ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্লাইং কারের প্রথম যাত্রী হলেন ফরাসী সংগীত কিংবদন্তী

  • আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : আনকোরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে ফরাসী সংগীত কিংবদন্তী জঁ-মিচেল জাঁ একেবারেই পরিচিত মুখ। বলা হচ্ছে, সেই সুবাদেই স্লোভাকিয়ার কোম্পানি ক্লেইনভিশনের ‘ফ্লাইং কার’ বা উড়ুক্কু গাড়ির প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনিই ছিলেন আদর্শ।

চোখ ধাঁধানো ‘লেজার শো’ জাঁর কনসার্টে একেবারেই সাধারণ বিষয়। এ ছাড়া, ‘ইলেকট্রনিক’ ও ‘নিউ এজ’ গানেও তিনি একেবারে সামনের সারির শিল্পী। এ কারণেই স্লোভাকিয়ার পিস্ট্যানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেকর্ড ভাঙা এ গাড়িতে দুটি উড্ডয়নের সুযোগ যে তিনি লুফে নেবেন সেটি একরকম নিশ্চিতই ছিল। আর তা-ই হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ। “এক মুহূর্ত আপনি চালকের সঙ্গে কথা বলছেন, পরের মুহূর্তেই বাতাসে ভাসছেন। এ এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা!” – বলেন তিনি।
গাড়িটি কয়েক মিনিটে স্পোর্টস কার থেকে প্লেনে রূপান্তরিত হতে পারে। ২০২১ সালে এটি আন্তঃনগর উড্ডয়ন শেষ করা প্রথম উড়ুক্কু গাড়ি হয়ে ওঠে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। গাড়িটিতে এক ১৬০০ সিসির ‘বিএমডাব্লিউ ইঞ্জিন’ রয়েছে। তবে, স্টার্টআপ এভিয়েশন কোম্পানি ক্লেইনভিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্টন জাজ্যাক স্কাই নিউজকে বলেছেন, “প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা একে ব্যাটারিচালিত করে ফেলব।”
“আমরা রাস্তা ও আকাশের মধ্য ব্যবধান কমিয়ে আনছি। গাড়িগুলোকে সেই স্বাধীনতা দিচ্ছি, যেমন এটি স্বাধীনতার প্রতীক হয়েছিল ৫০ বছর আগে।” আর এ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য, কেবল চালকের লাইসেন্স ও পাইলটের লাইসেন্সই নয়, এয়ারকার নামের গাড়িটি চালানোর জন্য দুই থেকে তিন মাসের বিশেষ ফ্লাইং কোর্সেরও প্রয়োজন হবে। জাজ্যাক আশা প্রকাশ করেছেন এটি এক বছরের মধ্যে বাজারে আসবে। আর ফ্লাইটের জন্য এর অনুমোদন মিলেছে ২০২২ সালেই। অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন ও জাজ্যাক মিলে স্লোভাকিয়ায় গাড়িটি তৈরি করেছিলেন। তবে, এটিই একমাত্র উড়ুক্কু গাড়ি নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে স্কাই। প্রথম উড়ুক্কু গাড়ি হিসেবে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি পায় প্লেন নির্মাতা মার্কিন কোম্পানি আলেফ অ্যারোনটিক্সের আধুনিক নকশার ‘মডেল এ’ নামের গাড়িটি। ২০২২ সালে দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের অনুমোদন পেয়েছে গাড়িটি। এরইমধ্যে গাড়িটির জন্য প্রায় তিন হাজার আগাম অর্ডার রয়েছে। আর ক্লেইনভিশনের গাড়ির বিপরীতে এ গাড়িটি বিদ্যুচ্চালিত। এ স্টার্ট-আপ এ কোম্পানিটিতে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের সমর্থন রয়েছে। আর আলেফ কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে, “গাড়িটি রাস্তায় চলতে পারে, প্রয়োজনে উলম্বভাবে ‘টেক অফ’ করতে পারে এবং অন্যান্য গাড়ির ওপরে উড়তেও পারে।”
তবে, একে ‘লো স্পিড ভিয়েকল’ বা কম গতির একটি যান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঘণ্টায় এটি ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারবে না। পাশাপাশি, এ গাড়ি ‘পাবলিক রোড’ বা জনপথে পরীক্ষা করার জন্য আলাদা অনুমোদনেরও প্রয়োজন হবে। এদিকে মার্চ মাসে, ক্লেইনভিশন নিজেদের গাড়ির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করা প্রযুক্তির স্বত্ব ‘হেবেই জিয়ানঝিন ফ্লাইং কার টেকনোলজি কোম্পানি’ নামের এক চীনা কোম্পানির কাছে বিক্রি করেছে দিয়েছে। উড়ুক্কু গাড়ি প্রযুক্তির খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। তবে, ‘ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং’ (ইভিটিওএল) যানবাহনের ওপরেই দেশটির বিশেষ নজর রয়েছে বলে লিখেছে স্কাই। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য সরকারও আশা প্রকাশ করেছে, তাদের ‘ফিউচার অফ ফ্লাইট অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায়, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু ট্যাক্সি বাস্তবে পরিণত হবে। “এটি আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়। এটি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।”-বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ফ্লাইং কারের প্রথম যাত্রী হলেন ফরাসী সংগীত কিংবদন্তী

