ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে সারের জন্য কৃষকের হাহাকার

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঠাকুরগাঁওয়ে সারের জন্য কৃষকদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে। সারের জন্য কৃষকেরা ইউনিয়ন পরিষদে লাইন দিয়ে দীর্ঘ অপক্ষো করছেন। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কৃষি কর্মকর্তা অবৈধভাবে সার বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলছেন, এমন কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই।

বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ডিলারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের সব ধরনের রাসায়নিক সার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সার নিতে এসে হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রির অভিযোগ তোলেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।
অন্যদিকে সার সংকটে কৃষকরা হাহাকার করছে। অনেকই সার না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে প্রায় সময় সারের জন্য দীর্ঘ লাইনে কৃষকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
সময়মতো সার না পাওয়ায় ফসল উৎপাদন নিয়ে হতাশা ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কৃষকরা। সদরের কয়েকজন চাষি জানান, সারের অভাবে আমনের আবাদ তেমন ভালো হয়নি। এখন আলুর সময়। ধানের চেয়ে আলুতে বেশি সার লাগে। বিশেষ করে পটাশ, ইউরিয়া ও টিএসপি। কিন্তু পটাশ ও টিএসপি সার তো দূরের কথা বাজারে কোনো সারই বর্তমানে পাওয়া যায় না। এভাবে সার না পেলে চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানান কৃষকরা।
এক কৃষক অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ও কৃষি কর্মকর্তারা কৃষককে সার না দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। আর কৃষিবিভাগ তো আমাদের কথা কানেই নেয় না। তারা শুধু বলেন সার আছে, সার আছে। বাস্তবে আমরা কোনো সার পাচ্ছি না। তাহলে সার যাচ্ছে কোথায়, কে খাচ্ছে?
কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুস্তাক বলেন, কারো কাছে সার বিক্রি করা হয়নি। পর্যাপ্ত সার রয়েছে।
আবার ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিগারিন সুলতানা কৃষক হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রত্যেক কৃষক সার পাচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। প্রতি মাসের সার প্রতি মাসে দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা আগাম সার কিনছে বলে সংকট দেখা দিচ্ছে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. আব্দুল আজিজ জানান, সবজি ও আলু চাষের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মজুত আছে। উপজেলা প্রশাসনসহ কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সারের বাজার মনিটরিং করছেন। আর সার বিতরণের সময় প্রশাসনের লোকজন থাকেন। তাই সারের কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমানের প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে সারের জন্য কৃষকের হাহাকার

আপডেট সময় : ০২:৩২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঠাকুরগাঁওয়ে সারের জন্য কৃষকদের মধ্যে হাহাকার শুরু হয়েছে। সারের জন্য কৃষকেরা ইউনিয়ন পরিষদে লাইন দিয়ে দীর্ঘ অপক্ষো করছেন। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কৃষি কর্মকর্তা অবৈধভাবে সার বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বলছেন, এমন কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই।

বুধবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে ডিলারের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কৃষকদের সব ধরনের রাসায়নিক সার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সার নিতে এসে হয়রানির শিকার হওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রির অভিযোগ তোলেন প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।
অন্যদিকে সার সংকটে কৃষকরা হাহাকার করছে। অনেকই সার না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে প্রায় সময় সারের জন্য দীর্ঘ লাইনে কৃষকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
সময়মতো সার না পাওয়ায় ফসল উৎপাদন নিয়ে হতাশা ও অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কৃষকরা। সদরের কয়েকজন চাষি জানান, সারের অভাবে আমনের আবাদ তেমন ভালো হয়নি। এখন আলুর সময়। ধানের চেয়ে আলুতে বেশি সার লাগে। বিশেষ করে পটাশ, ইউরিয়া ও টিএসপি। কিন্তু পটাশ ও টিএসপি সার তো দূরের কথা বাজারে কোনো সারই বর্তমানে পাওয়া যায় না। এভাবে সার না পেলে চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানান কৃষকরা।
এক কৃষক অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান ও কৃষি কর্মকর্তারা কৃষককে সার না দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন। আর কৃষিবিভাগ তো আমাদের কথা কানেই নেয় না। তারা শুধু বলেন সার আছে, সার আছে। বাস্তবে আমরা কোনো সার পাচ্ছি না। তাহলে সার যাচ্ছে কোথায়, কে খাচ্ছে?
কৃষকের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মুস্তাক বলেন, কারো কাছে সার বিক্রি করা হয়নি। পর্যাপ্ত সার রয়েছে।
আবার ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিগারিন সুলতানা কৃষক হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রত্যেক কৃষক সার পাচ্ছেন। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। প্রতি মাসের সার প্রতি মাসে দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা আগাম সার কিনছে বলে সংকট দেখা দিচ্ছে।’
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ড. আব্দুল আজিজ জানান, সবজি ও আলু চাষের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার মজুত আছে। উপজেলা প্রশাসনসহ কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সারের বাজার মনিটরিং করছেন। আর সার বিতরণের সময় প্রশাসনের লোকজন থাকেন। তাই সারের কোনো অনিয়ম হচ্ছে না বলে তিনি দাবি করেন।