ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যাত্রীশূন্য গাবতলী বাস টার্মিনাল

  • আপডেট সময় : ১০:২৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ৫৬ বার পড়া হয়েছে

মহানগর প্রতিবেদন : ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও চাপ নেই রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে। অন্যান্য বার ঈদকে কেন্দ্র করে বাসের অগ্রিম টিকিট কিনতে কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলেও এবার এর কোনো প্রভাব পড়েনি সেখানে। টার্মিনালজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, তেমন কোনো যাত্রী নেই টার্মিনালে। দু-একজন যারা আসছেন তারা কাউন্টার ঘুরে পছন্দ মতো টিকিট সংগ্রহ করছেন। যাত্রী সংকটের কারণ হিসেবে রেল যাত্রা ও একাধিক রুটকে দায়ী করে বিভিন্ন কাউন্টার সংশিøষ্টরা বলেন, “ট্রেনের যাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই। আবার বাসের টিকিটের দামের তুলনায় ট্রেনের টিকিটের দাম কম হওয়ায় মানুষ দূরপালøার যাত্রায় প্রধান মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকেই বেছে নিচ্ছেন।”
আলাপকালে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার ওমারুল ইসলাম বলেন, “আজ থেকে ট্রেনের টিকিট ছেড়েছে। অনেকেই ট্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই ট্রেনের টিকিট কাটবে। যদি ট্রেনে টিকিট না পায় তখন বাসে যাবে। তাই এখন পর্যন্ত ঈদের যাত্রীর কোনো চাপ নেই গাবতলী বাস টার্মিনালে। যদিও আমাদের গাড়ির অগ্রিম টিকিট সব কল্যাণপুর থেকে দিচ্ছে। তবে অনলাইনেও এখন পর্যন্ত যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ দেখছি না।”
এস বি সুপার ডিলাক্সের কাউন্টার মাস্টার জিলøু রহমান বলেন, “ঈদের আগে গাবতলী বাস টার্মিনালে একটা সময় মানুষ রাত জেগে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতো। টিকিট কিনতে হিমশিম খেতে হতো যাত্রীদের। আর এখন যাত্রীদের কোনো চাপই নেই। এখন পর্যন্ত যে কয়টা টিকিট বিক্রি হয়েছে তাতে কোনো গাড়িতে ৭ থেকে ৮ জনের বেশি যাত্রী আমরা পাইনি। তবে ৮-৯ তারিখের কিছু যাত্রী পেয়েছি।” তিনি বলেন, “বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। কারণ রা¯Íায় কোনো যানজট থাকে না। নির্দিষ্ট টাইমে বাড়িতে পৌঁছে যায়। আবার অনেকে সায়েদাবাদ বা গাবতলী থেকে অল্প টাকায় ভেঙে ভেঙে চলে যায়।”
একাধিক পরিবহনের কাউন্টারে আলাপ করে জানা যায়, বেশ কিছু পরিবহনে দূরপালøার অগ্রিম টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। সোহাগ পরিবহনের এক শ্রমিক বলেন, “আমাদের মালিক পক্ষ থেকে এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই। তাই আমরা এখনও অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করি নাই।” বিভিন্ন বাস কর্তৃপক্ষ অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করলেও আপনারা কেন এখনও শুরু করেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কাউন্টারে তেমন কেউ অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে আসছেন না। যাত্রীদেরও চাপ নেই। চাপ না থাকার কারণেই হয়তো এখনও টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। তবে ২৬ তারিখ থেকে আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে।” সোহাগ পরিবহনের মতো একই কথা বলেছেন শুভ বসুন্ধরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার। তিনি বলেন, “যাত্রীর চাপ কম থাকায় আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। আগামী ২৬ তারিখের পর যেকোনো দিন থেকে আমাদের টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে।” পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আগে আগেই শুরু হয়েছে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম। গত শুক্রবার সকাল থেকে বাসের কাউন্টারগুলোতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করতে দেখা গেছে।” এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত শুক্রবার থেকেই সব আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব বাস মালিককে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানান, যাত্রীরা যাতে বাসের অগ্রিম টিকিট সুশৃঙ্খলভাবে কাউন্টার থেকে কিনতে পারেন, সেজন্য বাস মালিকদের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম কাজ করবে। বাসের কোনো টিকিট কালোবাজারি হবে না। কারণ বাস মালিকদের মনিটরিং টিমের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করবে। এছাড়া প্রশাসনের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমেও টিকিট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি রোধ করা হবে।
এদিকে বাস কোম্পানিগুলোর অনলাইনে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাসবিডি ডটকম ডট বিডি’ এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট শুক্রবার থেকে অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া হবে। ই-টিকিট কেনা যাত্রীদের জানানো হয়েছে, রা¯Íায় সৃষ্ট জ্যামের কারণে ও গাড়ির যান্ত্রিক ত্রæটি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে যাত্রার সময় পরিবর্তন হতে পারে। বিষয়টি জেনে টিকিট ক্রয় করতে বলা হচ্ছে। এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ রবিবার। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল ঈদ ধরে এ বছর ঈদের আগের সাত দিনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি হবে। এছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

