ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

অনায়াস জয়ে সুপার টুয়েলভ শুরু লঙ্কানদের

  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : সিমি সিংয়ের ফুল লেংথ বল হাঁটু গেড়ে স্লগ করে স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে ফেললেন কুসল মেন্ডিস। জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা। শেষটা যেমন দাপুটে ছিল লঙ্কানদের, ম্যাচ জুড়েও তা-ই। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৩০ রানের আগে আটকে রাখে আয়ারল্যান্ডকে। পরে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলকে এনে দেন সহজ জয়। হোবার্টে রোববার প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে আসা দুই দলের লড়াইয়ে আইরিশদের পাত্তাই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ৯ উইকেটের বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু করে ২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার যৌথভাবে বড় জয় এটি। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকেও হারিয়েছিল ৯ উইকেটে। বেলেরিভ ওভালে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডকে ১২৮ রানে আটকে রাখে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের অপরাজিত ৬৮ রানের সুবাদে ৩০ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। ৪৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে গড়া আক্রমণাত্মক ইনিংসে এই ওপেনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আইরিশদের শুরুটাই ছিল বাজে। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন অ্যান্ডি বালবার্নি। লাহিরু কুমারার মিডল স্টাম্পের বল শাফল করে প্যাডল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন অধিনায়ক। মাহিশ থিকশানাকে শাফল করে খেলার চেষ্টায় স্টাম্প হারান লর্কান টাকারও। পরের ওভারে চামিকা করুনারতেœকে চার-ছক্কা হাঁকান পল স্টার্লিং। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। সপ্তম ওভারে স্টার্লিংয়ের সহজ ক্যাচ ছাড়েন লাহিরু কুমারা। ২৮ রানে জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আইরিশ ওপেনার। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচে তাকে থামান ভানুকা রাজাপাকসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পথে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা স্টার্লিং এদিন করেন চারটি চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে ৩৪ রান।
কার্টিস ক্যাম্পার, করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েও খেলতে নামা জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডায়াররা পারেননি দলের হাল ধরতে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নেন হ্যারি টেক্টর। চার নেমে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৪২ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। রান তাড়ায় লঙ্কানদের ভালো শুরু এনে দেন মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান তুলে ফেলে দলটি। পেয়ে যায় জয়ের ভিত। ধনাঞ্জয়াকে ফেরানোর সুযোগ অবশ্য চতুর্থ ওভারেই পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ব্যারি ম্যাককার্থির বল ব্যাটের পর শরীরে লেগে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে। জোরাল আবেদন করলেও রিভিউ নেয়নি আইরিশরা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। নবম ওভারে ডেলানিকে কাট শট খেলে কট বিহাইন্ড হন তিনি ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৫ বলে ৩১ রান করে। এরপর আবারও সুযোগ হারায় আয়ারল্যান্ড। চারিথ আসালাঙ্কার ক্যাচ মিডউইকেট সীমানায় ছাড়েন ডকরেল। এরপর আর শ্রীলঙ্কার কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় উইকেটে মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করে ফেলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেওয়ার পথে ডেলানিকে টানা দুই চার মেরে পঞ্চাশে পা রাখেন মেন্ডিস, ৩৭ বলে। ৩৬ বলে যখন চাই ১২ রান, দেরি যেন সহ্য হচ্ছিল না মেন্ডিসের। সিমির প্রথম বলে ছক্কায় ওড়ান তিনি। মাঝের চার বলে আসে চার রান। ওভারের শেষ বলে মারেন ম্যাচের ইতি টেনে দেওয়া সেই ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১২৮/৮ (স্টার্লিং ৩৪, বালবার্নি ১, টাকার ১০, টেক্টর ৪৫, ক্যাম্পার ২, ডকরেল ১৪, ডেলানি ৯, অ্যাডায়ার ০, সিমি ৭, ম্যাককার্থি ২; বিনুরা ৪-০-২৭-১, লাহিরু ২-০-১২-১, থিকশানা ৪-০-১৯-২, করুনারতেœ ৪-০-২৯-১, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, ধনাঞ্জয়া ২-০-১৩-১)
শ্রীলঙ্কা: ১৫ ওভারে ১৩৩/১ (মেন্ডিস ৬৮, ধনাঞ্জয়া ৩১, আসালাঙ্কা ৩১; লিটল ৪-০-৪৫-০, অ্যাডায়ার ২-০-১৬-০, ম্যাককার্থি ২-০-১৬-০, ডেলানি ৪-০-২৮-১, ক্যাম্পার ১-০-৮-০, সিমি ২-০-২০-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুসল মেন্ডিস

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অনায়াস জয়ে সুপার টুয়েলভ শুরু লঙ্কানদের

