রিসার্চ ম্যাথোলজি ইন সোশাল সায়েন্স’ শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করলো শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র জেনারেল স্টাডিজ অনুষদ অন্তর্ভূক্ত সোশিওলজি এন্ড অ্যানথ্রোপলজি বিভাগ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে রাজধানীর উত্তরায় বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক শামসুন নাহার। তিনি বলেন, সমাজবিজ্ঞান ও নৃ-বিজ্ঞান বিষয়ক প্রত্যক্ষ গবেষণার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার কাজটিই মূলতঃ করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। আর এই গবেষণার জন্য যে বিষয়গুলো অতি জরুরি তা হচ্ছে গবেষণার পদ্ধতিগত জ্ঞান। আজকের কর্মশালাটি পদ্ধতিগত জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট) এর অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ডক্টর মাহবুব আলম তালুকদার’ ডিসকাশন অন রিসার্চ ম্যাথোডোলোজি ফর সোশাল সায়েন্স’ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। রিসার্চ টেকনিক এন্ড টুলস্ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা করেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক জনাব মুর্শিদ আল হাসান।
সোশিওলজি এন্ড অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর খন্দকার মোরশেদা ফারহানার সঞ্চালনায় আয়োজিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মেহেদী হাসান। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ন বক্তব্য রাখেন বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ডক্টর পাড় মশিয়ূর রহমান। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে গবেষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষার্থীরা গবেষনামূলক কাজে যত বেশি নিজেদের নিয়োজিত করবে তাদের জ্ঞানের পরিধি ততই উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। এতেকরে শিক্ষার্থীর পাশাপাশি উপকৃত হবে তার পরিবর, সমাজ, জাতি তথা রাষ্ট্র।
ম্যানেজমেন্ট এন্ড জেনারেল স্টাডিজ অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ আব্দুল হালিম শেখ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, শুধু শিক্ষার প্রয়োজনেই নয় বরং আমাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও গবেষণার কোন বিকল্প নেই। আজকের শিক্ষর্থীরাই আগামী দিনের পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের চালিকা শক্তি। তাই নিয়ম-শৃংখলা তথা পদ্ধতি সঠিকভাবে জেনে গবেষণায় তাদেরকে বেশিকরে সম্পৃক্ত থাকতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কর্মশালার প্রাককালে সোশিওলজি এন্ড অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের প্রভাষক জনাব খলিলুল্লাহ্ মুহাম্মদ বায়েজিদ মূল বক্তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। কর্মশালায় সোশিওলজি এন্ড অ্যানথ্রোপলজি বিভাগের অ্যালামনাই যারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অনেকেই স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ করেন।