ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

রিজার্ভ নামবে ২৫ বিলিয়ন ডলারে!

  • আপডেট সময় : ০২:৫৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগ কমছে-ই না। থামছে না আলোচনা ও বিতর্ক। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়ানোর নতুন আভাস দিচ্ছে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সম্ভাব্য পেমেন্ট। ওই পে-মেন্টের পর রিজার্ভ এক ধাপে অনেকটুকু নেমে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভ আছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। তবে আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করা হবে। এতে আইএমএফের মানদ-ে রিজার্ভ কমে দাড়াবে সাড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের চলমান বৈঠকগুলোতে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। জানা গেছে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে।
আইএমএফের প্রতিনিধি দল বলেছে, বর্তমানে রিজার্ভ দেখানো হচ্ছে ৩৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। আইএমএফের এই শর্ত মেনে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। সে হিসাবে রিজার্ভ কমে হবে ২৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে আকু’র ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা নেমে আসবে ২৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে। গত মাসে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকতে হয়।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৪৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে। এদিকে অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রিজার্ভ নামবে ২৫ বিলিয়ন ডলারে!

আপডেট সময় : ০২:৫৬:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে উদ্বেগ কমছে-ই না। থামছে না আলোচনা ও বিতর্ক। এর মধ্যেই উদ্বেগ বাড়ানোর নতুন আভাস দিচ্ছে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) সম্ভাব্য পেমেন্ট। ওই পে-মেন্টের পর রিজার্ভ এক ধাপে অনেকটুকু নেমে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে রিজার্ভ আছে ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। আইএমএফের হিসাবে রিজার্ভ ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। তবে আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করা হবে। এতে আইএমএফের মানদ-ে রিজার্ভ কমে দাড়াবে সাড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইএমএফের চলমান বৈঠকগুলোতে রিজার্ভের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। জানা গেছে, রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সরবরাহ করা ৭ বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০ কোটি ডলার রিজার্ভে দেখাচ্ছে। এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলে ৩ কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে ৪ কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইটিএফসি) আমানত রিজার্ভে দেখাচ্ছে।
আইএমএফের প্রতিনিধি দল বলেছে, বর্তমানে রিজার্ভ দেখানো হচ্ছে ৩৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৫৮৫ কোটি ডলার। সেখান থেকে ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। আইএমএফের এই শর্ত মেনে নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে। সে হিসাবে রিজার্ভ কমে হবে ২৭ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
জানা গেছে, চলতি সপ্তাহে আকু’র ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর তা নেমে আসবে ২৫ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে। গত মাসে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। সেই হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। আন্তর্জাতিক মানদ- অনুযায়ী একটি দেশের কমপক্ষে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকতে হয়।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৪৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে। এদিকে অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।