ঢাকা ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

বেশি ঘাঁটাবেন না সামাল দিতে পারবেন না: কাদেরকে ফখরুল

  • আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২
  • ৬৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটির কড়া জবাব দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলব—বেশি ঘাঁটাবেন না, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না, সামাল দিতে পারবেন না।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল রোববার দুপুরে যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর আগে ৭ নভেম্বর ঘিরে কর্মসূচির বিষয়ে অঙ্গসংগঠন ও দলগুলোর সঙ্গে যৌথসভা করেন বিএনপি মহাসচিব।
আগের দিন শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল এখন চাঙা হয়ে গেছে। টাকা পাচ্ছে তো। দুবাই থেকে টাকা আসতেছে। ফখরুল শুয়ে আছে টাকার বস্তার ওপর। টাকারে টাকা! দুবাইয়ের টাকা। এই তো এল টাকা। ফখরুল মহাখুশি। টাকা পাইলেই বিএনপি খুশি। টাকা উড়ে আকাশে, বাতাসে। টাকা উড়ে পাড়ায়-মহল্লায়।’
ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি নাকি দুবাইয়ের টাকা পাই, টাকার ওপর ঘুমাই। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলব—বেশি ঘাঁটাবেন না, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না, সামাল দিতে পারবেন না। বেশি ঘাঁটালে কেঁচো বেরিয়ে আসবে।’ ‘আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের টাকায় চাঁদা দিয়ে সমাবেশ করছেন। আর আপনারা কী করেন—এটা সবাই জানে’—যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দিস ইজ ভেরি আনফরচুনেট। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, এত টাকা কোথা থেকে আসে, দেশবাসী জানে। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।’
আওয়ামী লীগের কে কোথায় কত টাকা রাখছে, কোথায় সেকেন্ড হোম করছে সব খবরই রাখেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারাকে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছেন। কে কোথায় ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। আপনারা কানাডাতে বেগমপাড়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করলেন—সব খবর রাখি।…এগুলো মানুষের টাকা। এগুলো মানুষের করের টাকা। আপনাদের চেহারার দিকে তাকানো যায় না।’
সংবাদ সম্মেলনে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে যৌথ সভার সিদ্ধান্তও জানান মির্জা ফখরুল। ওইদিন সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন। দুপুর ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যে সারা দেশে জেলা ও মহানগরের পোস্টার পাঠানো হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, অঙ্গসংগঠনের নেতা সুলতানা আহমেদ, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বেশি ঘাঁটাবেন না সামাল দিতে পারবেন না: কাদেরকে ফখরুল

আপডেট সময় : ১২:৪৮:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাকে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটির কড়া জবাব দিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলব—বেশি ঘাঁটাবেন না, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না, সামাল দিতে পারবেন না।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল রোববার দুপুরে যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। এর আগে ৭ নভেম্বর ঘিরে কর্মসূচির বিষয়ে অঙ্গসংগঠন ও দলগুলোর সঙ্গে যৌথসভা করেন বিএনপি মহাসচিব।
আগের দিন শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল এখন চাঙা হয়ে গেছে। টাকা পাচ্ছে তো। দুবাই থেকে টাকা আসতেছে। ফখরুল শুয়ে আছে টাকার বস্তার ওপর। টাকারে টাকা! দুবাইয়ের টাকা। এই তো এল টাকা। ফখরুল মহাখুশি। টাকা পাইলেই বিএনপি খুশি। টাকা উড়ে আকাশে, বাতাসে। টাকা উড়ে পাড়ায়-মহল্লায়।’
ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি নাকি দুবাইয়ের টাকা পাই, টাকার ওপর ঘুমাই। ওবায়দুল কাদের সাহেবকে বলব—বেশি ঘাঁটাবেন না, ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না, সামাল দিতে পারবেন না। বেশি ঘাঁটালে কেঁচো বেরিয়ে আসবে।’ ‘আমরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে রাজনীতি করি। আমাদের নেতাকর্মীরা নিজেদের টাকায় চাঁদা দিয়ে সমাবেশ করছেন। আর আপনারা কী করেন—এটা সবাই জানে’—যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দিস ইজ ভেরি আনফরচুনেট। কার কয়টা বাড়ি, কার কত টাকা আছে, এত টাকা কোথা থেকে আসে, দেশবাসী জানে। আমি ব্যক্তিগত আক্রমণে যেতে চাই না। এটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।’
আওয়ামী লীগের কে কোথায় কত টাকা রাখছে, কোথায় সেকেন্ড হোম করছে সব খবরই রাখেন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারাকে কোথায় হাজার হাজার কোটি টাকার বাড়ি করছেন। কে কোথায় ব্যাংকের লোন নিয়ে পাচার করে দিচ্ছেন। আপনারা কানাডাতে বেগমপাড়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করলেন—সব খবর রাখি।…এগুলো মানুষের টাকা। এগুলো মানুষের করের টাকা। আপনাদের চেহারার দিকে তাকানো যায় না।’
সংবাদ সম্মেলনে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে যৌথ সভার সিদ্ধান্তও জানান মির্জা ফখরুল। ওইদিন সকাল ছয়টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বেলা ১১টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতিহা পাঠ করবেন। দুপুর ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উন্মুক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ইতিমধ্যে সারা দেশে জেলা ও মহানগরের পোস্টার পাঠানো হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, অঙ্গসংগঠনের নেতা সুলতানা আহমেদ, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।