ঢাকা ০৪:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

অয়নের শেষ পরিনতি কী?

  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২
  • ১৫৯ বার পড়া হয়েছে

ফারজানা কাশেমী : অয়ন বা অয়নরা আমাদের ভাই, বন্ধু, স্বজন ও আপনজন। অয়ন বা অয়নরা জন্ম নেয় তাদের নিজ গৃহ আলোকিত করার নিমিত্তে। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা নিজ গন্ডির চৌকাঠ পেরিয়ে অয়নরা স্বপ্নের আভা ছড়ায়। আলোকিত করে তাদের চারপাশ। অয়নরা মুগ্ধতার অভিলাষী যাত্রার দিকপাল হয়। অয়নরা তাদের মেধা, মনন আর চেষ্টার এক অপার সম্ভাবনা।
সারাদেশজুড়ে যখন মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী এম.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, অয়নরা তাদেরই একজন। অয়নরা দেশের গর্ব, আমাদের আশার সঞ্চারণ। সব পরিচয় ছাড়িয়ে পরিনত বয়সের অয়নরা তাদের মায়ের কাছে সেদিনের জন্ম নেওয়া ছোট শিশু। একটু বকলেই যে ভয় পেতো, আর তার মাকে বলতো আর কখনো এমন করবো না মা, আমাকে মাফ করে দাও। সময় তার নিজস্ব গতিতে পরিপুষ্ট হয়। আর অয়নরা বড় হয়ে যায়।
মায়ের আঁচল ছেড়ে অয়নরা উচ্চশিক্ষার পথযাত্রী হয়। তবুও তাদের মা যেন সোহাগের আঁচল ছড়িয়ে রাখে সর্বত্র। সর্বজনের আর্শীবাদে কন্টক পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয় অয়নরা।

অয়নরা তাদের মনোমুগ্ধকর, সাবলীল উপস্থাপনায় জীবনের সমূহ আয়োজন অনুভূতিতে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে।
অয়নরা কারো বন্ধু হয়। বন্ধুর আপদে-বিপদে নিজেদের উজাড় করে দেবার প্রতিদিনকার গল্পের নাম আমার বন্ধু বা আমাদের বন্ধু অয়ন। অয়নরা কষ্টের পথে বিচ্ছিন্ন পরিক্রমায় কোন রক্ত চক্ষুতে বিচলিত হয় না। শত প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করে অয়নরা এগিয়ে যায়। বেঁচে থাকার আয়োজনে পা বাড়ায় । অয়নরা আবার কারো স্বপ্নের সারথি হয়। অয়নরা তাদের কাছের মানুষকে আগলে রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করে। অয়নরা ভালবাসার অপার মায়ায় তার প্রেয়সীর স্বপ্নীল আশ্রয় হয়। কখনো আবার অয়নরা সোনালু গাছ হয়। কোথাও যেন পত্রঝড়া হয়। অয়নরা মেঘের ভেলায় হারিয়ে যায়। অয়নরা শ্যাওলা হয় জীবনের ভারে নুয়ে পড়ে। অয়নরা কখনো বা কাগজের নৌকা হয়। নীল কাগজের ঘুড়ি হয় কিছু অয়নদের জীবন। যে জীবন একরাশ অসহায়ত্ব, গ্লানি নিয়ে মায়াময় মুখে একদিন নিশ্চুপ হয়। অয়নরা কখনো বাঁচার আকুতি আর্তচিৎকারে ঈশ্বরকে স্মরণ করে। রোগাক্রান্ত অয়নরা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পার্থিব জগতের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মায়া ছেড়ে হারিয়ে যায় অজানা গন্তব্যে। অয়নদের ঠিকানা যেমন অজানা, তেমনি অয়নদের কাছের মানুষের গন্তব্য অনিশ্চিত। অয়নদের জন্য আশা ফুরায়, অপেক্ষা ফুরায় না। এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফুটে আর ঝরে, সে কথা কি কখনো কারো মনে পড়ে….।
লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইতিহাস গড়েই দেশে ফিরেছে নারী ফুটবল দল

অয়নের শেষ পরিনতি কী?

