ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

মধুমতি সেতুর সুফল পাবে নড়াইলবাসী

  • আপডেট সময় : ১২:২৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • ১১৩ বার পড়া হয়েছে

নড়াইল সংবাদদাতা : যশোর-ভাঙ্গা-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এখানে সেতু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে সেতু হয়েছে। গতকাল সোমবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সেতুর উদ্বোধন করেন।
নড়াইলের সাধারণ জনগণ, যারা এই সেতুর প্রকৃত উপকারভোগী, তারা কীভাবে লাভবান হবেন বা তাদের কাছে মধুমতি সেতুর সুফল কী কী? এমন প্রশ্ন ছিল উদ্বোধনের সময় সেতু দেখতে আসা উৎসুক জনতার কাছে। তারা বলছেন, এই সেতু তাদের দীর্ঘদিনের ফেরি পারাপার ও অপেক্ষার ভোগান্তি লাঘব করবে। রাজধানী ঢাকা ও প্রতিবেশী দেশের কলকাতার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করবে। এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারেও ভূমিকা পালন করবে। পরিবারের সঙ্গে সেতু দেখতে এসেছিলেন লোহাগড়া গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী ইশরাত রহমান বৈশাখী। তার কাছে প্রশ্ন ছিল- এই ব্রিজের ফলে তোমার লাভ কী? জবাবে এই শিক্ষার্থী বলে, আমি ঢাকায় খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবো। আগে অনেকবার ঢাকা গেছি, ফেরি পার হয়ে যেতে অনেক সময় লেগে যেত। সকালে রওনা দিলে রাত হয়ে যেত। এখন দুই-আড়াই ঘণ্টায় যেতে পারবো। লোহাগড়া পৌর এলাকার পুত্রবধূ শর্মি আক্তার মীমও এসেছিলেন সেতু দেখতে। তিনি বলেন, এই সেতুর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের অনেক লাভ হবে। কালনা ফেরিঘাটের জন্য অনেকের অনেক ভোগান্তি হতো। এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি জ্যামে পড়ে থাকতো, মানুষের ভোগান্তি হতো। এই সেতু হওয়ার কারণে সবারই অনেক সুবিধা হচ্ছে। মধুমতি সেতুর ফলে পদ্মাসেতুর পুরো সুফল ভোগ করবে পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। লোহাগড়ার পাঁচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও রাজধানীর তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী শরীফ শফিকুল ইসলাম বলেন, মধুমতি সেতুর ফলে আমাদের ঢাকা যাওয়া-আসায় ফেরি পারাপারের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সময় ও অর্থ বাঁচবে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। শঙ্করপাশা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগে ঢাকায় যেতে একদিন লাগত। এখন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে হয়ে যাবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোববার থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু, ৮০ টাকায় মিলবে চিনি

মধুমতি সেতুর সুফল পাবে নড়াইলবাসী

আপডেট সময় : ১২:২৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

নড়াইল সংবাদদাতা : যশোর-ভাঙ্গা-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এখানে সেতু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সে অনুযায়ী এরই মধ্যে সেতু হয়েছে। গতকাল সোমবার তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সেতুর উদ্বোধন করেন।
নড়াইলের সাধারণ জনগণ, যারা এই সেতুর প্রকৃত উপকারভোগী, তারা কীভাবে লাভবান হবেন বা তাদের কাছে মধুমতি সেতুর সুফল কী কী? এমন প্রশ্ন ছিল উদ্বোধনের সময় সেতু দেখতে আসা উৎসুক জনতার কাছে। তারা বলছেন, এই সেতু তাদের দীর্ঘদিনের ফেরি পারাপার ও অপেক্ষার ভোগান্তি লাঘব করবে। রাজধানী ঢাকা ও প্রতিবেশী দেশের কলকাতার সঙ্গে যাতায়াত সহজ করবে। এখানকার ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারেও ভূমিকা পালন করবে। পরিবারের সঙ্গে সেতু দেখতে এসেছিলেন লোহাগড়া গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থী ইশরাত রহমান বৈশাখী। তার কাছে প্রশ্ন ছিল- এই ব্রিজের ফলে তোমার লাভ কী? জবাবে এই শিক্ষার্থী বলে, আমি ঢাকায় খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবো। আগে অনেকবার ঢাকা গেছি, ফেরি পার হয়ে যেতে অনেক সময় লেগে যেত। সকালে রওনা দিলে রাত হয়ে যেত। এখন দুই-আড়াই ঘণ্টায় যেতে পারবো। লোহাগড়া পৌর এলাকার পুত্রবধূ শর্মি আক্তার মীমও এসেছিলেন সেতু দেখতে। তিনি বলেন, এই সেতুর ফলে এই অঞ্চলের মানুষের অনেক লাভ হবে। কালনা ফেরিঘাটের জন্য অনেকের অনেক ভোগান্তি হতো। এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ি জ্যামে পড়ে থাকতো, মানুষের ভোগান্তি হতো। এই সেতু হওয়ার কারণে সবারই অনেক সুবিধা হচ্ছে। মধুমতি সেতুর ফলে পদ্মাসেতুর পুরো সুফল ভোগ করবে পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। লোহাগড়ার পাঁচুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা ও রাজধানীর তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী শরীফ শফিকুল ইসলাম বলেন, মধুমতি সেতুর ফলে আমাদের ঢাকা যাওয়া-আসায় ফেরি পারাপারের দুর্ভোগ লাঘব হবে। সময় ও অর্থ বাঁচবে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। শঙ্করপাশা গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগে ঢাকায় যেতে একদিন লাগত। এখন দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে হয়ে যাবে।