ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সাফ জয়ী অধিনায়ক সাবিনাকে সাতক্ষীরায় উষ্ণ সংবর্ধনা

  • আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর নিজ জেলায় ফিরে সাতক্ষীরাবাসীর ভালোবাসাপূর্ণ উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ‘গোলমেশিন’ খ্যাত এই ফুটবলারকে। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি পিকআপে চড়ে গোল্ডেন বুট ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ট্রপি হাতে নিয়ে শহরব্যাপী ঘুরেন তিনি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাকে বরণ করে নেয় জেলাবাসী।
শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার সবুজবাগের বাড়িতে ফেরেন সাবিনা খাতুন। সবুজবাগের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবিনা জানান, পশ্চাদপদ সমাজে একজন মেয়েকে খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। তাকেও করতে হয়েছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এমনটা নিজের পরিবারেরও অনেকে মেনে নেন না। তবু অদম্য মনোবল ও স্থানীয় কোচ প্রয়াত আকবর আলীর উৎসাহে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন বলে জানান এই সাফজয়ী এই ফুটবলার। সাতক্ষীরার পলাশপোলে ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কৃতি এই ফুটবলার। ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুটবলে পা রেখেছিলেন। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটায় পিতার মতো সাবিনার সঙ্গে থেকেছেন আকবার আলী। যিনি শহরের চালতেতলা এলাকায় ২০০২ সালে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের একটি আবাসিক সংগঠন গড়ে তোলেন। সাবিনার হাতেখড়িও সেই প্রতিষ্ঠান থেকে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহসংগঠক ও আকবর আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার বলেন, “সাবিনা তখন নবারুণ স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় তার খেলা নজর কাড়ে আকবর আলীর। “তিনি সাবিনাকে পিটিআই স্কুল মাঠে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় আমি ও আমার স্বামী তার সঙ্গে যেতাম।”
তিনি আরও বলেন, “জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই মাসুরা পারভীনেরও হাতেখড়ি। দুঃখ একটাই মেয়েদের এই সাফল্য আমার স্বামী দেখে যেতে পারলেন না। ”

সাবিনা-মাসুরার ফুটবল গুরু আকবর আলীর হাতে গড়া জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছেন রেহেনা আক্তার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মাসুরা পারভীন এখনও বাড়িতে আসেননি। তিনি ফিরলে তাদের দুজনকে একসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আগামীতে সময় করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান সংস্থার সভাপতি।

সাফ জয়ী অধিনায়ক সাবিনাকে সাতক্ষীরায় উষ্ণ সংবর্ধনা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর নিজ জেলায় ফিরে সাতক্ষীরাবাসীর ভালোবাসাপূর্ণ উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ‘গোলমেশিন’ খ্যাত এই ফুটবলারকে। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি পিকআপে চড়ে গোল্ডেন বুট ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ট্রপি হাতে নিয়ে শহরব্যাপী ঘুরেন তিনি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাকে বরণ করে নেয় জেলাবাসী।
শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার সবুজবাগের বাড়িতে ফেরেন সাবিনা খাতুন। সবুজবাগের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবিনা জানান, পশ্চাদপদ সমাজে একজন মেয়েকে খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। তাকেও করতে হয়েছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এমনটা নিজের পরিবারেরও অনেকে মেনে নেন না। তবু অদম্য মনোবল ও স্থানীয় কোচ প্রয়াত আকবর আলীর উৎসাহে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন বলে জানান এই সাফজয়ী এই ফুটবলার। সাতক্ষীরার পলাশপোলে ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কৃতি এই ফুটবলার। ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুটবলে পা রেখেছিলেন। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটায় পিতার মতো সাবিনার সঙ্গে থেকেছেন আকবার আলী। যিনি শহরের চালতেতলা এলাকায় ২০০২ সালে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের একটি আবাসিক সংগঠন গড়ে তোলেন। সাবিনার হাতেখড়িও সেই প্রতিষ্ঠান থেকে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহসংগঠক ও আকবর আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার বলেন, “সাবিনা তখন নবারুণ স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় তার খেলা নজর কাড়ে আকবর আলীর। “তিনি সাবিনাকে পিটিআই স্কুল মাঠে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় আমি ও আমার স্বামী তার সঙ্গে যেতাম।”
তিনি আরও বলেন, “জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই মাসুরা পারভীনেরও হাতেখড়ি। দুঃখ একটাই মেয়েদের এই সাফল্য আমার স্বামী দেখে যেতে পারলেন না। ”

