ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে এশিয়ার মুকুট পুনরুদ্ধার ভারতের

  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : জয়কে হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে বাউন্ডারি লাইনের পাশে জড়ো হলেন ভারত দলের ক্রিকেটাররা। একছুটে মাঠে ঢোকার অপেক্ষায়। লং অন দিয়ে বল ওড়ালেন স্মৃতি মান্ধানা। বল সীমানা পার না হতেই উইকেটের দিকে দৌড় দিলেন সবাই। কেউ কেউ তুলে নিলেন স্টাম্প। মাতলেন বাঁধনহারা উল্লাসে। একপেশে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে নারী এশিয়া কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবারের ফাইনালে লঙ্কানদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। নারী এশিয়া কাপে আট আসরের মধ্যে এটি ভারতের সপ্তম শিরোপা। ২০১৮ সালে সবশেষ আসরে তাদের শিরোপা জয়ের পথচলা থামিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত জয়ের ভিত গড়ে ফেলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কাকে তারা থামিয়ে দেয় কেবল ৬৫ রানে। চমৎকার বোলিং উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রেনুকা সিং। ৩ ওভারে স্রেফ ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে প্রাপ্তি রাজেশ্বরি গায়কোয়াড় ও স্নেহ রানার। স্মৃতির বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে জয়ে ছুঁতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ২৫ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৬৯ বল আগেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় তারা। ১৪ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। রান আউট, উইকেট বিলিয়ে আসার মিছিলে যোগ দেয় দলটির ব্যাটাররা। তাদের প্রথম ৬ ব্যাটারের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু অধিনায়ক চামিরা আতাপাত্তুকে দিয়ে। তৃতীয় ওভারে আনুশকা সানজিওয়ানির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। রেনুকার করা পরের ওভারে ভারত তুলে নেয় হ্যাটট্রিক উইকেট। হার্শিথা সামারাবিক্রমা হন কট বিহাইন্ড, রান আউটে কাটা পড়েন আনুশকা এবং কাভারে স্মৃতিতে সহজ ক্যাচ দেন হাসিনি পেরেরা। ৯ রানে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কান ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরার দৃশ্য নিয়মিত দেখা যায়। ১০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ২৬/৭। পঞ্চাশের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তখন তারা। ওশাদি রানাসিংহে ও ইনোকা রানাওয়ারি কোনোমতে পঞ্চাশ পার করেন দলের রান। ইনিংসে কেবল এই দুইজনই যেতে পারেন দুই অঙ্কে। সর্বোচ্চ ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ইনোকা। ছোট লক্ষ্যে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন স্মৃতি। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি শেফালি ভার্মা ও জেমিমা রদ্রিগেজ। তাদের দুইজনকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান তুলে ফেলে ভারত। ম্যাচ যেন দ্রুত শেষ করার অভিযানে ছিলেন স্মৃতি। হারমানপ্রিত ধীরেসুস্থে খেললেও তিনি আক্রমণ চালতেই থাকেন। নবম ওভারে ওশাদিকে টানা চার ও ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে এই বাঁহাতি এই ব্যাটার। সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট ও ৯৪ রান করে প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতে নেন দিপ্তি শর্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ২০ ওভারে ৬৫/৯ (আতাপাত্তু ৬, আনুশকা ২, হার্শিথা ১, নিলাকশি ৬, হাসিনি ০, কাভিশা ১, ওশাদি ১৩, মালশা ০, সুগন্দিকা ৬, ইনোকা ১৮, আচিনি ৬; দিপ্তি ৪-০-৭-০, রেনুকা ৩-১-৫-৩, রাজেশ্বরি ৪-০-১৬-২, স্নেহ ৪-০-১৩-২, ডায়ালান ৩-০-৮-০, শেফালি ২-০-১৬-০)
ভারত নারী দল: ৮.৩ ওভারে ৭১/২ (শেফালি ৫, স্মৃতি ৫১, জেমিমা ২, হারমানপ্রিত ১১; ওশাদি ২.৩-০-৩০-০, সুগন্দিকা ১-০-৭-০, ইনোকা ৩-০-১৭-১, কাভিশা ২-০-১৭-১)
ফল: ৮ উইকেটে জিতে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: রেনুকা সিং
প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট: দিপ্তি শর্মা

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে এশিয়ার মুকুট পুনরুদ্ধার ভারতের

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : জয়কে হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে বাউন্ডারি লাইনের পাশে জড়ো হলেন ভারত দলের ক্রিকেটাররা। একছুটে মাঠে ঢোকার অপেক্ষায়। লং অন দিয়ে বল ওড়ালেন স্মৃতি মান্ধানা। বল সীমানা পার না হতেই উইকেটের দিকে দৌড় দিলেন সবাই। কেউ কেউ তুলে নিলেন স্টাম্প। মাতলেন বাঁধনহারা উল্লাসে। একপেশে ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে নারী এশিয়া কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল ভারত। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবারের ফাইনালে লঙ্কানদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। নারী এশিয়া কাপে আট আসরের মধ্যে এটি ভারতের সপ্তম শিরোপা। ২০১৮ সালে সবশেষ আসরে তাদের শিরোপা জয়ের পথচলা থামিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। ভারত জয়ের ভিত গড়ে ফেলে ম্যাচের প্রথম ভাগেই। বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কাকে তারা থামিয়ে দেয় কেবল ৬৫ রানে। চমৎকার বোলিং উপহার দিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রেনুকা সিং। ৩ ওভারে স্রেফ ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। দুটি করে প্রাপ্তি রাজেশ্বরি গায়কোয়াড় ও স্নেহ রানার। স্মৃতির বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে জয়ে ছুঁতে বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ভারতকে। বাঁহাতি এই ওপেনারের ৩ ছক্কা ও ৬ চারে ২৫ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৬৯ বল আগেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যায় তারা। ১৪ বছর পর এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। রান আউট, উইকেট বিলিয়ে আসার মিছিলে যোগ দেয় দলটির ব্যাটাররা। তাদের প্রথম ৬ ব্যাটারের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু অধিনায়ক চামিরা আতাপাত্তুকে দিয়ে। তৃতীয় ওভারে আনুশকা সানজিওয়ানির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন তিনি। রেনুকার করা পরের ওভারে ভারত তুলে নেয় হ্যাটট্রিক উইকেট। হার্শিথা সামারাবিক্রমা হন কট বিহাইন্ড, রান আউটে কাটা পড়েন আনুশকা এবং কাভারে স্মৃতিতে সহজ ক্যাচ দেন হাসিনি পেরেরা। ৯ রানে ৪ উইকেট হারানো লঙ্কান ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরার দৃশ্য নিয়মিত দেখা যায়। ১০ ওভার শেষে তাদের স্কোর ছিল ২৬/৭। পঞ্চাশের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় তখন তারা। ওশাদি রানাসিংহে ও ইনোকা রানাওয়ারি কোনোমতে পঞ্চাশ পার করেন দলের রান। ইনিংসে কেবল এই দুইজনই যেতে পারেন দুই অঙ্কে। সর্বোচ্চ ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ইনোকা। ছোট লক্ষ্যে শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন স্মৃতি। কিন্তু তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি শেফালি ভার্মা ও জেমিমা রদ্রিগেজ। তাদের দুইজনকে হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে ৪২ রান তুলে ফেলে ভারত। ম্যাচ যেন দ্রুত শেষ করার অভিযানে ছিলেন স্মৃতি। হারমানপ্রিত ধীরেসুস্থে খেললেও তিনি আক্রমণ চালতেই থাকেন। নবম ওভারে ওশাদিকে টানা চার ও ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে এই বাঁহাতি এই ব্যাটার। সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট ও ৯৪ রান করে প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্টের পুরস্কার জিতে নেন দিপ্তি শর্মা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা নারী দল: ২০ ওভারে ৬৫/৯ (আতাপাত্তু ৬, আনুশকা ২, হার্শিথা ১, নিলাকশি ৬, হাসিনি ০, কাভিশা ১, ওশাদি ১৩, মালশা ০, সুগন্দিকা ৬, ইনোকা ১৮, আচিনি ৬; দিপ্তি ৪-০-৭-০, রেনুকা ৩-১-৫-৩, রাজেশ্বরি ৪-০-১৬-২, স্নেহ ৪-০-১৩-২, ডায়ালান ৩-০-৮-০, শেফালি ২-০-১৬-০)
ভারত নারী দল: ৮.৩ ওভারে ৭১/২ (শেফালি ৫, স্মৃতি ৫১, জেমিমা ২, হারমানপ্রিত ১১; ওশাদি ২.৩-০-৩০-০, সুগন্দিকা ১-০-৭-০, ইনোকা ৩-০-১৭-১, কাভিশা ২-০-১৭-১)
ফল: ৮ উইকেটে জিতে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত
প্লেয়ার অব দা ম্যাচ: রেনুকা সিং
প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট: দিপ্তি শর্মা