নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্রমিকের লভ্যাংশ তহবিলের (ডব্লিউপিপিএফ-ওয়ার্কার্স প্রফিট পার্টিসিফিকেশন ফান্ড) ৫ শতাংশ বকেয়া আদায়ের দাবিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউসের সামনে মানববন্ধন করেছেন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর গ্রামীণফোনের চাকরিচ্যুত কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জিপি হাউসের সামনে জড়ো হয়ে মানববন্ধন করেন তারা। এতে দুইশতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মী অংশ নেন।
গ্রামীণফোন, বাংলাদেশের অন্যতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান, দীর্ঘদিন ধরে শ্রম আইন লঙ্ঘন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি তথাকথিত স্বেচ্ছায় অবসর এর নামে ৩ হাজার ৩৬০ শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে এবং শ্রমিকের পাওনা লভ্যাংশের বিলম্ব জরিমানা ও ন্যায্য পাওনা পরিশোধে অবহেলা করে চলেছে ।
গ্রামীণফোন ৫ শতাংশ বিলম্ব বকেয়া আদায় ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ‘আমরা গ্রামীণফোন লিমিটেডের সাবেক কর্মীরা ১৫ বছর ধরে আমাদের আইনগত ৫ শতাংশ ডব্লিউপিপিএফ ও ডব্লিউডব্লিউএফ বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে শ্রম মন্ত্রণালয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আদালতের নির্দেশনার আলোকে শান্তিপূর্ণ লড়াই করে আসছি। গ্রামীণফোন মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের দমন করার চেষ্টা করছে। আমাদের এই লড়াইয়ের সঙ্গে প্রায় ৩ হাজার ৩৬০টি পরিবার ও হাজারো শ্রমিকের বহু বছরের বঞ্চনা জড়িয়ে আছে।’
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘আমরা যারা এখানে আছি, আমরা ১৫ থেকে ২০ বছর গ্রামীণফোনে চাকরি করেছি। এই কর্মীরা নিজেদের শ্রম ঘাম দিয়ে গ্রামীণফোনকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে। অথচ ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে অন্যায্যভাবে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমরা আজ রিক্ত, নিঃস্ব। আমাদের দাবি ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানা পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।’
চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বারবার দাবি জানিয়েছি আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তারা তামাশা করেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তারা যদি আমাদের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে না দেয়, এই কোম্পানির চিহ্ন এ দেশে থাকবে না।’
আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, গ্রামীণফোন যদি আমাদের পাওয়া না দেয়, আর সরকার যদি তাদের আশ্রয় দেয়, তাহলে সরকারকেও পেটাতে পেটাতে রাস্তায় নামানো হবে। আমরা মস্তিষ্ক দিয়ে পেটাই, হাত দিয়ে না। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার না, অন্তর্বর্তী সরকার তা চিনি না। আমরা শুধু জানি, যারা আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।
এসি/আপ্র/০২/১২/২০২৫


















