রাশিয়া আক্রমণের পর থেকেই ক্রমশ বিদ্যুৎ সংকট তৈরি হয়েছে গোটা ইউক্রেনে। তবে গত কয়েকদিন আগের রকেট হামলায় কিয়েভের পানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছিল। মঙ্গলবার তা কিছুটা স্বাবাবিক হয়েছে।
কিয়েভের মেয়র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। মানুষ জল পেয়েছেন। অধিকাংশ এলাকাতেই বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানো গেছে। তবে এখনো নিয়ম করে দিনের নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং করা হচ্ছে। বিদ্যুতের চাহিদার চেয়ে জোগান কম বলেই এই ব্যবস্থা করতে হয়েছে।
সোমবার ইউক্রেনে ৫৫টি ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুঁড়েছিল রাশিয়া। তার মধ্যে একাধিক কিয়েভে কিয়ে পড়ে। অভিযোগ, বেসামরিক কাঠামো লক্ষ্য করে ওই দিন আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। যার জেরে একাধিক বাড়ি যেমন ধ্বংস হয়েছে, তেমনই ধ্বংস হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাঠামো, জলের লাইন ইত্যাদি। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ইউক্রেন তা সারানোর ব্যবস্থা করে। প্রতিটি এলাকায় জল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। মঙ্গলবার দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষ হাতে বোতল নিয়ে জলের লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।
এদিকে মঙ্গলবার রাশিয়া অভিযোগ করেছে, নর্ড স্ট্রিম পাইপ লাইনে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল যুক্তরাজ্যের সেনা এবং গোয়েন্দা। রাশিয়া দাবি করেছে, তাদের হাতে এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে নর্ড স্ট্রিম এক এবং দুই দুইটি পাইপলাইনেই বিস্ফোরণ ঘটে। সুইডেন, ডেনমার্ক-সহ একাধিক দেশ এই ঘটনার তদন্ত করছিল। বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, একথা মানলেও কারা এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী, তা নিয়ে এতদিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো কোনো মন্তব্য করেনি। মঙ্গলবার রাশিয়া প্রথম এ বিষয়ে মুখ খুলল। তাদের বক্তব্য, তাদের কাছে যে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে- তাতে স্পষ্ট, যুক্তরাজ্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘আমাদের হাতে তথ্যপ্রমাণ আছে যে যুক্তরাজ্য একাজ করেছে। সন্ত্রাসীরা গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।’
পেসকভের অভিযোগ, পাইপলাইনে বিস্ফোরণ নিয়ে ইউরোপ আশ্চর্যজনকভাবে নীরব। তার আশা, এবার সেই নীরবতা ভঙ্গ হবে। সম্প্রতি জার্মানির প্রেসিডেন্টকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়া যেভাবে চলছে, তাতে তার আশঙ্কা, যে কোনোদিন পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার হতে পারে। রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে তিনি ভয় পাচ্ছেন। হিরোশিমা, নাগাসাকির স্মৃতি যেন আর ফিরে না আসে। এবং একাজ করলে তা একমাত্র রাশিয়াই করতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পানি-বিদ্যুৎ ফিরেছে কিয়েভে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