ঢাকা ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

আকাশে উড়ছে শত শত ফানুস

  • আপডেট সময় : ১২:২১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। রোববার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার আকাশে শতাধিক ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ ছাড়া মহিপুরের অমখোলাপাড়া, মিক্ষরীপাড়া, কলাচানপাড়া ও নড়াপাড়াসহ জেলার সকল রাখাইন পাড়ায় সার্বজনীন এ ফানুস উৎসবে মেতে ওঠে সবাই। পরে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী শিশু-কিশোররা তাদের নাচ ও গান পরিবেশন করে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা জানান, সকালে পঞ্চশীল অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা এবং দিনভর মন্দিরে মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা। এ সময় বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বয়স্ক নারী ও পুরুষেরা। এ উৎসব ঘিরে জেলার রাখাইন পাড়াগুলোতে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সমাবেশ ঘটে বৌদ্ধভিক্ষুসহ শত শত রাখাইন নর-নারীর। আমখোলা পাড়ার বাসিন্দা টেননাথ রাখাইন জানান, বুদ্ধকে সন্তুষ্ট করার জন্য এ আয়োজন। এ পাড়ায় শত বছর ধরে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
কুয়াকাটার কালাচান পাড়ার বাসিন্দা মংচাং রাখাইন বলেন, ‘দিনভর আমরা বুদ্ধপূজা করেছি। এ সময় নারীরা হরেক রকমের পিঠা তৈরি করেছে। পরে সন্ধ্যায় আমরা পিঠাপুলি দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করেছি।’
কুয়াকাটার শ্রী-মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু জ্ঞানেত্র মহাত্রে বলেন, ‘বৌদ্ধপূজার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেছি। প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন থেকে আগামী এক মাস প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে কঠিন চীবরদান উৎসব।’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হত্যার দায় এড়াতে পারি না, আমাদের ব্যর্থতা আছে

আকাশে উড়ছে শত শত ফানুস

আপডেট সময় : ১২:২১:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

পটুয়াখালী সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পালিত হয়েছে বৌদ্ধধর্মালম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। রোববার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার আকাশে শতাধিক ফানুস উড়ানোর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। এ ছাড়া মহিপুরের অমখোলাপাড়া, মিক্ষরীপাড়া, কলাচানপাড়া ও নড়াপাড়াসহ জেলার সকল রাখাইন পাড়ায় সার্বজনীন এ ফানুস উৎসবে মেতে ওঠে সবাই। পরে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী শিশু-কিশোররা তাদের নাচ ও গান পরিবেশন করে। বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা জানান, সকালে পঞ্চশীল অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধপূজা এবং দিনভর মন্দিরে মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় ধর্মীয় আলোচনা। এ সময় বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বয়স্ক নারী ও পুরুষেরা। এ উৎসব ঘিরে জেলার রাখাইন পাড়াগুলোতে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে বৌদ্ধরা। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে সমাবেশ ঘটে বৌদ্ধভিক্ষুসহ শত শত রাখাইন নর-নারীর। আমখোলা পাড়ার বাসিন্দা টেননাথ রাখাইন জানান, বুদ্ধকে সন্তুষ্ট করার জন্য এ আয়োজন। এ পাড়ায় শত বছর ধরে এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।
কুয়াকাটার কালাচান পাড়ার বাসিন্দা মংচাং রাখাইন বলেন, ‘দিনভর আমরা বুদ্ধপূজা করেছি। এ সময় নারীরা হরেক রকমের পিঠা তৈরি করেছে। পরে সন্ধ্যায় আমরা পিঠাপুলি দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন করেছি।’
কুয়াকাটার শ্রী-মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের ভিক্ষু জ্ঞানেত্র মহাত্রে বলেন, ‘বৌদ্ধপূজার মাধ্যমে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করেছি। প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন থেকে আগামী এক মাস প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে কঠিন চীবরদান উৎসব।’