আপডেট সময় : ০৯:৪৭:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্ক : আনকোরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে ফরাসী সংগীত কিংবদন্তী জঁ-মিচেল জাঁ একেবারেই পরিচিত মুখ। বলা হচ্ছে, সেই সুবাদেই স্লোভাকিয়ার কোম্পানি ক্লেইনভিশনের ‘ফ্লাইং কার’ বা উড়ুক্কু গাড়ির প্রথম যাত্রী হিসেবে তিনিই ছিলেন আদর্শ।

চোখ ধাঁধানো ‘লেজার শো’ জাঁর কনসার্টে একেবারেই সাধারণ বিষয়। এ ছাড়া, ‘ইলেকট্রনিক’ ও ‘নিউ এজ’ গানেও তিনি একেবারে সামনের সারির শিল্পী। এ কারণেই স্লোভাকিয়ার পিস্ট্যানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেকর্ড ভাঙা এ গাড়িতে দুটি উড্ডয়নের সুযোগ যে তিনি লুফে নেবেন সেটি একরকম নিশ্চিতই ছিল। আর তা-ই হয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ। “এক মুহূর্ত আপনি চালকের সঙ্গে কথা বলছেন, পরের মুহূর্তেই বাতাসে ভাসছেন। এ এক আশ্চর্য অভিজ্ঞতা!” – বলেন তিনি।
গাড়িটি কয়েক মিনিটে স্পোর্টস কার থেকে প্লেনে রূপান্তরিত হতে পারে। ২০২১ সালে এটি আন্তঃনগর উড্ডয়ন শেষ করা প্রথম উড়ুক্কু গাড়ি হয়ে ওঠে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রতিবেদনে। গাড়িটিতে এক ১৬০০ সিসির ‘বিএমডাব্লিউ ইঞ্জিন’ রয়েছে। তবে, স্টার্টআপ এভিয়েশন কোম্পানি ক্লেইনভিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যান্টন জাজ্যাক স্কাই নিউজকে বলেছেন, “প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা একে ব্যাটারিচালিত করে ফেলব।”
“আমরা রাস্তা ও আকাশের মধ্য ব্যবধান কমিয়ে আনছি। গাড়িগুলোকে সেই স্বাধীনতা দিচ্ছি, যেমন এটি স্বাধীনতার প্রতীক হয়েছিল ৫০ বছর আগে।” আর এ স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য, কেবল চালকের লাইসেন্স ও পাইলটের লাইসেন্সই নয়, এয়ারকার নামের গাড়িটি চালানোর জন্য দুই থেকে তিন মাসের বিশেষ ফ্লাইং কোর্সেরও প্রয়োজন হবে। জাজ্যাক আশা প্রকাশ করেছেন এটি এক বছরের মধ্যে বাজারে আসবে। আর ফ্লাইটের জন্য এর অনুমোদন মিলেছে ২০২২ সালেই। অধ্যাপক স্টেফান ক্লেইন ও জাজ্যাক মিলে স্লোভাকিয়ায় গাড়িটি তৈরি করেছিলেন। তবে, এটিই একমাত্র উড়ুক্কু গাড়ি নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে স্কাই। প্রথম উড়ুক্কু গাড়ি হিসেবে রাস্তায় চলাচলের অনুমতি পায় প্লেন নির্মাতা মার্কিন কোম্পানি আলেফ অ্যারোনটিক্সের আধুনিক নকশার ‘মডেল এ’ নামের গাড়িটি। ২০২২ সালে দেশটির ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের অনুমোদন পেয়েছে গাড়িটি। এরইমধ্যে গাড়িটির জন্য প্রায় তিন হাজার আগাম অর্ডার রয়েছে। আর ক্লেইনভিশনের গাড়ির বিপরীতে এ গাড়িটি বিদ্যুচ্চালিত। এ স্টার্ট-আপ এ কোম্পানিটিতে ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের সমর্থন রয়েছে। আর আলেফ কোম্পানির ওয়েবসাইট অনুসারে, “গাড়িটি রাস্তায় চলতে পারে, প্রয়োজনে উলম্বভাবে ‘টেক অফ’ করতে পারে এবং অন্যান্য গাড়ির ওপরে উড়তেও পারে।”
তবে, একে ‘লো স্পিড ভিয়েকল’ বা কম গতির একটি যান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ঘণ্টায় এটি ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলতে পারবে না। পাশাপাশি, এ গাড়ি ‘পাবলিক রোড’ বা জনপথে পরীক্ষা করার জন্য আলাদা অনুমোদনেরও প্রয়োজন হবে। এদিকে মার্চ মাসে, ক্লেইনভিশন নিজেদের গাড়ির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করা প্রযুক্তির স্বত্ব ‘হেবেই জিয়ানঝিন ফ্লাইং কার টেকনোলজি কোম্পানি’ নামের এক চীনা কোম্পানির কাছে বিক্রি করেছে দিয়েছে। উড়ুক্কু গাড়ি প্রযুক্তির খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। তবে, ‘ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং’ (ইভিটিওএল) যানবাহনের ওপরেই দেশটির বিশেষ নজর রয়েছে বলে লিখেছে স্কাই। পাশাপাশি, যুক্তরাজ্য সরকারও আশা প্রকাশ করেছে, তাদের ‘ফিউচার অফ ফ্লাইট অ্যাকশন প্ল্যান’-এর আওতায়, ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক উড়ুক্কু ট্যাক্সি বাস্তবে পরিণত হবে। “এটি আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী নয়। এটি এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে।”-বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।