ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ইউটিউবের চেয়ে বেশি সময় কাটে টিকটকে

  • আপডেট সময় : ১০:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ইউটিউবের চেয়ে টিকটকে বেশি সময় ব্যয় করছেন। টিকটক অ্যাপে প্রতি ব্যবহারকারীর গড় সময় কাটানোর হার বেশি, তবে, সামষ্টিকভাবে ব্যবহারকারীদের সময় কাটানোর দিক থেকে ইউটিউব এখনও শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে।
বর্তমানে গুগল মালিকানাধীন ইউটিউবের মাসিক ব্যবহারকারী সংখ্যা দুইশ’ কোটি। অন্যদিকে, ২০২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ের হিসেব অনুসারে, টিকটকের ব্যবহারকারী রয়েছে ৭০ কোটির ঘরে।

অ্যাপ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান অ্যাপ অ্যানির ডেটায় সম্প্রতি উঠে এসেছে তথ্যগুলো। অ্যাপ বাজার বিশ্লেষণে বিশেষায়িত এ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, টিকটক “স্ট্রিমিং ও সামাজিক চিত্রকে ভেঙেচুড়ে দিয়েছে”।

টিকটকে সময় কাটানো নিয়ে অ্যাপ অ্যানির প্রতিবেদনটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনের উপর করা হয়েছে। এ ছাড়াও চীনের ডেটা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। টিকটক চীনে স্থানীয়ভাবে পরিচিতি ডউয়িন নামে।

ডেটায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ইউটিউবকে ২০২০ সালের জুনে অতিক্রম করেছে টিকটক এবং তারপর থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ স্থান নিয়ে কয়েকবার লড়েছে টিকটক ও ইউটিউব। পরে এ বছরের এপ্রিল থেকে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিকটক।

এন্ডার্স অ্যানালাইসিস –এর জেমি ম্যাকইওয়ান বলছেন, “মোট সময় কাটানোর দিক থেকে ইউটিউব এখনও টিকটকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে, এমনকি যুক্তরাজ্যেও। ইউটিউবের ব্যাপক দর্শকের মানে দাঁড়ায় এটি আরও ডেমোগ্রাফি পাচ্ছে যারা তুলনামুলক হালকা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীৃ অনলাইনে যারা রয়েছেন তাদের সবার কাছেই পৌঁছাচ্ছে এটি।”
তিনি আরও বলেছেন, সর্বাধিক বিনিয়োগ করা ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সঙ্গে হয়তো টিকটকারদের এনগেজমেন্ট “মিলে যাচ্ছে বা অতিক্রম” করছে। কিন্তু এর “কোনোটাই কিন্তু বলছে না যে টিকটক সফল নয়”।
ম্যাকইওয়ানের মতে, “ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে টিকটক অনেক খরচ করছিলো, কিন্তু অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের তুলনায় বেশি দিন হয়নি এসেছে। আমরা এখন জানি যে, যুক্তর্ষ্ট্রা ও যুক্তরাজ্যে ইউটিউবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে টিকটক এবং ধরে ফেলছে ফেইসবুককেৃ এটা অনেক বড় অনুমোদনের একটি স্মারক।” অ্যাপ অ্যানির অন্যান্য মেট্রিক টিকটকের গুরুত্ব তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ রেছে বিবিসি। ২০২০ সালে সামাজিক, যোগাযোগ, ছবি, ভিডিও এবং বিনোদন অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে টিকটক। ইউটিউবের সঙ্গে লড়ে ‘ভোক্তা খরচের’ দিক থেকেও শীর্ষ স্থানটি দখলে নিয়েছে এই ক্ষুদ্র ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরাসি পরমাণু অস্ত্রে ইইউ’র রঙ দিতে চান ম্যাক্রোঁ

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে ইউটিউবের চেয়ে বেশি সময় কাটে টিকটকে

আপডেট সময় : ১০:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ইউটিউবের চেয়ে টিকটকে বেশি সময় ব্যয় করছেন। টিকটক অ্যাপে প্রতি ব্যবহারকারীর গড় সময় কাটানোর হার বেশি, তবে, সামষ্টিকভাবে ব্যবহারকারীদের সময় কাটানোর দিক থেকে ইউটিউব এখনও শীর্ষ স্থানটি ধরে রেখেছে।
বর্তমানে গুগল মালিকানাধীন ইউটিউবের মাসিক ব্যবহারকারী সংখ্যা দুইশ’ কোটি। অন্যদিকে, ২০২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ের হিসেব অনুসারে, টিকটকের ব্যবহারকারী রয়েছে ৭০ কোটির ঘরে।

অ্যাপ পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান অ্যাপ অ্যানির ডেটায় সম্প্রতি উঠে এসেছে তথ্যগুলো। অ্যাপ বাজার বিশ্লেষণে বিশেষায়িত এ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, টিকটক “স্ট্রিমিং ও সামাজিক চিত্রকে ভেঙেচুড়ে দিয়েছে”।

টিকটকে সময় কাটানো নিয়ে অ্যাপ অ্যানির প্রতিবেদনটি শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনের উপর করা হয়েছে। এ ছাড়াও চীনের ডেটা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। টিকটক চীনে স্থানীয়ভাবে পরিচিতি ডউয়িন নামে।

ডেটায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ইউটিউবকে ২০২০ সালের জুনে অতিক্রম করেছে টিকটক এবং তারপর থেকে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ স্থান নিয়ে কয়েকবার লড়েছে টিকটক ও ইউটিউব। পরে এ বছরের এপ্রিল থেকে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে টিকটক।

এন্ডার্স অ্যানালাইসিস –এর জেমি ম্যাকইওয়ান বলছেন, “মোট সময় কাটানোর দিক থেকে ইউটিউব এখনও টিকটকের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে, এমনকি যুক্তরাজ্যেও। ইউটিউবের ব্যাপক দর্শকের মানে দাঁড়ায় এটি আরও ডেমোগ্রাফি পাচ্ছে যারা তুলনামুলক হালকা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীৃ অনলাইনে যারা রয়েছেন তাদের সবার কাছেই পৌঁছাচ্ছে এটি।”
তিনি আরও বলেছেন, সর্বাধিক বিনিয়োগ করা ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সঙ্গে হয়তো টিকটকারদের এনগেজমেন্ট “মিলে যাচ্ছে বা অতিক্রম” করছে। কিন্তু এর “কোনোটাই কিন্তু বলছে না যে টিকটক সফল নয়”।
ম্যাকইওয়ানের মতে, “ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে টিকটক অনেক খরচ করছিলো, কিন্তু অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের তুলনায় বেশি দিন হয়নি এসেছে। আমরা এখন জানি যে, যুক্তর্ষ্ট্রা ও যুক্তরাজ্যে ইউটিউবকে পেছনে ফেলে দিয়েছে টিকটক এবং ধরে ফেলছে ফেইসবুককেৃ এটা অনেক বড় অনুমোদনের একটি স্মারক।” অ্যাপ অ্যানির অন্যান্য মেট্রিক টিকটকের গুরুত্ব তুলে ধরেছে বলে উল্লেখ রেছে বিবিসি। ২০২০ সালে সামাজিক, যোগাযোগ, ছবি, ভিডিও এবং বিনোদন অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড হয়েছে টিকটক। ইউটিউবের সঙ্গে লড়ে ‘ভোক্তা খরচের’ দিক থেকেও শীর্ষ স্থানটি দখলে নিয়েছে এই ক্ষুদ্র ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি।