ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে আমাদের প্রযুক্তিগত অক্ষমতা আছে: মোস্তাফা জব্বার

  • আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল অপরাধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, অপরাধ ঠেকাতে আমাদের প্রযুক্তিগত অক্ষমতা আছে। এখন ডিজিটাল অস্ত্রের মাধ্যমে দেশ থেকে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে যুদ্ধ। আমরা উন্নত প্রযুক্তি খুঁজতে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্মেলন কেন্দ্রে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন ও বিটিআরসি’র যৌথ আয়োজনে ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন, কীভাবে’ বিষয়ক দিনব্যাপী যুব কর্মশালা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি দরকার। মাথা ব্যথা হলেই মাথা কেটে ফেলব না। ওষুধ খেতে হবে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা প্রধান হাতিয়ার। প্রায় ২৬ হাজার পর্নসাইট বন্ধ করা হয়েছে। ৬ হাজারের মতো জুয়াড়ি সাইট বন্ধ করা হয়েছে। আগে পর্নসাইট দেখায় দেশ ১০ নম্বরে ছিল। এখন ১০০ এর তালিকাতেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্কুল, কলেজের পাঠ্য বইয়ে সাইবার অপরাধের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা সবাই অপরকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানাবে। আমরা পাইরেটেড সফটওয়্যার যেন ব্যবহার না করি। এর সাথে ডিজিটাল অপরাধ যুক্ত। আগামীতে মাসজুড়ে ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেন মন্ত্রী। ডিজিটাল অপরাধের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অপরাধের চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক থানায় একটি সাইবার বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করা দরকার। সেখানে কর্মরতদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেপিআই’ এর মতো ‘সিআইএ’ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিজিটাল রূপান্তরে সমস্যার চেয়ে সুবিধাই বেশি এমন ইঙ্গিত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ ই-নথি’ আমাদের দেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, সাইবার সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ,পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে আমাদের প্রযুক্তিগত অক্ষমতা আছে: মোস্তাফা জব্বার

আপডেট সময় : ০২:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিজিটাল অপরাধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ আখ্যা দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, অপরাধ ঠেকাতে আমাদের প্রযুক্তিগত অক্ষমতা আছে। এখন ডিজিটাল অস্ত্রের মাধ্যমে দেশ থেকে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে যুদ্ধ। আমরা উন্নত প্রযুক্তি খুঁজতে হাতড়িয়ে বেড়াচ্ছি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সম্মেলন কেন্দ্রে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন ও বিটিআরসি’র যৌথ আয়োজনে ‘সাইবার সুরক্ষা কী, কেন, কীভাবে’ বিষয়ক দিনব্যাপী যুব কর্মশালা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল অপরাধ ঠেকাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি দরকার। মাথা ব্যথা হলেই মাথা কেটে ফেলব না। ওষুধ খেতে হবে। সেক্ষেত্রে সচেতনতা প্রধান হাতিয়ার। প্রায় ২৬ হাজার পর্নসাইট বন্ধ করা হয়েছে। ৬ হাজারের মতো জুয়াড়ি সাইট বন্ধ করা হয়েছে। আগে পর্নসাইট দেখায় দেশ ১০ নম্বরে ছিল। এখন ১০০ এর তালিকাতেও খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে ‘সাইবার নিরাপত্তা’ পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্কুল, কলেজের পাঠ্য বইয়ে সাইবার অপরাধের বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আজকের শিক্ষার্থীরা সবাই অপরকে সাইবার অপরাধ সম্পর্কে জানাবে। আমরা পাইরেটেড সফটওয়্যার যেন ব্যবহার না করি। এর সাথে ডিজিটাল অপরাধ যুক্ত। আগামীতে মাসজুড়ে ডিজিটাল অপরাধ বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেন মন্ত্রী। ডিজিটাল অপরাধের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অপরাধের চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক থানায় একটি সাইবার বা ডিজিটাল ক্রাইম ইউনিট করা দরকার। সেখানে কর্মরতদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কেপিআই’ এর মতো ‘সিআইএ’ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ডিজিটাল রূপান্তরে সমস্যার চেয়ে সুবিধাই বেশি এমন ইঙ্গিত করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘ ই-নথি’ আমাদের দেশে বিপ্লব ঘটিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটিআরসি’র সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ। আলোচনায় অংশ নেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তৌহিদ ভূঁইয়া, সাইবার সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ (ডিএসএ) পরিচালক তারেক বরকতুল্লাহ,পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।