ঢাকা ০২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

টিউলিপকে ‘দুনীতিগ্রস্ত’ বললেন ইলন মাস্ক

  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিক ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে টুইট করেছেন শীর্ষ ধনী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) কর্ণধার ইলন মাস্ক। নিজের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে দুবাইভিত্তিক উদ্যোক্তা এবং বক্তা মারিও নওফালের একটি পোস্ট শেয়ার করে মাস্ক লেখেন, ব্রিটেনের লেবার পার্টির শিশু কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী নিপীড়কদের রক্ষা করে, আর দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। টিউলিপ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

বাংলাদেশে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প থেকে টিউলিপের পরিবার ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই-সংক্রান্ত তদন্তে তার নাম এসেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তদন্ত করছে। বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরইমধ্যে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে।

শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি), দুই মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এর বাইরে ফ্ল্যাট বিতর্কেও জড়িয়েছেন টিউলিপ। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে তাকে একটি ফ্ল্যাট দেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি। ওই ব্যবসায়ী ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য মিলেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।

সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় এমন একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন, যেটি তার পরিবার পায় খালা শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে। হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডের ওই ফ্ল্যাট টিউলিপের বোন রূপন্তিকে তার টিনেজ বয়সে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য তখন রূপন্তি ফ্ল্যাটটি তার বোনকে দিয়ে দেন।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঢাকায় কাউন্টার থেকে চলবে ২১ কোম্পানির গোলাপী বাস

টিউলিপকে ‘দুনীতিগ্রস্ত’ বললেন ইলন মাস্ক

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক : যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টার (ইকোনমিক সেক্রেটারি) টিউলিপ সিদ্দিক ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলে টুইট করেছেন শীর্ষ ধনী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের (সাবেক টুইটার) কর্ণধার ইলন মাস্ক। নিজের ভেরিফায়েড এক্স হ্যান্ডেলে দুবাইভিত্তিক উদ্যোক্তা এবং বক্তা মারিও নওফালের একটি পোস্ট শেয়ার করে মাস্ক লেখেন, ব্রিটেনের লেবার পার্টির শিশু কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী নিপীড়কদের রক্ষা করে, আর দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিগ্রস্ত। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রীর পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিক পদত্যাগ করেন।

বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে তার নাম আসার পর থেকেই তার ওপর পদত্যাগের চাপ বাড়ছিল। যদিও টিউলিপ সিদ্দিক বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। লেবার পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকে টিউলিপ সিদ্দিক দেশটির ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া। টিউলিপ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে।

বাংলাদেশে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প থেকে টিউলিপের পরিবার ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড পর্যন্ত অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই-সংক্রান্ত তদন্তে তার নাম এসেছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তদন্ত করছে। বাংলাদেশে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ সিদ্দিক, তার খালা শেখ হাসিনা, মা শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। এরইমধ্যে শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে।

শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি), দুই মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তির হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে। এর বাইরে ফ্ল্যাট বিতর্কেও জড়িয়েছেন টিউলিপ। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লন্ডনে তাকে একটি ফ্ল্যাট দেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি। ওই ব্যবসায়ী ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ। বিনামূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য মিলেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।

সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় এমন একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন, যেটি তার পরিবার পায় খালা শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠজনের কাছ থেকে। হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডের ওই ফ্ল্যাট টিউলিপের বোন রূপন্তিকে তার টিনেজ বয়সে বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য তখন রূপন্তি ফ্ল্যাটটি তার বোনকে দিয়ে দেন।