ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

বৃষ্টির ফাঁকে তাসকিন-আবু জায়েদের দুর্দান্ত বোলিং

  • আপডেট সময় : ১১:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : বৃষ্টি আর ভেজা মাঠ মিলিয়ে খেলা শুরু হতে দেরি। খেলা শুরুর পরও দফায় দফায় বৃষ্টির হানা। তাতে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনের অনেকটাই গেল ভেস্তে। খেলা যেটুকু হলো, সেখানে দারুণ বোলিং উপহার দিলেন তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ চৌধুরি। নিউ জিল্যান্ডে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম দিনে মাউন্ট মঙ্গানুইতে সারাদিনে খেলা হলো স্রেফ ২৭.৩ ওভার। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড একাদশের রান ৫ উইকেটে ৭১ রান। বাংলাদেশের নতুন বলের দুই বোলার আবু জায়েদ ও তাসকিন মিলেই নিয়েছেন সব উইকেট। আবু জায়েদের শিকার ২৭ রানে ৩টি, তাসকিনের ২৬ রানে ২টি। উইকেটের পেছন লিটন দাস ক্যাচ নেন ৪টি। আবু জায়েদের তিন উইকেটে আছে এই ম্যাচের বড় আকর্ষণ ডেভন কনওয়ের উইকেটও। চোট কাটিয়ে টেস্ট দলে ফেরা ব্যাটসম্যানের প্রস্তুতি ভালোভাবে হয়নি শূন্য রানে আউট হয়ে। খেলা দেরিতে শুরুর পর বে ওভালের দুই নম্বর মাঠে টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। তাসকিন প্রথম ৩ ওভারে ২টি নেন মেডেন। আবু জায়েদও শুরু করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। প্রথম ৫ ওভারে রান আসে ৮। ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশ পায় প্রথম উইকেটের দেখা। আবু জায়েদের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন লুক জর্জেসন। তিনে নেমে অধিনায়ক কনওয়ের স্থায়ীত্ব হয় কেবল ২ বল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন কিপার লিটন দাসের হাতে। পরের ওভারেই লিটন ক্যাচ পান আরেকটি। এবার তাসকিনের বলে বিদায় নেন ওপেনার জ্যাকব কামিং। নিউ জিল্যান্ড একাদশের রান তখন ৩ উইকেটে ৮। তাসকিনের প্রথম স্পেল ছিল ৫-৪-৫-১! একটু পর আবার বৃষ্টিতে লাঞ্চ বিরতি হয় আগেভাবেই। প্রথম সেশনে খেলা হয় স্রেফ ৯.২ ওভার। পরে খেলা শুরু হলে জ্যাক বয়েল ও মিচ রিনউইক চেষ্টা করেন খানিকটা প্রতিরোধের। তবে বয়েলকে ২০ রানে থামিয়ে ৩০ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। দেড় ঘণ্টার বেশি উইকেটে কাটিয়ে ১৮ রান করা রিনউইককে ফিরিয়ে পরে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান আবু জায়েদ। সহায়ক কন্ডিশনে এক পর্যায়ে তিন স্লিপ ও দুই গালি নিয়েও বোলিং করেন বাংলাদেশের পেসাররা।
নতুন বলের দুই বোলারের পর ভালো বোলিং করেন তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও। ছয়ে নেমে জ্যাকব ভুলা ৫ চারে দ্রুত ২০ বলে ২১ করে একটু বাড়ান দলের রান। কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে আসে বারবার। বিকেল ৫টার পরপর আরেক দফা বৃষ্টিতে শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। দিনের খেলা শেষে আবু জায়েদ বললেন ভালো জায়গায় বল রাখতে পারার তৃপ্তির কথা। “আজকের ম্যাচে অন-অফ ছিল, বারবার বৃষ্টি আসছিল। এর মধ্যেও বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার ছিল, অনেক দিন পর নেমে আমরা নতুন বলে ভালো জায়গায় বল রাখতে পেরেছি। সব মিলিয়ে পেস বোলাররা সবাই ভালো বল করেছে।” টেস্ট সিরিজের আগে স্রেফ একটিই প্রস্তুতি ম্যাচ। সেটিও কেবল দুই দিনের। সেই ম্যাচের এক দিনের বেশির ভাগ ভেসে গেল বৃষ্টিতে। পেসারদের বোলিংয়ের সন্তুষ্টির পাশাপাশি প্রস্তুতির ঘাটতির অস্বস্তিও থাকার কথা বাংলাদেশ দলের। আবু জায়েদ তার পরও বললেন সুযোগ কাজে লাগাতে পারার স্বস্তির কথা। “প্রস্তুতির সুযোগ আমরা যতটুকুই পেয়েছি, কাজ লাগানোর চেষ্টা করেছি। আজকের যে কন্ডিশন ছিল ও উইকেটের যে অবস্থা ছিল, সেই অনুযায়ী বোলিং করতে পেরেছি।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড একাদশ ১ম ইনিংস: ২৭.৩ ওভারে ৭১/৫ (জর্জেসন ৬, কামিং ১, কনওয়ে ০, বয়েল ২০, রেনউইক ১৮, ভুলা ২১, আভি ৪; তাসকিন ৮.৩-৫-২৬-২, আবু জায়েদ ৯-১-২৭-৩, শরিফুল ৫-৩-৬-০, শহিদুল ৫-২-১২-০)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বৃষ্টির ফাঁকে তাসকিন-আবু জায়েদের দুর্দান্ত বোলিং