আপডেট সময় : ১০:৫৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : সিমি সিংয়ের ফুল লেংথ বল হাঁটু গেড়ে স্লগ করে স্কয়ার লেগ দিয়ে সীমানার বাইরে ফেললেন কুসল মেন্ডিস। জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা। শেষটা যেমন দাপুটে ছিল লঙ্কানদের, ম্যাচ জুড়েও তা-ই। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৩০ রানের আগে আটকে রাখে আয়ারল্যান্ডকে। পরে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলকে এনে দেন সহজ জয়। হোবার্টে রোববার প্রাথমিক পর্ব পেরিয়ে আসা দুই দলের লড়াইয়ে আইরিশদের পাত্তাই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। ৯ উইকেটের বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ পর্ব শুরু করে ২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের দিক থেকে শ্রীলঙ্কার যৌথভাবে বড় জয় এটি। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসকেও হারিয়েছিল ৯ উইকেটে। বেলেরিভ ওভালে এদিন টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা আয়ারল্যান্ডকে ১২৮ রানে আটকে রাখে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের অপরাজিত ৬৮ রানের সুবাদে ৩০ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা। ৪৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে গড়া আক্রমণাত্মক ইনিংসে এই ওপেনারই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আইরিশদের শুরুটাই ছিল বাজে। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন অ্যান্ডি বালবার্নি। লাহিরু কুমারার মিডল স্টাম্পের বল শাফল করে প্যাডল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হন অধিনায়ক। মাহিশ থিকশানাকে শাফল করে খেলার চেষ্টায় স্টাম্প হারান লর্কান টাকারও। পরের ওভারে চামিকা করুনারতেœকে চার-ছক্কা হাঁকান পল স্টার্লিং। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলে আয়ারল্যান্ড। সপ্তম ওভারে স্টার্লিংয়ের সহজ ক্যাচ ছাড়েন লাহিরু কুমারা। ২৮ রানে জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আইরিশ ওপেনার। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে বাউন্ডারিতে দারুণ ক্যাচে তাকে থামান ভানুকা রাজাপাকসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পথে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা স্টার্লিং এদিন করেন চারটি চার ও এক ছক্কায় ২৫ বলে ৩৪ রান।
কার্টিস ক্যাম্পার, করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়েও খেলতে নামা জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডায়াররা পারেননি দলের হাল ধরতে। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টেনে নেন হ্যারি টেক্টর। চার নেমে ১ ছক্কা ও ২ চারে ৪২ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। রান তাড়ায় লঙ্কানদের ভালো শুরু এনে দেন মেন্ডিস ও ধনাঞ্জয়া। তাদের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ৫০ রান তুলে ফেলে দলটি। পেয়ে যায় জয়ের ভিত। ধনাঞ্জয়াকে ফেরানোর সুযোগ অবশ্য চতুর্থ ওভারেই পেয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ব্যারি ম্যাককার্থির বল ব্যাটের পর শরীরে লেগে কিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে। জোরাল আবেদন করলেও রিভিউ নেয়নি আইরিশরা। সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। নবম ওভারে ডেলানিকে কাট শট খেলে কট বিহাইন্ড হন তিনি ১ ছক্কা ও ২ চারে ২৫ বলে ৩১ রান করে। এরপর আবারও সুযোগ হারায় আয়ারল্যান্ড। চারিথ আসালাঙ্কার ক্যাচ মিডউইকেট সীমানায় ছাড়েন ডকরেল। এরপর আর শ্রীলঙ্কার কোনো উইকেট নিতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় উইকেটে মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত করে ফেলে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেওয়ার পথে ডেলানিকে টানা দুই চার মেরে পঞ্চাশে পা রাখেন মেন্ডিস, ৩৭ বলে। ৩৬ বলে যখন চাই ১২ রান, দেরি যেন সহ্য হচ্ছিল না মেন্ডিসের। সিমির প্রথম বলে ছক্কায় ওড়ান তিনি। মাঝের চার বলে আসে চার রান। ওভারের শেষ বলে মারেন ম্যাচের ইতি টেনে দেওয়া সেই ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১২৮/৮ (স্টার্লিং ৩৪, বালবার্নি ১, টাকার ১০, টেক্টর ৪৫, ক্যাম্পার ২, ডকরেল ১৪, ডেলানি ৯, অ্যাডায়ার ০, সিমি ৭, ম্যাককার্থি ২; বিনুরা ৪-০-২৭-১, লাহিরু ২-০-১২-১, থিকশানা ৪-০-১৯-২, করুনারতেœ ৪-০-২৯-১, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, ধনাঞ্জয়া ২-০-১৩-১)
শ্রীলঙ্কা: ১৫ ওভারে ১৩৩/১ (মেন্ডিস ৬৮, ধনাঞ্জয়া ৩১, আসালাঙ্কা ৩১; লিটল ৪-০-৪৫-০, অ্যাডায়ার ২-০-১৬-০, ম্যাককার্থি ২-০-১৬-০, ডেলানি ৪-০-২৮-১, ক্যাম্পার ১-০-৮-০, সিমি ২-০-২০-০)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কুসল মেন্ডিস