ঢাকা ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

সালাহর রেকর্ড হ্যাটট্রিক, লিভারপুলের গোল উৎসব

  • আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই অর্ধে দুই রকম লিভারপুল! প্রথমার্ধে রবের্তো ফিরমিনোর সমতা ফেরানো গোলটি বাদ দিলে বড্ড মলিন তারা। দ্বিতীয়ার্ধে সেই লিভারপুলই গোল পেল মুড়িমুড়কির মতো। বদলি ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ ছয় মিনিটে উপহার দিলেন হ্যাটট্রিক। জালের দেখা পেলেন দারউইন নুনেস ও হার্ভি এলিয়ট। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে রেঞ্জার্সকে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। রেঞ্জার্সের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুধবার রাতে ৭-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল। তিন গোল সালাহর, জোড়া গোল ফিরমিনোর, একটি করে করেন নুনেস ও এলিয়ট। দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচে অ্যানফিল্ডে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল লিভারপুল। চার ম্যাচে ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল শেষ ষোলোয় খেলার দৌড়ে আছে ভালোভাবেই। দিনের অন্য ম্যাচে আয়াক্স আমস্টার্ডামকে ৪-২ গোলে হারানো নাপোলি ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠেছে শেষ ষোলোর মঞ্চে। প্রিমিয়ার লিগে দুঃসময়ের মধ্যে থাকা লিভারপুলের এ ম্যাচেও শুরুর দিকের আক্রমণে ছিল না ধার। মাঝেমধ্যে তাদের রক্ষণেও ধরছিল চিড়। তুলনায় বরং রেঞ্জার্স খেলছিল উজ্জীবিত ফুটবল। প্রথম আক্রমণটি চতুর্থ মিনিটে শাণায় তারা। সাকালা ফ্যাশিওনের শট ফেরান আলিসন।
সপ্তদশ মিনিটে আর পোস্ট আগলে রাখতে পারেননি আলিসন। রায়ান জ্যাকের পাস প্রথম ছোঁয়ায় একটু এগিয়ে নিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্কট আরফিল্ড। ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি লিভারপুল গোলরক্ষক, বল পোষ্ট ঘেঁষে জালে জড়ালে উচ্ছ্বাসে কেঁপে ওঠে রেঞ্জার্সের গ্যালারি। পিছিয়ে পড়ার হতাশা থেকে লিভারপুলের মুক্তি মেলে সাত মিনিট পর। কস্তাস সিমিকাসের কর্নারে হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনো। সমতার স্বস্তি ফিরলেও ক্লপের আক্রমণভাগে ধার ফেরেনি। ৪২তম মিনিটে ইব্রাহিমা কোনাতের দারুণ ব্লক রক্ষা করে লিভারপুলকে। সাকালার ক্রসে আরফিল্ডের প্লেসিং শট দ্রুত পা বাড়িয়ে আটকান এই ফরাসি ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের খেলায় গতি, আক্রমণে ধার সবই ফেরে। নুনেস-ফিরমিনোরা কয়েকবার হানা দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ৫৫তম মিনিটে গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যায় ‘অলরেড’ খ্যাত দলটি। ডান দিকের উইং ধরে বেশ খানিকটা এগিয়ে জো গোমেজ দারুণ ক্রস বাড়ান বক্সে। দুই ডিফেন্ডারের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল নিখুঁত টোকায় গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন ফিরমিনো। ৬৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ফিরমিনো দারুণ ফ্লিকে বাড়িয়ে দেওয়ার পর ডান পায়ের শটে ব্যবধান আরও বাড়ান নুনেস। দুই মিনিট পর উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডকে তুলে সালাহকে নামান কোচ। মিশরের ফরোয়ার্ড প্রতিদান দিতে সময় নেন মাত্র সাত মিনিট। ৭৫তম মিনিটে একটু উপরে উঠে যাওয়া বল আলতো করে নিচে নামিয়ে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ।
৮০তম মিনিটে ঘিরে ধরা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে আবারও গোল উৎসবে মাতেন সালাহ। পরের মিনিট বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে যা দ্রুততম হ্যাটট্রিক। শেষ দিকে স্কোরলাইনে নাম লেখান এলিয়ট। শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন সহকারী রেফারি। ভিএআর দেখে রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের মুখে চলছিল পাওয়া, না পাওয়ার লুকোচুরি খেলা। সালাহও সতীর্থের কাঁধে মুখ গুঁজে অপেক্ষায় ছিলেন। গোলের বাঁশি বাজতে আনন্দে মাতেন দুজনেই। চার ম্যাচের সবগুলো হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল রেঞ্জার্স।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সালাহর রেকর্ড হ্যাটট্রিক, লিভারপুলের গোল উৎসব

