ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

চুল সোজা করার আগে সাবধান

  • আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৩ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল সোজা বা ‘স্ট্রেইট’ করার রাসায়নিকগুলো থেকে হতে পারে জরায়ূতে ক্যান্সার। বিষয়টা এমন নয় যে, আজ ‘স্ট্রেইট’ করালেন আর কালই ক্যান্সার হয়ে গেল। তবে সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল বলছে, চুল সোজা করতে গিয়ে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা থেকে বৃদ্ধ বয়সে জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এনভায়রনমেন্টাল হেল্থ সায়েন্স (এনআইইএইচএস)’ পরিচালিত এই পর্যবেক্ষণ মূলক গবেষণায় বলা হয়, যারা বছরে চারবার চুল সোজা করতে গিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসেন তাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা অন্যান্যদের তুলনা দ্বিগুন হতে পারে। এনআইইএইচএস পরিচালিত আগের গবেষণা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১১ বছর ধরে ৩৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সি, ৩৩ হাজার ৪৯৭ জন নারীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৭৮টি ঘটনায় জরায়ুতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। গবেষকরা আরও জানায়, এই ক্যান্সারের সঙ্গে চুলে ব্যবহৃত অন্যান্য রাসায়নিক, যেমন- হাইলাইট, ব্লিচ বা হেয়ার ডাই’য়ের কোনো সম্পৃক্ততা মেলেনি।
‘এনআইইএইচএস এনভাইরনমেন্ট অ্যান্ড ক্যান্সার এপিডেমিওলজি গ্রুপ’ ও এই গবেষণার প্রধান ড. অ্যালেক্সান্ড্রা হোয়াইট ব্যাখ্যা করেন, “হিসাব করে দেখা গেছে, কখনও ‘স্ট্রেইটনার’ ব্যবহার করেননি এমন ১.৬৪ শতাংশ নারীর ৭০ বছর বয়সে জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে। আর যারা ঘন ঘন ‘স্ট্রেইট’ করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার হওয়ার মাত্রা আরও ৪.০৫ শতাংশ বাড়তে পারে।”
এই গবেষণার ফলাফল ধরে সায়েন্স ডেইলি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ নারী। যদিও বর্ণ, স্ট্রেইটনার ব্যবহার ও জরায়ুর ক্যান্সারের মধ্যে কোনো সম্পর্ক এখানে গণনা করা হয়নি। তবে কি কৃষ্ণাঙ্গদের এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
উত্তরে এই গবেষকদের একজন ড. চি-ইউং চ্যান ব্যাখ্যা করেন, “কারণ অন্যান্য শ্রেণী ও বর্ণের চাইতে অল্প বয়স থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে চুল স্ট্রেইট করার পণ্য ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।”
যেসব উপাদান দোষী : গবেষকদের মতে, স্টেইটনার’য়ের মধ্যে থাকা ‘ফর্মালডিহাইড’, ‘মেটাল্স’, ‘প্যারাবেন্স’ এবং ‘বিসফোনেল এ’ উপাদানগুলো হতে পারে ক্ষতিকর। আর চুল সোজা করার সময় ‘স্ট্রেইটনার’ পণ্য অনেকক্ষণ ধরে মাথার সংস্পর্শে থাকে। যে কারণে এই ধরনের রাসায়নিক থেকে ঝুঁকির পরিমাণও বেশি। পাশাপাশি চুল ও মাথার ত্বক পুড়িয়েও ফেলতে পারে। ড. হোয়াইট বলেন, “আমাদের জানা মতে এই ধরনের গবেষণা এবারই প্রথম করা হল। বিষয়টা নিয়ে আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জনসংখ্যার ওপরও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”
এই গবেষণার আগে, তারা উদ্ঘাটন করেছিল যে, ‘স্ট্রেইটনার ট্রিটমেন্ট’ ও স্থায়ী ‘হেয়ার ডাই’ ব্যবহার থেকে ডিম্বাশয় ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

