সাহিত্য ডেস্ক: কলকাতায় অমর একুশে সাহিত্য উৎসবে কানাডা প্রবাসী নির্মাতা নাদিম ইকবাল পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের প্রামাণ্যচিত্র ‘ড. নূরুন নবী, আজীবন মুক্তিযোদ্ধা’র ৩১তম প্রদর্শনী করা হয়। প্রদর্শনী শেষে বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য এই প্রামাণ্যচিত্রে উঠে এসেছে। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয়দের অবদানের কথা আমাদের নতুন প্রজন্মের জানা দরকার। কলকাতার বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভাঘরে ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার বিকেলে অধ্যাপক পবিত্র সরকারের সভাপতিত্বে অমর একুশে সাহিত্য উৎসব উদযাপিত হয়। প্রবাসী বাঙালিদের সাংস্কৃতিক সংগঠন এনআরবি ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রনেতা কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরেও প্রবাস থেকে কীভাবে দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, চমৎকারভাবে তা তুলে ধরা হয়েছে। এই তথ্যচিত্রের নির্মাতা ও কুশলীদের সাহসী পদক্ষেপের জন্য বক্তারা ধন্যবাদ জানান। এর আগে বাংলাদেশ, আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিভিন্ন এলাকায় ৩১টি প্রদর্শনী হয়। প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একুশের শহীদদের স্মরণে স্বরচিত কবিতা পাঠ এবং স্থানীয় শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে একুশের গান ও দেশের গান পরিবেশন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পুবের কলমের সম্পাদক আহমদ হাসান ইমরান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কবি ডাঃ কাউসারী মালেক রোজী, সৌদি আরব প্রবাসী ডা. সমীর দত্ত, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. সাইফুল্লাহ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোস্তাক আহমেদ, অধ্যাপক ড. শেখ কামাল উদ্দীন, ভাষা চেতনা সমিতির সম্পাদক অধ্যাপক ড. ইমানুল হক, অধ্যাপক ড. মুহ. কুতুবুদ্দীন মোল্লা, অধ্যাপক ড. তৌসিফ আহমেদ, অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কবি আবু রাইহান, কবি অশোক মুখোপাধ্যায়, মৌসুমী দাস, চিত্র নির্মাতা মুজিবুর রহমান প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের দফতর সম্পাদক ও শেকড়কথা সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক কবি সাহানারা খাতুন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ওমর আলী। মঞ্চ সজ্জা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী করেন সাংস্কৃতিক সম্পাদক গৌতম চৌধুরী। সংগঠনের প্রতিষ্ঠার এক যুগের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন শিরিন সুলতানা।
আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