলেন জুলফাকারি।

শনিবার (২১ জুন) ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তেহরান কী করে তার জন্য বিশ্ব যখন অপেক্ষায় তখনও ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্পও মার্কিন হামলার পাল্টা জবাব দিলে এর পরিণতিতে তেহরানের সরকার ফেলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাণিজ্যিক কোম্পানির উপগ্রহের ছবিতে মার্কিন হামলার পর ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদোর উপরে থাকা পাহাড়ের গায়ে ছয়টি গর্ত দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমায় ওই স্থাপনাটি ধ্বংস যদি নাও হয়, তাও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, কেবল পাহাড়ে গর্ত দেখে ভেতরে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বোঝা যাবে নাা।
যদিও ট্রাম্প বলছেন, ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাটির অনেক নিচে। অব্যর্থ নিশানা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগে ইরানকে পাল্টা আঘাত যেন না করে সে ব্যাপারে সাবধান করেছিলেন। বলেছিলেন, ইরানি সরকারের উচিত ‘শান্তিতে রাজি হওয়া’, নাহলে ভবিষ্যত হামলা হবে ‘আরো মারাত্মক, আরো সহজ। তার এমন মন্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা আরো বেড়ে যেতে পারে বলে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন সাংবাদিকদের বলেছেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক বোমা লক্ষ্য করে তারা বাঙ্কারবিধ্বংসী বোমাসহ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ৭৫টি গোলা ছুড়েছিলেন, এর বাইরে মেরেছিলেন দুই ডজনের বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর স্থাপনার বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে যেতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক ওয়াচডগ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি। তবে হামলায় স্থাপনাগুলোর কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি, সিএনএনকে এমনটাই বলেছেন তিনি।

ঊর্ধ্বতন এক ইরানি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সিংহভাগই ফোরদো থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিল। রয়টার্স এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

তেহরান দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না এবং তাদের কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। মার্কিন হামলার পর তারা ইসরায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তেল আবিবের বেশ কয়েকটি ভবন গুঁড়িয়ে দিলেও এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা বা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেনি। তেহরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম হু হু করে বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। বৈশ্বিক অর্থনীতি ওলটপালট হতে দেখলে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহর তখন ওই জলসীমা মুক্ত করতে ছুটবে বলেই সবার অনুমান। মার্কিন নৌবাহিনীর এই বহরটি কাছাকাছি বাহরানেই থাকে।

বেহরুজ কামালভান্দি -ছবি: রয়টার্স

হামলা চালিয়ে ইরানের ‘পারমাণবিক জ্ঞান ধ্বংস করা যাবে না’: পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে ইরানের জ্ঞান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর জানিয়েছে। কামালভান্দি বলেছেন, ইরানে পারমাণবিক শিল্পের শেকড় আছে। এই শেকড় ধ্বংস করা যাবে না। আমরা ক্ষতির শিকার হয়েছি। কিন্তু পারমাণবিক শিল্প ক্ষতির শিকার হওয়া এবারই প্রথম নয়, বলেন তিনি। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিও একই কথা বলেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি “স্থানীয় পারমাণবিক জ্ঞানের” ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা “বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা যাবে না।

গত শনিবার (২১ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ওইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ স্যোশালে লেখেন-ইরানের ফর্দো,নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় খুবই সফল হামলা চালানো হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়াতেই ইরানের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হল।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘জুয়াড়ি’ ট্রাম্পকে ইরানের কড়া হুঁশিয়ারি, যুদ্ধের ইতি টানব আমরাই

আপডেট সময় : ০৫:৫০:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের সশস্ত্র বাহিনীর পাল্টা হামলার বৈধ নিশানার পরিধি আরো বড় করে দিয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র।

ইরানে ইসরায়েলের ‘আগ্রসনে’ যুক্তরাষ্ট্র যোগ দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি ‘জুয়াড়ি’ অ্যাখ্যাও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর খতম আল-আনবিয়া কেন্দ্রীয় সামরিক সদরদপ্তরের মুখপাত্র ইব্রাহিম জুলফাকারি বলেছেন, যা করেছে তার জন্য চড়া মূল্য চুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।