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

ফারজানা কাশেমী : অয়ন বা অয়নরা আমাদের ভাই, বন্ধু, স্বজন ও আপনজন। অয়ন বা অয়নরা জন্ম নেয় তাদের নিজ গৃহ আলোকিত করার নিমিত্তে। ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা নিজ গন্ডির চৌকাঠ পেরিয়ে অয়নরা স্বপ্নের আভা ছড়ায়। আলোকিত করে তাদের চারপাশ। অয়নরা মুগ্ধতার অভিলাষী যাত্রার দিকপাল হয়। অয়নরা তাদের মেধা, মনন আর চেষ্টার এক অপার সম্ভাবনা।
সারাদেশজুড়ে যখন মাত্র তিনজন শিক্ষার্থী এম.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, অয়নরা তাদেরই একজন। অয়নরা দেশের গর্ব, আমাদের আশার সঞ্চারণ। সব পরিচয় ছাড়িয়ে পরিনত বয়সের অয়নরা তাদের মায়ের কাছে সেদিনের জন্ম নেওয়া ছোট শিশু। একটু বকলেই যে ভয় পেতো, আর তার মাকে বলতো আর কখনো এমন করবো না মা, আমাকে মাফ করে দাও। সময় তার নিজস্ব গতিতে পরিপুষ্ট হয়। আর অয়নরা বড় হয়ে যায়।
মায়ের আঁচল ছেড়ে অয়নরা উচ্চশিক্ষার পথযাত্রী হয়। তবুও তাদের মা যেন সোহাগের আঁচল ছড়িয়ে রাখে সর্বত্র। সর্বজনের আর্শীবাদে কন্টক পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয় অয়নরা।

অয়নরা তাদের মনোমুগ্ধকর, সাবলীল উপস্থাপনায় জীবনের সমূহ আয়োজন অনুভূতিতে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করে।
অয়নরা কারো বন্ধু হয়। বন্ধুর আপদে-বিপদে নিজেদের উজাড় করে দেবার প্রতিদিনকার গল্পের নাম আমার বন্ধু বা আমাদের বন্ধু অয়ন। অয়নরা কষ্টের পথে বিচ্ছিন্ন পরিক্রমায় কোন রক্ত চক্ষুতে বিচলিত হয় না। শত প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করে অয়নরা এগিয়ে যায়। বেঁচে থাকার আয়োজনে পা বাড়ায় । অয়নরা আবার কারো স্বপ্নের সারথি হয়। অয়নরা তাদের কাছের মানুষকে আগলে রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করে। অয়নরা ভালবাসার অপার মায়ায় তার প্রেয়সীর স্বপ্নীল আশ্রয় হয়। কখনো আবার অয়নরা সোনালু গাছ হয়। কোথাও যেন পত্রঝড়া হয়। অয়নরা মেঘের ভেলায় হারিয়ে যায়। অয়নরা শ্যাওলা হয় জীবনের ভারে নুয়ে পড়ে। অয়নরা কখনো বা কাগজের নৌকা হয়। নীল কাগজের ঘুড়ি হয় কিছু অয়নদের জীবন। যে জীবন একরাশ অসহায়ত্ব, গ্লানি নিয়ে মায়াময় মুখে একদিন নিশ্চুপ হয়। অয়নরা কখনো বাঁচার আকুতি আর্তচিৎকারে ঈশ্বরকে স্মরণ করে। রোগাক্রান্ত অয়নরা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে পার্থিব জগতের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মায়া ছেড়ে হারিয়ে যায় অজানা গন্তব্যে। অয়নদের ঠিকানা যেমন অজানা, তেমনি অয়নদের কাছের মানুষের গন্তব্য অনিশ্চিত। অয়নদের জন্য আশা ফুরায়, অপেক্ষা ফুরায় না। এই পৃথিবীর পরে কত ফুল ফুটে আর ঝরে, সে কথা কি কখনো কারো মনে পড়ে….।
লেখক : আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