ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

মেটাভার্সের পেছনে খরচে লাগাম টানার দাবি বিনিয়োগকারীর

  • আপডেট সময় : ১০:০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : মার্ক জাকারবার্গের সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের সাম্প্রতিক কর্মকা-ে সন্তুষ্ট নন বিনিয়োগকারীরা। কর্মিসংখ্যা ২০ শতাংশ ও ‘মেটাভার্স’ খাতে বিনিয়োগের আকার কমানোর ‘পরামর্শ’ এসেছে কোম্পানিকে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে।
“বিশ্বের সেরা কর্মীদের আকৃষ্ট করতে, উদ্বুদ্ধ করতে এবং ধরে রাখতে বিনিয়োগকারী, কর্মী এবং সার্বিক প্রযুক্তি খাতের মানুষদের আত্মবিশ্বাস নতুন করে অর্জন করতে হবে মেটাকে,” জাকারবার্গ ও মেটার উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে বলেছেন মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘অল্টিমিটার ক্যাপিটাল’ এর প্রধান নির্বাহী ব্র্যাড গার্স্টনার। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কর্মী রয়েছে কোম্পানির এবং বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে মেটা খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে সোমবারের চিঠিতে লিখেছেন তিনি।
কোম্পানির ‘হারানো জাদু’ ফিরে পেতে কর্মিসংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর এবং মেটাভার্সের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নির্মাণের পেছনে বার্ষিক বিনিয়োগের আকার পাঁচশ কোটি ডলারে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন গার্স্টনার। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মেটার ২০ লাখের বেশি শেয়ার ছিল অল্টিমিটার ক্যাপিটালের মালিকানায়।
সিএনবিসি বলছে, মেটার বিনিয়োগকারীরা যে কোম্পানির সাম্প্রতিক কর্মকা-ে সন্তুষ্ট নন, তার প্রমাণ এই চিঠি। ২০২২ সালেই শেয়ার বাজারে মেটার শেয়ার দর পড়েছে ৬১ শতাংশ। ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়ালিটি খাতে অবস্থান তৈরি করতে জাকারবার্গের কোম্পানি যেভাবে উঠে-পড়ে লেগেছে, তাতেও যে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস নেই, গার্স্টনারের চিঠিতে সে বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে মন্তব্য সিএনবিসির। গত বছরেই সেবাগ্রাহকদের মানসিক স্বাস্থ্য অগ্রাহ্য করে মুনাফার আয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগের মুখে নাম পাল্টে ফেসবুক থেকে মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি। ভিআর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার নির্মাণে প্রতি বছর এক হাজার কোটি ডলার করে খরচ করছে এই সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট। ১১ অক্টোবর নতুন ভিআর হেডসেট ‘কোয়েস্ট প্রো’ উন্মোচন করেছে জাকারবার্গের কোম্পানি। কিন্তু নতুন হেডসেট এবং কোম্পানির মেটাভার্স অ্যাপ ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’ যে ব্যবহারকারীদের মন জয় করতে পারছে, তার উল্লেখযোগ্য কোনো ইঙ্গিত নেই বলে জানিয়েছে সিএনবিসি।
মেটাভার্স প্রসঙ্গে গার্স্টনার চিঠিতে লিখেছেন, “আসলে মেটাভার্সের মানে কী, সে বিষয়েই মানুষ এখনও বিভ্রান্ত। কোম্পানি যদি বছরে একশ থেকে দুইশ কোটি ডলার এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতো, তাহলে হয়তো এই বিভ্রান্তি কোনো জটিলতার কারণ হতো না।”
কোম্পানি মেটাভার্স খাতে যতো খরচ করছে, সেটি থেকে ফলপ্রসূ কিছু আসতে এক দশকের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। “সিলিকন ভ্যালির প্রথা বিবেচনায় নিলেও অজানা ভবিষ্যতের পেছনে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ করা সত্যিই ভয়ংকর।” সব মিলিয়ে, মেটা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ করছে- এ বক্তব্যই উঠে এসেছে গার্স্টনারের ভাষ্যে। খরচ কমাতে পারলে মেটার হাতে থাকা নগদ অর্থের আকার দ্বিগুণ হবে এবং কোম্পানির শেয়ারের দামও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে, চিঠির বক্তব্য মেটার কাছে বিনিয়োগকারীদের কোনো ‘চাহিদা’ নয় বলেও উল্লেখ করে দিয়েছেন গার্স্টনার; বরং তার কোম্পানি মেটার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আলোচনা করতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি। গার্স্টনারের চিঠি প্রসঙ্গে মেটার প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেও কোনো উত্তর পায়নি সিএনবিসি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মেটাভার্সের পেছনে খরচে লাগাম টানার দাবি বিনিয়োগকারীর

