আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ইস্তানবুলের পশ্চিম প্রান্তে খাল নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছেন। যদিও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে পরিবেশগত ও অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত শনিবার সাজলিদেয়ার সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন এরদোয়ান। এই সেতুর নিচ দিয়েই যাবে ‘ইস্তানবুল খাল’। এই অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, ‘তুরস্কের উন্নয়নের ইতিহাসে আজ (শনিবার) নতুন একটি অধ্যায়ের সূচনা হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইস্তানবুল খাল প্রকল্পকে এমন একটি প্রকল্প হিসেবে দেখছি যেটি ইস্তানবুলের ভবিষ্যতকে রক্ষা করবে। এই প্রকল্প ইস্তানবুলের নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।’ তুরস্ক সরকার বলছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বসফরাস প্রণালিতে জাহাজের ট্রাফিক জট সমস্যা কমাবে এবং জাহাজ দুর্ঘটনা কমাবে। বসফরাস প্রণালি হচ্ছে বিশ্বের ব্যস্ততম একটি জলপথ। এই প্রণালি মর্মর সাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে যুক্ত করেছে।
এরদোয়ান বলেছেন, ‘এই খাল নির্মাণ সম্পন্ন করতে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে। আর এতে সময় প্রয়োজন হবে প্রায় ৬ বছর। এটি কোনো ফোয়ারা উদ্বোধনের অনুষ্ঠান না। আজ (শনিবার) আমরা বিশ্বের উদাহরণস্বরূপ একটি খালের উদ্বোধন করছি।’
ইস্তানবুল খালটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৫ কিলোমিটার। এটি মর্মর সাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে যুক্ত করবে। এই প্রকল্পের অধীনে নতুন সমুদ্রবন্দর, সেতু, আবাসন ও কৃত্রিম হ্রদ নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্প নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই খাল ইস্তানবুলে পরিবেশগত বিপর্যয় ডেকে আনবে। ভূমিকম্পের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তুরস্কের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি হবে। বিশেষ করে তুরস্কের ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাবে।
তুরস্কের নগর বিশেষজ্ঞ পিনার গিরিতলিওগলু বলেছেন, ‘নতুন এই খালের মাধ্যমে কৃষ্ণ সাগর ও মর্মর সাগরের পানি মিশে যাবে। এর পরিবেশগত অনেক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। সামুদ্রিক জীব-বৈচিত্র্যের প্রতি এটি হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’
ইস্তানবুল খাল প্রকল্পে এরদোয়ানের প্রথম পদক্ষেপ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