বিনোদন প্রতিবেদক : শোবিজে যাত্রা শুরু মডেলিংয়ের মাধ্যমে। এরপর কাজ করেছেন নাটক-টেলিফিল্মে। সৈকত নাসির পরিচালিত ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যাত্রা শুরু বড় পর্দায়। প্রথম সিনেমা দিয়েই নিজেকে জানান দেন এই নায়ক। বলছি আদর আজাদের কথা। যার সাবলীল অভিনয় প্রশংসিত সব মহলে। নাটকে কাজ করলেও আদরের স্বপ্নজুড়ে ছিল শুধুই চলচ্চিত্র। তাই তো নাটকে দারুণ ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও আদর নিজেকে পুরোপুরি চলচ্চিত্রে মনোনিবেশ করেন। প্রথম সিনেমা মুক্তির আগেই হাফ ডজনেরও বেশি চলচ্চিত্রে কাজ করেন তিনি। মূলত প্রথম সিনেমা দিয়েই সবার নজর কাড়েন তিনি। গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দেশের ২১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে আদর অভিনীত তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘যাও পাখি বলো তারে’। সিনেমাটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এটি নির্মাণ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিন থেকেই দর্শক বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখছেন। সিনেমার মজনু চরিত্রের আদরকে দর্শকরাও ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। সিনেমাটি আদরের শুরুর দিকের হলেও তার অভিনয় প্রশংসা কুড়াচ্ছে দর্শকমহলে। যার প্রমাণ এরই মধ্যে অন্তর্জালে মিলেছে। এখন তাকে ঘিরে অনেকেই সম্ভাবনা দেখছেন। তাকে নিয়ে প্রযোজক ও নির্মাতারা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন।
আদর বলেন, ‘সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই সরাসরি প্রেক্ষাগৃহগুলোতে গিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে বেশকিছু প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দর্শকদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। আমি সিনেমায় নবীন হলেও দর্শক ইতিবাচকভাবেই নিয়েছেন আমাকে।’ সম্প্রতি আদরের ‘যাও পাখি বলো তারে’ দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ঢালিউডের গুণী নির্মাতা মালেক আফসারী। আদরের মধ্যে সম্ভাবনার প্রদীপ দেখতে পেয়েছেন তিনি। তার ভাষ্য, ‘আদর আজাদের ভবিষ্যৎ ভালো। ও খুবই ভালো করবে।’ আদর আরও বলেন, ‘চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে নাটকে দারুণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সিনেমায় নাম লেখাই। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রের অনেক গুণী মানুষ থেকে শুরু করে বাংলা সিনেমার দর্শকদেরও অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। তাদের এই ভালোবাসায় নিজেকে একটি শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। সাবলীল অভিনয় দিয়ে সবার মণিকোঠায় জায়গা করে নিতে চাই। একজন জাত অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সবার ভালোবাসা পেলে আশা করি সফলতা পাবো।’ বর্তমানে আদর অভিনীত ও নির্মাণাধীন রয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা। তার মধ্যে রয়েছে ‘নাকফুল’, ‘চিৎকার’, ‘পোড়া অন্তর’, ও ‘মুক্তি’। শিগগিরই আরও কয়েকটি নতুন সিনেমায় যুক্ত হবেন বলে জানান তিনি। ২০১৪ সালে ‘ইমামি ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন আদর আজাদ।