ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

নামের মিলে কারাগারে, সেই মানিককে জামিনে মুক্তির নির্দেশ

  • আপডেট সময় : ০১:০৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
  • ১১১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় মাদক মামলায় এক মানিকের পরিবর্তে কারাগারে থাকা আরেক মানিককে জামিনে মুক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার প্রকৃত আসামি মানিকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তিনি বলেন, আজকে এ বিষয়টি আদেশের জন্য ছিল। আদালতে আমরা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি। সেই মানিককে মুক্তি ও এ মামলার দুইজন তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক মামলায় এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেন- এমন অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও মানিকের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন অঅদালত। আদালত আদেশে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রকৃত অপরাধী মানিক মিয়াকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও জেল সুপারকে সব তথ্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায় এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেন- এমন অভিযোগ এনে ‘নির্দোষ’ মানিকের মুক্তি চেয়ে রিট করা হয়। আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা হয়। পরে ওই মামলার আসামি মো. মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছু দিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার মো. জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মো. মানিক মিয়া। মানিক হাওলাদারের ছোট ভাই রতন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি হচ্ছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম চাঁন ব্যাপারী কান্দী গ্রামে। আমার বাবার নাম নজরুল ইসলাম, মায়ের নাম রেজিয়া বেগম। অন্যদিকে মামলার যে প্রকৃত আসামি মো. মানিক মিয়া তার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা, মায়ের নাম লুতফা বেগম। গ্রাম হচ্ছে মালতকান্দি। সখিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত মো. মানিক মিয়ার স্থলে শুধু নামের মিল থাকার কারণে মানিক হাওলাদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নামের মিলে কারাগারে, সেই মানিককে জামিনে মুক্তির নির্দেশ

আপডেট সময় : ০১:০৭:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় মাদক মামলায় এক মানিকের পরিবর্তে কারাগারে থাকা আরেক মানিককে জামিনে মুক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ মামলার প্রকৃত আসামি মানিকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন। আদালতের আদেশের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তিনি বলেন, আজকে এ বিষয়টি আদেশের জন্য ছিল। আদালতে আমরা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি। সেই মানিককে মুক্তি ও এ মামলার দুইজন তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি রেকর্ড করতে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ৭ মার্চ মাদক মামলায় এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেন- এমন অভিযোগে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। এছাড়াও মানিকের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চেয়ে রুল জারি করেন অঅদালত। আদালত আদেশে শরিয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রকৃত অপরাধী মানিক মিয়াকে চিহ্নিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ও জেল সুপারকে সব তথ্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী পার্থ সারথী রায় এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এক মানিকের স্থলে অন্য মানিক জেল খাটছেন- এমন অভিযোগ এনে ‘নির্দোষ’ মানিকের মুক্তি চেয়ে রিট করা হয়। আইনজীবীরা জানান, ২০০৯ সালে একটি গাড়িতে ৬৬৮ বোতল ফেনসিডিল পাওয়ার অভিযোগে ওই বছরের ২ জুন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা হয়। পরে ওই মামলার আসামি মো. মানিক মিয়াকে ২০০৯ সালের ৩ জুন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছু দিন কারাভোগের পর একই বছর হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মানিক। মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে চার আসামিকে চার বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।
আসামিরা হলেন- ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার মন্টু শেখ ওরফে জামাল উদ্দিন ও সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী বাউফল থানার মো. জামাল হোসেন ও শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানার মো. মানিক মিয়া। মানিক হাওলাদারের ছোট ভাই রতন হাওলাদার বলেন, আমাদের বাড়ি হচ্ছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আলম চাঁন ব্যাপারী কান্দী গ্রামে। আমার বাবার নাম নজরুল ইসলাম, মায়ের নাম রেজিয়া বেগম। অন্যদিকে মামলার যে প্রকৃত আসামি মো. মানিক মিয়া তার বাবার নাম ইব্রাহিম মৃধা, মায়ের নাম লুতফা বেগম। গ্রাম হচ্ছে মালতকান্দি। সখিপুরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড।
চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি সাজাপ্রাপ্ত মো. মানিক মিয়ার স্থলে শুধু নামের মিল থাকার কারণে মানিক হাওলাদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।