ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

ঘাড় ব্যথায় যা করবেন

  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

স্বস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : শোভন আজকাল প্রায়ই ঘাড়ের ব্যথায় ভোগেন। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি জানান, এটা সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিসের কারণে হয়েছে। শোভন চিকিৎষককে বলেন, সারাদিন অফিসের বাইরে তিনি কিছুই করেন না। তার এ রোগের কারণ জানা গেলো, একনাগাড়ে অনেক সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করার ফলে তার এ সমস্যা হয়েছে। আমাদের অনেকেই এ সমস্যাতে ভুগছি।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘাড় ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হল সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। মেরুদ-ের ক্ষয় রোগ হলো স্পন্ডাইলোসিস আর মেরুদ-ের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়কে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস। আমাদের মেরুদ- গঠিত হয় হাড়, মাংশপেশী, হাড়ের জোড়া ইত্যাদি নিয়ে।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের কারণ
বয়স বাড়ার রোগ এটি। স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয় ৪০ বছর বয়সের পর থেকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও শুরু হয় হাড়ের ক্ষয়। আনুপাতিক হার পুরুষ বা নারী রোগীদের মধ্যে প্রায় সমান সমান।
যে পেশার মানুষের বেশি হয়
ঘাড় সামনে ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয় এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগটি বেশি দেখা যায়। যেমন- শুধুমাত্র চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করে এমন এক্সিকিউটিভ, কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ ইত্যাদি। ঘাড়ের আঘাতের জন্যও অনেক সময় হাড় ক্ষয় দেখা দেয়।
উপসর্গ

  • ঘাড়ের ব্যথা অনেক সময় কাঁধ থেকে ওপরের পিঠে, বুকে, মাথার পেছনে বা হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের ওপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যাথা হতে পারে।
  • হাত পায়ে দুর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে।
  • ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যথা লাগে। ডানে বায়ে ঘাড় ঘুরাতে সমস্যা হবে। ঘাড়ে স্থবিরতা লাগে বা জ্যাম মেরে ধরে থাকে।
  • ব্যথার সঙ্গে হাতে, বাহুতে ঝিন ঝ্নি, শির শির, অবশ ভাব, সূচ ফোটানোর অনুভূতি সঙ্গে হাত দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা।
  • এমন ব্যথা হলে ঘাড়ের এম আর আই, ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করা হয়।
    এবার চিকিৎসা
    ওষুধের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
    ঘাড় ব্যথা যেন না হয় এজন্য যা করতে হবে
  • শক্ত সমান বিছানায় এক বালিশে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে।
  • ঘুমানোর সময় ঘাড়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।
  • দরকার হলে বালিশ নিচে টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নেবেন।
  • ঘাড় সামনে ঝুঁকে বেশিক্ষণ কাজ করা যাবে না।
  • ব্যথা বেশি হলে ঘাড়ে হালকা গরম সেক দিতে পারেন।
  • এ সময় ঘাড়ের ব্যয়াম বেশ আরাম দেবে।
  • সার্ভিক্যাল কলার ব্যবহার করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।
ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ঘাড় ব্যথায় যা করবেন

আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

স্বস্থ্য ও পরিচর্যা ডেস্ক : শোভন আজকাল প্রায়ই ঘাড়ের ব্যথায় ভোগেন। চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি জানান, এটা সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিসের কারণে হয়েছে। শোভন চিকিৎষককে বলেন, সারাদিন অফিসের বাইরে তিনি কিছুই করেন না। তার এ রোগের কারণ জানা গেলো, একনাগাড়ে অনেক সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করার ফলে তার এ সমস্যা হয়েছে। আমাদের অনেকেই এ সমস্যাতে ভুগছি।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘাড় ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ হল সার্ভিকাল স্পনডাইলোসিস। মেরুদ-ের ক্ষয় রোগ হলো স্পন্ডাইলোসিস আর মেরুদ-ের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়কে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস। আমাদের মেরুদ- গঠিত হয় হাড়, মাংশপেশী, হাড়ের জোড়া ইত্যাদি নিয়ে।
সার্ভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসের কারণ
বয়স বাড়ার রোগ এটি। স্পন্ডাইলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয় ৪০ বছর বয়সের পর থেকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর আগেও শুরু হয় হাড়ের ক্ষয়। আনুপাতিক হার পুরুষ বা নারী রোগীদের মধ্যে প্রায় সমান সমান।
যে পেশার মানুষের বেশি হয়
ঘাড় সামনে ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয় এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগটি বেশি দেখা যায়। যেমন- শুধুমাত্র চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করে এমন এক্সিকিউটিভ, কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ ইত্যাদি। ঘাড়ের আঘাতের জন্যও অনেক সময় হাড় ক্ষয় দেখা দেয়।
উপসর্গ

  • ঘাড়ের ব্যথা অনেক সময় কাঁধ থেকে ওপরের পিঠে, বুকে, মাথার পেছনে বা হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের ওপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যাথা হতে পারে।
  • হাত পায়ে দুর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে।
  • ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যথা লাগে। ডানে বায়ে ঘাড় ঘুরাতে সমস্যা হবে। ঘাড়ে স্থবিরতা লাগে বা জ্যাম মেরে ধরে থাকে।
  • ব্যথার সঙ্গে হাতে, বাহুতে ঝিন ঝ্নি, শির শির, অবশ ভাব, সূচ ফোটানোর অনুভূতি সঙ্গে হাত দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা।
  • এমন ব্যথা হলে ঘাড়ের এম আর আই, ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করা হয়।
    এবার চিকিৎসা
    ওষুধের পাশাপাশি এক্ষেত্রে ঘাড়ের বিভিন্ন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
    ঘাড় ব্যথা যেন না হয় এজন্য যা করতে হবে
  • শক্ত সমান বিছানায় এক বালিশে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে।
  • ঘুমানোর সময় ঘাড়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।
  • দরকার হলে বালিশ নিচে টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নেবেন।
  • ঘাড় সামনে ঝুঁকে বেশিক্ষণ কাজ করা যাবে না।
  • ব্যথা বেশি হলে ঘাড়ে হালকা গরম সেক দিতে পারেন।
  • এ সময় ঘাড়ের ব্যয়াম বেশ আরাম দেবে।
  • সার্ভিক্যাল কলার ব্যবহার করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।