‘জুয়াড়ি ট্রাম্প, আপনি হয়তো যুদ্ধ শুরু করতে পারেন, কিন্তু আমরাই সেই যুদ্ধের ইতি টানতে যাচ্ছি,’ রেকর্ডকৃত ভিডিও বিবৃতির শেষে ইংরেজিতে এমনটা বলেন জুলফাকারি।

শনিবার (২১ জুন) ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে তেহরান কী করে তার জন্য বিশ্ব যখন অপেক্ষায় তখনও ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত হয়েছে।

এদিকে ট্রাম্পও মার্কিন হামলার পাল্টা জবাব দিলে এর পরিণতিতে তেহরানের সরকার ফেলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাণিজ্যিক কোম্পানির উপগ্রহের ছবিতে মার্কিন হামলার পর ইরানের ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদোর উপরে থাকা পাহাড়ের গায়ে ছয়টি গর্ত দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমায় ওই স্থাপনাটি ধ্বংস যদি নাও হয়, তাও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, কেবল পাহাড়ে গর্ত দেখে ভেতরে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বোঝা যাবে নাা।
যদিও ট্রাম্প বলছেন, ইরানের সব পারমাণবিক স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাটির অনেক নিচে। অব্যর্থ নিশানা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর আগে ইরানকে পাল্টা আঘাত যেন না করে সে ব্যাপারে সাবধান করেছিলেন। বলেছিলেন, ইরানি সরকারের উচিত ‘শান্তিতে রাজি হওয়া’, নাহলে ভবিষ্যত হামলা হবে ‘আরো মারাত্মক, আরো সহজ। তার এমন মন্তব্যের পর মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের তীব্রতা আরো বেড়ে যেতে পারে বলে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ড্যান কেইন সাংবাদিকদের বলেছেন, ইরানের তিনটি পারমাণবিক বোমা লক্ষ্য করে তারা বাঙ্কারবিধ্বংসী বোমাসহ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ৭৫টি গোলা ছুড়েছিলেন, এর বাইরে মেরেছিলেন দুই ডজনের বেশি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর স্থাপনার বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বেড়ে যেতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক ওয়াচডগ আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি। তবে হামলায় স্থাপনাগুলোর কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি, সিএনএনকে এমনটাই বলেছেন তিনি।

ঊর্ধ্বতন এক ইরানি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই উচ্চমাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের সিংহভাগই ফোরদো থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছিল। রয়টার্স এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

তেহরান দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না এবং তাদের কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ। মার্কিন হামলার পর তারা ইসরায়েলের দিকে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে তেল আবিবের বেশ কয়েকটি ভবন গুঁড়িয়ে দিলেও এখন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা বা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করেনি। তেহরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিলে বিশ্বজুড়ে তেলের দাম হু হু করে বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। বৈশ্বিক অর্থনীতি ওলটপালট হতে দেখলে মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহর তখন ওই জলসীমা মুক্ত করতে ছুটবে বলেই সবার অনুমান। মার্কিন নৌবাহিনীর এই বহরটি কাছাকাছি বাহরানেই থাকে।

বেহরুজ কামালভান্দি -ছবি: রয়টার্স

হামলা চালিয়ে ইরানের ‘পারমাণবিক জ্ঞান ধ্বংস করা যাবে না’: পারমাণবিক শক্তির বিষয়ে ইরানের জ্ঞান হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির আণবিক শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা এ খবর জানিয়েছে। কামালভান্দি বলেছেন, ইরানে পারমাণবিক শিল্পের শেকড় আছে। এই শেকড় ধ্বংস করা যাবে না। আমরা ক্ষতির শিকার হয়েছি। কিন্তু পারমাণবিক শিল্প ক্ষতির শিকার হওয়া এবারই প্রথম নয়, বলেন তিনি। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিও একই কথা বলেছিলেন। তার বক্তব্য ছিল, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি “স্থানীয় পারমাণবিক জ্ঞানের” ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, যা “বোমা হামলা চালিয়ে ধ্বংস করা যাবে না।

গত শনিবার (২১ জুন) রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ওইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ স্যোশালে লেখেন-ইরানের ফর্দো,নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় খুবই সফল হামলা চালানো হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়াতেই ইরানের পক্ষ থেকে এমন মন্তব্য করা হল।