আপডেট সময় : ১০:০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ অক্টোবর ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : মার্ক জাকারবার্গের সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টের সাম্প্রতিক কর্মকা-ে সন্তুষ্ট নন বিনিয়োগকারীরা। কর্মিসংখ্যা ২০ শতাংশ ও ‘মেটাভার্স’ খাতে বিনিয়োগের আকার কমানোর ‘পরামর্শ’ এসেছে কোম্পানিকে পাঠানো এক খোলা চিঠিতে।
“বিশ্বের সেরা কর্মীদের আকৃষ্ট করতে, উদ্বুদ্ধ করতে এবং ধরে রাখতে বিনিয়োগকারী, কর্মী এবং সার্বিক প্রযুক্তি খাতের মানুষদের আত্মবিশ্বাস নতুন করে অর্জন করতে হবে মেটাকে,” জাকারবার্গ ও মেটার উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে বলেছেন মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘অল্টিমিটার ক্যাপিটাল’ এর প্রধান নির্বাহী ব্র্যাড গার্স্টনার। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কর্মী রয়েছে কোম্পানির এবং বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে মেটা খুব ধীরগতিতে এগোচ্ছে বলে সোমবারের চিঠিতে লিখেছেন তিনি।
কোম্পানির ‘হারানো জাদু’ ফিরে পেতে কর্মিসংখ্যা ২০ শতাংশ কমানোর এবং মেটাভার্সের জন্য সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার নির্মাণের পেছনে বার্ষিক বিনিয়োগের আকার পাঁচশ কোটি ডলারে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন গার্স্টনার। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মেটার ২০ লাখের বেশি শেয়ার ছিল অল্টিমিটার ক্যাপিটালের মালিকানায়।
সিএনবিসি বলছে, মেটার বিনিয়োগকারীরা যে কোম্পানির সাম্প্রতিক কর্মকা-ে সন্তুষ্ট নন, তার প্রমাণ এই চিঠি। ২০২২ সালেই শেয়ার বাজারে মেটার শেয়ার দর পড়েছে ৬১ শতাংশ। ভার্চুয়াল ও অগমেন্টেড রিয়ালিটি খাতে অবস্থান তৈরি করতে জাকারবার্গের কোম্পানি যেভাবে উঠে-পড়ে লেগেছে, তাতেও যে বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস নেই, গার্স্টনারের চিঠিতে সে বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে মন্তব্য সিএনবিসির। গত বছরেই সেবাগ্রাহকদের মানসিক স্বাস্থ্য অগ্রাহ্য করে মুনাফার আয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগের মুখে নাম পাল্টে ফেসবুক থেকে মেটা প্ল্যাটফর্মস ইনকর্পোরেটেড হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি। ভিআর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার নির্মাণে প্রতি বছর এক হাজার কোটি ডলার করে খরচ করছে এই সোশাল মিডিয়া জায়ান্ট। ১১ অক্টোবর নতুন ভিআর হেডসেট ‘কোয়েস্ট প্রো’ উন্মোচন করেছে জাকারবার্গের কোম্পানি। কিন্তু নতুন হেডসেট এবং কোম্পানির মেটাভার্স অ্যাপ ‘হরাইজন ওয়ার্ল্ডস’ যে ব্যবহারকারীদের মন জয় করতে পারছে, তার উল্লেখযোগ্য কোনো ইঙ্গিত নেই বলে জানিয়েছে সিএনবিসি।
মেটাভার্স প্রসঙ্গে গার্স্টনার চিঠিতে লিখেছেন, “আসলে মেটাভার্সের মানে কী, সে বিষয়েই মানুষ এখনও বিভ্রান্ত। কোম্পানি যদি বছরে একশ থেকে দুইশ কোটি ডলার এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতো, তাহলে হয়তো এই বিভ্রান্তি কোনো জটিলতার কারণ হতো না।”
কোম্পানি মেটাভার্স খাতে যতো খরচ করছে, সেটি থেকে ফলপ্রসূ কিছু আসতে এক দশকের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। “সিলিকন ভ্যালির প্রথা বিবেচনায় নিলেও অজানা ভবিষ্যতের পেছনে আনুমানিক ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি খরচ করা সত্যিই ভয়ংকর।” সব মিলিয়ে, মেটা প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খরচ করছে- এ বক্তব্যই উঠে এসেছে গার্স্টনারের ভাষ্যে। খরচ কমাতে পারলে মেটার হাতে থাকা নগদ অর্থের আকার দ্বিগুণ হবে এবং কোম্পানির শেয়ারের দামও বাড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে, চিঠির বক্তব্য মেটার কাছে বিনিয়োগকারীদের কোনো ‘চাহিদা’ নয় বলেও উল্লেখ করে দিয়েছেন গার্স্টনার; বরং তার কোম্পানি মেটার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে আলোচনা করতে চায় বলে জানিয়েছেন তিনি। গার্স্টনারের চিঠি প্রসঙ্গে মেটার প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেও কোনো উত্তর পায়নি সিএনবিসি।