আপডেট সময় : ১১:২০:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : বৃষ্টি আর ভেজা মাঠ মিলিয়ে খেলা শুরু হতে দেরি। খেলা শুরুর পরও দফায় দফায় বৃষ্টির হানা। তাতে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনের অনেকটাই গেল ভেস্তে। খেলা যেটুকু হলো, সেখানে দারুণ বোলিং উপহার দিলেন তাসকিন আহমেদ ও আবু জায়েদ চৌধুরি। নিউ জিল্যান্ডে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম দিনে মাউন্ট মঙ্গানুইতে সারাদিনে খেলা হলো স্রেফ ২৭.৩ ওভার। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউ জিল্যান্ড একাদশের রান ৫ উইকেটে ৭১ রান। বাংলাদেশের নতুন বলের দুই বোলার আবু জায়েদ ও তাসকিন মিলেই নিয়েছেন সব উইকেট। আবু জায়েদের শিকার ২৭ রানে ৩টি, তাসকিনের ২৬ রানে ২টি। উইকেটের পেছন লিটন দাস ক্যাচ নেন ৪টি। আবু জায়েদের তিন উইকেটে আছে এই ম্যাচের বড় আকর্ষণ ডেভন কনওয়ের উইকেটও। চোট কাটিয়ে টেস্ট দলে ফেরা ব্যাটসম্যানের প্রস্তুতি ভালোভাবে হয়নি শূন্য রানে আউট হয়ে। খেলা দেরিতে শুরুর পর বে ওভালের দুই নম্বর মাঠে টস জিতে বোলিং নেয় বাংলাদেশ। তাসকিন প্রথম ৩ ওভারে ২টি নেন মেডেন। আবু জায়েদও শুরু করেন নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। প্রথম ৫ ওভারে রান আসে ৮। ষষ্ঠ ওভারে বাংলাদেশ পায় প্রথম উইকেটের দেখা। আবু জায়েদের বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন লুক জর্জেসন। তিনে নেমে অধিনায়ক কনওয়ের স্থায়ীত্ব হয় কেবল ২ বল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ধরা পড়েন কিপার লিটন দাসের হাতে। পরের ওভারেই লিটন ক্যাচ পান আরেকটি। এবার তাসকিনের বলে বিদায় নেন ওপেনার জ্যাকব কামিং। নিউ জিল্যান্ড একাদশের রান তখন ৩ উইকেটে ৮। তাসকিনের প্রথম স্পেল ছিল ৫-৪-৫-১! একটু পর আবার বৃষ্টিতে লাঞ্চ বিরতি হয় আগেভাবেই। প্রথম সেশনে খেলা হয় স্রেফ ৯.২ ওভার। পরে খেলা শুরু হলে জ্যাক বয়েল ও মিচ রিনউইক চেষ্টা করেন খানিকটা প্রতিরোধের। তবে বয়েলকে ২০ রানে থামিয়ে ৩০ রানের জুটি ভাঙেন তাসকিন। দেড় ঘণ্টার বেশি উইকেটে কাটিয়ে ১৮ রান করা রিনউইককে ফিরিয়ে পরে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান আবু জায়েদ। সহায়ক কন্ডিশনে এক পর্যায়ে তিন স্লিপ ও দুই গালি নিয়েও বোলিং করেন বাংলাদেশের পেসাররা।
নতুন বলের দুই বোলারের পর ভালো বোলিং করেন তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামও। ছয়ে নেমে জ্যাকব ভুলা ৫ চারে দ্রুত ২০ বলে ২১ করে একটু বাড়ান দলের রান। কিন্তু বৃষ্টি বাধা হয়ে আসে বারবার। বিকেল ৫টার পরপর আরেক দফা বৃষ্টিতে শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। দিনের খেলা শেষে আবু জায়েদ বললেন ভালো জায়গায় বল রাখতে পারার তৃপ্তির কথা। “আজকের ম্যাচে অন-অফ ছিল, বারবার বৃষ্টি আসছিল। এর মধ্যেও বোলাররা খুব ভালো বোলিং করেছে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার ছিল, অনেক দিন পর নেমে আমরা নতুন বলে ভালো জায়গায় বল রাখতে পেরেছি। সব মিলিয়ে পেস বোলাররা সবাই ভালো বল করেছে।” টেস্ট সিরিজের আগে স্রেফ একটিই প্রস্তুতি ম্যাচ। সেটিও কেবল দুই দিনের। সেই ম্যাচের এক দিনের বেশির ভাগ ভেসে গেল বৃষ্টিতে। পেসারদের বোলিংয়ের সন্তুষ্টির পাশাপাশি প্রস্তুতির ঘাটতির অস্বস্তিও থাকার কথা বাংলাদেশ দলের। আবু জায়েদ তার পরও বললেন সুযোগ কাজে লাগাতে পারার স্বস্তির কথা। “প্রস্তুতির সুযোগ আমরা যতটুকুই পেয়েছি, কাজ লাগানোর চেষ্টা করেছি। আজকের যে কন্ডিশন ছিল ও উইকেটের যে অবস্থা ছিল, সেই অনুযায়ী বোলিং করতে পেরেছি।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড একাদশ ১ম ইনিংস: ২৭.৩ ওভারে ৭১/৫ (জর্জেসন ৬, কামিং ১, কনওয়ে ০, বয়েল ২০, রেনউইক ১৮, ভুলা ২১, আভি ৪; তাসকিন ৮.৩-৫-২৬-২, আবু জায়েদ ৯-১-২৭-৩, শরিফুল ৫-৩-৬-০, শহিদুল ৫-২-১২-০)।