বিদেশের খবর ডেস্ক: প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে রাজধানী ইসলামাবাদসহ পাকিস্তানজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সৃষ্টি হলে, পরিস্থিতি রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি। তবে ১২ ঘণ্টার মধ্যেই স্বাভাবিক অবস্থায় আসার আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী খুররাম দস্তগীর। স্থানীয় টেলিভিশনে জ্বালানিমন্ত্রী জানান, জ্বালানি ব্যয় কমাতে শীতকালে রাতে সাময়িক সময়ের জন্য জাতীয় গ্রিড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সকাল ৭টা ৩০ এর দিকে যখন ফের চালু করা হয়, তখন দেশের দক্ষিণাঞ্চল জামশোরো এবং দাদুতে সমস্যার খবর পাই আমরা।
তিনি আরও বলেন, ভোল্টেজ আপডাউন ছিল। আরও কিছু কারণে একের পর এক বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এটি বড় কোনও সংকট নয়। পাকিস্তানে চরম অর্থনৈতিক সংকট চলার মধ্যেই ২২ কোটি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন। গত চার মাসের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার এই দেশটিতে বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কবলে পড়েছে।
জাতীয় গ্রিড হচ্ছে সারা দেশে বিদ্যুতের একটি সঞ্চালন ব্যবস্থা। প্রকৌশলীরা এটিকে অনেকটা মহাসড়ক বা রেললাইনের সঙ্গে তুলনা করেন। এ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদকদের কাছ থেকে নিয়ে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়। কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী সকাল ৭টা ৩৪ মিনিটে ন্যাশনাল গ্রিড ফ্রিকোয়েন্সি হারানোয় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে সিস্টেমটিকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ চলছে। জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ফলে করাচি, ইসলামাবাদ, লাহোর ও পেশোয়ারের মতো বড় শহরগুলোও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎমন্ত্রী খুররুম দস্তগীর জিও টিভিকে বলেন, সকালে সিস্টেমটি চালুর সময় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে জামশোরো এবং দাদু শহরের মধ্যে ফ্রিকোয়েন্সি পরিবর্তনের খবর পাওয়া গেছে। ভোল্টেজের উঠানামা ছিল এবং সিস্টেমগুলো একে একে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এটি কোনও বড় সংকট নয়।’ কিছু গ্রিড ইতিমধ্যে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান খুররুম দস্তগীর। উল্লেখ্য, জাতীয় গ্রিড হচ্ছে সারা দেশে বিদ্যুতের একটি সঞ্চালন ব্যবস্থা। প্রকৌশলীরা এটিকে অনেকটা মহাসড়ক বা রেললাইনের সঙ্গে তুলনা করেন। এ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদকদের কাছ থেকে নিয়ে ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করা হয়।