আপডেট সময় : ১২:১৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : দুই অর্ধে দুই রকম লিভারপুল! প্রথমার্ধে রবের্তো ফিরমিনোর সমতা ফেরানো গোলটি বাদ দিলে বড্ড মলিন তারা। দ্বিতীয়ার্ধে সেই লিভারপুলই গোল পেল মুড়িমুড়কির মতো। বদলি ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ ছয় মিনিটে উপহার দিলেন হ্যাটট্রিক। জালের দেখা পেলেন দারউইন নুনেস ও হার্ভি এলিয়ট। শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে রেঞ্জার্সকে স্রেফ খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিল ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। রেঞ্জার্সের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুধবার রাতে ৭-১ গোলে জিতেছে লিভারপুল। তিন গোল সালাহর, জোড়া গোল ফিরমিনোর, একটি করে করেন নুনেস ও এলিয়ট। দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচে অ্যানফিল্ডে ২-০ ব্যবধানে জিতেছিল লিভারপুল। চার ম্যাচে ৩ জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুল শেষ ষোলোয় খেলার দৌড়ে আছে ভালোভাবেই। দিনের অন্য ম্যাচে আয়াক্স আমস্টার্ডামকে ৪-২ গোলে হারানো নাপোলি ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠেছে শেষ ষোলোর মঞ্চে। প্রিমিয়ার লিগে দুঃসময়ের মধ্যে থাকা লিভারপুলের এ ম্যাচেও শুরুর দিকের আক্রমণে ছিল না ধার। মাঝেমধ্যে তাদের রক্ষণেও ধরছিল চিড়। তুলনায় বরং রেঞ্জার্স খেলছিল উজ্জীবিত ফুটবল। প্রথম আক্রমণটি চতুর্থ মিনিটে শাণায় তারা। সাকালা ফ্যাশিওনের শট ফেরান আলিসন।
সপ্তদশ মিনিটে আর পোস্ট আগলে রাখতে পারেননি আলিসন। রায়ান জ্যাকের পাস প্রথম ছোঁয়ায় একটু এগিয়ে নিয়ে ডান পায়ের নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন স্কট আরফিল্ড। ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি লিভারপুল গোলরক্ষক, বল পোষ্ট ঘেঁষে জালে জড়ালে উচ্ছ্বাসে কেঁপে ওঠে রেঞ্জার্সের গ্যালারি। পিছিয়ে পড়ার হতাশা থেকে লিভারপুলের মুক্তি মেলে সাত মিনিট পর। কস্তাস সিমিকাসের কর্নারে হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ফিরমিনো। সমতার স্বস্তি ফিরলেও ক্লপের আক্রমণভাগে ধার ফেরেনি। ৪২তম মিনিটে ইব্রাহিমা কোনাতের দারুণ ব্লক রক্ষা করে লিভারপুলকে। সাকালার ক্রসে আরফিল্ডের প্লেসিং শট দ্রুত পা বাড়িয়ে আটকান এই ফরাসি ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের খেলায় গতি, আক্রমণে ধার সবই ফেরে। নুনেস-ফিরমিনোরা কয়েকবার হানা দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর ৫৫তম মিনিটে গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যায় ‘অলরেড’ খ্যাত দলটি। ডান দিকের উইং ধরে বেশ খানিকটা এগিয়ে জো গোমেজ দারুণ ক্রস বাড়ান বক্সে। দুই ডিফেন্ডারের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল নিখুঁত টোকায় গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন ফিরমিনো। ৬৬তম মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ফিরমিনো দারুণ ফ্লিকে বাড়িয়ে দেওয়ার পর ডান পায়ের শটে ব্যবধান আরও বাড়ান নুনেস। দুই মিনিট পর উরুগুয়ের এই ফরোয়ার্ডকে তুলে সালাহকে নামান কোচ। মিশরের ফরোয়ার্ড প্রতিদান দিতে সময় নেন মাত্র সাত মিনিট। ৭৫তম মিনিটে একটু উপরে উঠে যাওয়া বল আলতো করে নিচে নামিয়ে দুরূহ কোণ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সালাহ।
৮০তম মিনিটে ঘিরে ধরা ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের শটে আবারও গোল উৎসবে মাতেন সালাহ। পরের মিনিট বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে যা দ্রুততম হ্যাটট্রিক। শেষ দিকে স্কোরলাইনে নাম লেখান এলিয়ট। শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন সহকারী রেফারি। ভিএআর দেখে রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই ইংলিশ মিডফিল্ডারের মুখে চলছিল পাওয়া, না পাওয়ার লুকোচুরি খেলা। সালাহও সতীর্থের কাঁধে মুখ গুঁজে অপেক্ষায় ছিলেন। গোলের বাঁশি বাজতে আনন্দে মাতেন দুজনেই। চার ম্যাচের সবগুলো হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল রেঞ্জার্স।