যাত্রীশূন্য গাবতলী বাস টার্মিনাল

আপডেট সময় : ১০:২৩:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

মহানগর প্রতিবেদন : ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও চাপ নেই রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে। অন্যান্য বার ঈদকে কেন্দ্র করে বাসের অগ্রিম টিকিট কিনতে কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলেও এবার এর কোনো প্রভাব পড়েনি সেখানে। টার্মিনালজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।
গতকাল রোববার বেলা ১১টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, তেমন কোনো যাত্রী নেই টার্মিনালে। দু-একজন যারা আসছেন তারা কাউন্টার ঘুরে পছন্দ মতো টিকিট সংগ্রহ করছেন। যাত্রী সংকটের কারণ হিসেবে রেল যাত্রা ও একাধিক রুটকে দায়ী করে বিভিন্ন কাউন্টার সংশিøষ্টরা বলেন, “ট্রেনের যাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই। আবার বাসের টিকিটের দামের তুলনায় ট্রেনের টিকিটের দাম কম হওয়ায় মানুষ দূরপালøার যাত্রায় প্রধান মাধ্যম হিসেবে ট্রেনকেই বেছে নিচ্ছেন।”
আলাপকালে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের কাউন্টার মাস্টার ওমারুল ইসলাম বলেন, “আজ থেকে ট্রেনের টিকিট ছেড়েছে। অনেকেই ট্রেনে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাই ট্রেনের টিকিট কাটবে। যদি ট্রেনে টিকিট না পায় তখন বাসে যাবে। তাই এখন পর্যন্ত ঈদের যাত্রীর কোনো চাপ নেই গাবতলী বাস টার্মিনালে। যদিও আমাদের গাড়ির অগ্রিম টিকিট সব কল্যাণপুর থেকে দিচ্ছে। তবে অনলাইনেও এখন পর্যন্ত যাত্রীদের তেমন কোনো চাপ দেখছি না।”
এস বি সুপার ডিলাক্সের কাউন্টার মাস্টার জিলøু রহমান বলেন, “ঈদের আগে গাবতলী বাস টার্মিনালে একটা সময় মানুষ রাত জেগে লাইনে দাড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতো। টিকিট কিনতে হিমশিম খেতে হতো যাত্রীদের। আর এখন যাত্রীদের কোনো চাপই নেই। এখন পর্যন্ত যে কয়টা টিকিট বিক্রি হয়েছে তাতে কোনো গাড়িতে ৭ থেকে ৮ জনের বেশি যাত্রী আমরা পাইনি। তবে ৮-৯ তারিখের কিছু যাত্রী পেয়েছি।” তিনি বলেন, “বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। কারণ রা¯Íায় কোনো যানজট থাকে না। নির্দিষ্ট টাইমে বাড়িতে পৌঁছে যায়। আবার অনেকে সায়েদাবাদ বা গাবতলী থেকে অল্প টাকায় ভেঙে ভেঙে চলে যায়।”
একাধিক পরিবহনের কাউন্টারে আলাপ করে জানা যায়, বেশ কিছু পরিবহনে দূরপালøার অগ্রিম টিকিট বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। সোহাগ পরিবহনের এক শ্রমিক বলেন, “আমাদের মালিক পক্ষ থেকে এখনো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই। তাই আমরা এখনও অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করি নাই।” বিভিন্ন বাস কর্তৃপক্ষ অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করলেও আপনারা কেন এখনও শুরু করেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কাউন্টারে তেমন কেউ অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে আসছেন না। যাত্রীদেরও চাপ নেই। চাপ না থাকার কারণেই হয়তো এখনও টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। তবে ২৬ তারিখ থেকে আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে।” সোহাগ পরিবহনের মতো একই কথা বলেছেন শুভ বসুন্ধরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার। তিনি বলেন, “যাত্রীর চাপ কম থাকায় আমাদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি এখনো শুরু হয়নি। আগামী ২৬ তারিখের পর যেকোনো দিন থেকে আমাদের টিকিট বিক্রি শুরু হতে পারে।” পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আগে আগেই শুরু হয়েছে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি কার্যক্রম। গত শুক্রবার সকাল থেকে বাসের কাউন্টারগুলোতে অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করতে দেখা গেছে।” এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত শুক্রবার থেকেই সব আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে যাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব বাস মালিককে সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ জানান, যাত্রীরা যাতে বাসের অগ্রিম টিকিট সুশৃঙ্খলভাবে কাউন্টার থেকে কিনতে পারেন, সেজন্য বাস মালিকদের পক্ষ থেকে মনিটরিং টিম কাজ করবে। বাসের কোনো টিকিট কালোবাজারি হবে না। কারণ বাস মালিকদের মনিটরিং টিমের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনও কাজ করবে। এছাড়া প্রশাসনের গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমেও টিকিট কালোবাজারি ও যাত্রী হয়রানি রোধ করা হবে।
এদিকে বাস কোম্পানিগুলোর অনলাইনে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বাসবিডি ডটকম ডট বিডি’ এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট শুক্রবার থেকে অনলাইন মাধ্যমে দেওয়া হবে। ই-টিকিট কেনা যাত্রীদের জানানো হয়েছে, রা¯Íায় সৃষ্ট জ্যামের কারণে ও গাড়ির যান্ত্রিক ত্রæটি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে যাত্রার সময় পরিবর্তন হতে পারে। বিষয়টি জেনে টিকিট ক্রয় করতে বলা হচ্ছে। এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ রবিবার। এ দিন সকাল ৮টা থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়েছে। ১০ এপ্রিল ঈদ ধরে এ বছর ঈদের আগের সাত দিনের টিকিট বিক্রি করা হবে। ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট ৩০ মার্চ বিক্রি হবে। এছাড়া ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।