অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে দুই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ অবস্থানে নেমেছে।
লকডাউন আতঙ্কে গত রোববার থেকেই শেয়ারবাজারে এক ধরনের নেতিবাচক প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। লকডাউনের কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমন গুঞ্জনে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ১০০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক খোলা থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারের লেনদেন চলবে। সেই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের গুজবে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এতে রোববারের বড় পতনের পর সোমবারই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে কমে যায় লেনদেনের গতি। সোমবারের মতো মঙ্গলবারও সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলেছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ আরও কমে গেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দামবৃদ্ধির মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ২০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর কয়েক দফা সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা যায়। তবে শেষদিকের লেনদেনে কিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়ে যাওয়ায় সূচক বেড়ে লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৪২ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৮৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৯৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সূচকের এই উত্থানের দিনে ডিএসইতে দামবৃদ্ধির তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১৭৫টি। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬৬টির। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের ২৮ এপ্রিলের পর সর্বনি¤œ। গত ২৮ এপ্রিল ডিএসইতে ৯৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকার লেনদেন হয়। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৬৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালেক স্পিনিং। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ন্যাশনাল ফিড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জিনেক্স ইনফোসিসি, কুইন সাউথ টেক্সটাইল, কেয়া কসমেটিকস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং নিউ লাইন ক্লোথিং।
আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৫১টির এবং ৩০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শেয়ারবাজারে দুই মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ লেনদেন
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