চুল সোজা করার আগে সাবধান

আপডেট সময় : ০১:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

লাইফস্টাইল ডেস্ক : চুল সোজা বা ‘স্ট্রেইট’ করার রাসায়নিকগুলো থেকে হতে পারে জরায়ূতে ক্যান্সার। বিষয়টা এমন নয় যে, আজ ‘স্ট্রেইট’ করালেন আর কালই ক্যান্সার হয়ে গেল। তবে সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল বলছে, চুল সোজা করতে গিয়ে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা থেকে বৃদ্ধ বয়সে জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ এনভায়রনমেন্টাল হেল্থ সায়েন্স (এনআইইএইচএস)’ পরিচালিত এই পর্যবেক্ষণ মূলক গবেষণায় বলা হয়, যারা বছরে চারবার চুল সোজা করতে গিয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসেন তাদের জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা অন্যান্যদের তুলনা দ্বিগুন হতে পারে। এনআইইএইচএস পরিচালিত আগের গবেষণা এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১১ বছর ধরে ৩৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সি, ৩৩ হাজার ৪৯৭ জন নারীর ওপর পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। এর মধ্যে ৩৭৮টি ঘটনায় জরায়ুতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। গবেষকরা আরও জানায়, এই ক্যান্সারের সঙ্গে চুলে ব্যবহৃত অন্যান্য রাসায়নিক, যেমন- হাইলাইট, ব্লিচ বা হেয়ার ডাই’য়ের কোনো সম্পৃক্ততা মেলেনি।
‘এনআইইএইচএস এনভাইরনমেন্ট অ্যান্ড ক্যান্সার এপিডেমিওলজি গ্রুপ’ ও এই গবেষণার প্রধান ড. অ্যালেক্সান্ড্রা হোয়াইট ব্যাখ্যা করেন, “হিসাব করে দেখা গেছে, কখনও ‘স্ট্রেইটনার’ ব্যবহার করেননি এমন ১.৬৪ শতাংশ নারীর ৭০ বছর বয়সে জরায়ুর ক্যান্সার হতে পারে। আর যারা ঘন ঘন ‘স্ট্রেইট’ করছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ক্যান্সার হওয়ার মাত্রা আরও ৪.০৫ শতাংশ বাড়তে পারে।”
এই গবেষণার ফলাফল ধরে সায়েন্স ডেইলি’তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ নারী। যদিও বর্ণ, স্ট্রেইটনার ব্যবহার ও জরায়ুর ক্যান্সারের মধ্যে কোনো সম্পর্ক এখানে গণনা করা হয়নি। তবে কি কৃষ্ণাঙ্গদের এই ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি?
উত্তরে এই গবেষকদের একজন ড. চি-ইউং চ্যান ব্যাখ্যা করেন, “কারণ অন্যান্য শ্রেণী ও বর্ণের চাইতে অল্প বয়স থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে চুল স্ট্রেইট করার পণ্য ব্যবহারের প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।”
যেসব উপাদান দোষী : গবেষকদের মতে, স্টেইটনার’য়ের মধ্যে থাকা ‘ফর্মালডিহাইড’, ‘মেটাল্স’, ‘প্যারাবেন্স’ এবং ‘বিসফোনেল এ’ উপাদানগুলো হতে পারে ক্ষতিকর। আর চুল সোজা করার সময় ‘স্ট্রেইটনার’ পণ্য অনেকক্ষণ ধরে মাথার সংস্পর্শে থাকে। যে কারণে এই ধরনের রাসায়নিক থেকে ঝুঁকির পরিমাণও বেশি। পাশাপাশি চুল ও মাথার ত্বক পুড়িয়েও ফেলতে পারে। ড. হোয়াইট বলেন, “আমাদের জানা মতে এই ধরনের গবেষণা এবারই প্রথম করা হল। বিষয়টা নিয়ে আরও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জনসংখ্যার ওপরও পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।”
এই গবেষণার আগে, তারা উদ্ঘাটন করেছিল যে, ‘স্ট্রেইটনার ট্রিটমেন্ট’ ও স্থায়ী ‘হেয়ার ডাই’ ব্যবহার থেকে ডিম্বাশয় ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।