ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

রাবির পরিবহনের ট্রিপ বাড়ানোর দাবি

  • আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরিবহনের ট্রিপ বাড়ানো, চলমান পরিবহন খাতের হিসাব দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় রাবির অগ্রণী ব্যাংকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী এ মানববন্ধন করে। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ, পরিবহন চত্বর সংস্কার, পরিবহনে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ। কর্মসূচিতে বক্তারা পরিবহন দপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সব বাস মিলে ৭৫০ কিলোমিটার চলাচল করে। যার দৈনিক বাজেট ৭৪ হাজার টাকা। এই টাকায় ডিজেল পাওয়া যায় ৬৮০ লিটার। বিপরীতে খরচ হয় দৈনিক গড়ে ১৫০ লিটার। কিন্তু অবশিষ্ট ৫৩০ লিটার তেলের টাকার হিসাব নেই। ছাত্রমৈত্রীর রাবি সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, “বাসের ট্রিপসংখ্যা কমানোর ফলে যেসব শিক্ষার্থীর ক্লাস সকাল ৯টায় ও ১১টায়, তাকে ৭টার বাসে ক্যাম্পাসে এসে বসে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্য জ্বালানি সংকট সমাধান নয়, তাদের উদ্দেশ্য এখান থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করা। যার মধ্য দিয়ে তারা তাদের লুটপাটের বৈধতা নিশ্চিত করছে।” প্রশাসনের এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য পরিবহন ও খাবারসহ যেসব খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে ভতুর্কি দিতে হবে। এ ছাড়াও অনেক সময় দেখা যায়, পরিবহন খাতে লোকবল সংকটের কারণে মেকানিক ও বাসের হেল্পার দিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার দাবিও জানান এ শিক্ষার্থী।
রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, “২০১৬ ও আগের সময়ে বাসের ট্রিপসংখ্যা ছিল আটটি কিন্তু বর্তমানে তা কমে এসেছে দুটিতে। কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক রাজনীতির অজুহাত দেখানো হচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছর একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঠিকই ৩৬০ টাকা পরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। সে হিসেবে মোট শিক্ষার্থী ৩৮ হাজার হলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।” “পরিবহন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সবগুলো বাস দৈনিক গড়ে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার চলাচল করে। যার দৈনিক বাজেট ৭৪ হাজার টাকা। এই টাকায় ডিজেল পাওয়া যায় ৬৮০ লিটার। বিপরীতে খরচ হয় দৈনিক গড়ে ১৫০ লিটার। অবশিষ্ট ৫৩০ লিটার তেলের টাকার হিসাব নেই। অথচ বাসের ট্রিপ বাড়ানো হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের এই টাকা অন্যখাতে চলে যায়। এর আগে আমরা যেমনটা দেখেছি, রাকসুর নির্ধারিত টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতে অথচ রাকসুর কোনো কমিটি নেই। তাই আমরা এই তেলের টাকার হিসাব চাই এবং বাসের ট্রিপ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।” মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার খন্দকার, সহ-সাংগঠনিক তারিকুল হাসান ও সদস্য বাবলু হাসদা ছিলেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

রাবির পরিবহনের ট্রিপ বাড়ানোর দাবি

আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২

ক্যাম্পাস ও ক্যারিয়ার ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরিবহনের ট্রিপ বাড়ানো, চলমান পরিবহন খাতের হিসাব দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় রাবির অগ্রণী ব্যাংকের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী এ মানববন্ধন করে। অন্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ, পরিবহন চত্বর সংস্কার, পরিবহনে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ। কর্মসূচিতে বক্তারা পরিবহন দপ্তরের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, সব বাস মিলে ৭৫০ কিলোমিটার চলাচল করে। যার দৈনিক বাজেট ৭৪ হাজার টাকা। এই টাকায় ডিজেল পাওয়া যায় ৬৮০ লিটার। বিপরীতে খরচ হয় দৈনিক গড়ে ১৫০ লিটার। কিন্তু অবশিষ্ট ৫৩০ লিটার তেলের টাকার হিসাব নেই। ছাত্রমৈত্রীর রাবি সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, “বাসের ট্রিপসংখ্যা কমানোর ফলে যেসব শিক্ষার্থীর ক্লাস সকাল ৯টায় ও ১১টায়, তাকে ৭টার বাসে ক্যাম্পাসে এসে বসে থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্য জ্বালানি সংকট সমাধান নয়, তাদের উদ্দেশ্য এখান থেকে অতিরিক্ত মুনাফা লাভ করা। যার মধ্য দিয়ে তারা তাদের লুটপাটের বৈধতা নিশ্চিত করছে।” প্রশাসনের এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য পরিবহন ও খাবারসহ যেসব খাতে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে সেখানে ভতুর্কি দিতে হবে। এ ছাড়াও অনেক সময় দেখা যায়, পরিবহন খাতে লোকবল সংকটের কারণে মেকানিক ও বাসের হেল্পার দিয়ে বাস চালানো হচ্ছে। তাই দ্রুত প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে এ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার দাবিও জানান এ শিক্ষার্থী।
রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন বলেন, “২০১৬ ও আগের সময়ে বাসের ট্রিপসংখ্যা ছিল আটটি কিন্তু বর্তমানে তা কমে এসেছে দুটিতে। কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়া ও বৈশ্বিক রাজনীতির অজুহাত দেখানো হচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছর একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ঠিকই ৩৬০ টাকা পরিবহন ভাড়া নেওয়া হয়। সে হিসেবে মোট শিক্ষার্থী ৩৮ হাজার হলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।” “পরিবহন দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সবগুলো বাস দৈনিক গড়ে প্রায় ৭৫০ কিলোমিটার চলাচল করে। যার দৈনিক বাজেট ৭৪ হাজার টাকা। এই টাকায় ডিজেল পাওয়া যায় ৬৮০ লিটার। বিপরীতে খরচ হয় দৈনিক গড়ে ১৫০ লিটার। অবশিষ্ট ৫৩০ লিটার তেলের টাকার হিসাব নেই। অথচ বাসের ট্রিপ বাড়ানো হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের এই টাকা অন্যখাতে চলে যায়। এর আগে আমরা যেমনটা দেখেছি, রাকসুর নির্ধারিত টাকা দিয়ে বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতে অথচ রাকসুর কোনো কমিটি নেই। তাই আমরা এই তেলের টাকার হিসাব চাই এবং বাসের ট্রিপ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।” মানববন্ধনে বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার খন্দকার, সহ-সাংগঠনিক তারিকুল হাসান ও সদস্য বাবলু হাসদা ছিলেন।