সাবিনা-মাসুরার ফুটবল গুরু আকবর আলীর হাতে গড়া জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছেন রেহেনা আক্তার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মাসুরা পারভীন এখনও বাড়িতে আসেননি। তিনি ফিরলে তাদের দুজনকে একসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আগামীতে সময় করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান সংস্থার সভাপতি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

সাফ জয়ী অধিনায়ক সাবিনাকে সাতক্ষীরায় উষ্ণ সংবর্ধনা

আপডেট সময় : ০৯:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর নিজ জেলায় ফিরে সাতক্ষীরাবাসীর ভালোবাসাপূর্ণ উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ‘গোলমেশিন’ খ্যাত এই ফুটবলারকে। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি পিকআপে চড়ে গোল্ডেন বুট ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ট্রপি হাতে নিয়ে শহরব্যাপী ঘুরেন তিনি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাকে বরণ করে নেয় জেলাবাসী।
শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার সবুজবাগের বাড়িতে ফেরেন সাবিনা খাতুন। সবুজবাগের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবিনা জানান, পশ্চাদপদ সমাজে একজন মেয়েকে খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। তাকেও করতে হয়েছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এমনটা নিজের পরিবারেরও অনেকে মেনে নেন না। তবু অদম্য মনোবল ও স্থানীয় কোচ প্রয়াত আকবর আলীর উৎসাহে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন বলে জানান এই সাফজয়ী এই ফুটবলার। সাতক্ষীরার পলাশপোলে ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কৃতি এই ফুটবলার। ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুটবলে পা রেখেছিলেন। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটায় পিতার মতো সাবিনার সঙ্গে থেকেছেন আকবার আলী। যিনি শহরের চালতেতলা এলাকায় ২০০২ সালে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের একটি আবাসিক সংগঠন গড়ে তোলেন। সাবিনার হাতেখড়িও সেই প্রতিষ্ঠান থেকে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহসংগঠক ও আকবর আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার বলেন, “সাবিনা তখন নবারুণ স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় তার খেলা নজর কাড়ে আকবর আলীর। “তিনি সাবিনাকে পিটিআই স্কুল মাঠে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় আমি ও আমার স্বামী তার সঙ্গে যেতাম।”
তিনি আরও বলেন, “জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই মাসুরা পারভীনেরও হাতেখড়ি। দুঃখ একটাই মেয়েদের এই সাফল্য আমার স্বামী দেখে যেতে পারলেন না। ”

সাবিনা-মাসুরার ফুটবল গুরু আকবর আলীর হাতে গড়া জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছেন রেহেনা আক্তার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মাসুরা পারভীন এখনও বাড়িতে আসেননি। তিনি ফিরলে তাদের দুজনকে একসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আগামীতে সময় করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান সংস্থার সভাপতি।

সাফ জয়ী অধিনায়ক সাবিনাকে সাতক্ষীরায় উষ্ণ সংবর্ধনা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর নিজ জেলায় ফিরে সাতক্ষীরাবাসীর ভালোবাসাপূর্ণ উষ্ণ সংবর্ধনা পেলেন বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজ মোড়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ‘গোলমেশিন’ খ্যাত এই ফুটবলারকে। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার একটি পিকআপে চড়ে গোল্ডেন বুট ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ট্রপি হাতে নিয়ে শহরব্যাপী ঘুরেন তিনি। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে তাকে বরণ করে নেয় জেলাবাসী।
শুক্রবার ভোরে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার সবুজবাগের বাড়িতে ফেরেন সাবিনা খাতুন। সবুজবাগের বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাবিনা জানান, পশ্চাদপদ সমাজে একজন মেয়েকে খেলোয়াড়ী জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য প্রচুর সংগ্রাম করতে হয়। তাকেও করতে হয়েছে। মেয়েরা ফুটবল খেলবে, এমনটা নিজের পরিবারেরও অনেকে মেনে নেন না। তবু অদম্য মনোবল ও স্থানীয় কোচ প্রয়াত আকবর আলীর উৎসাহে তিনি আজ এ পর্যায়ে এসেছেন বলে জানান এই সাফজয়ী এই ফুটবলার। সাতক্ষীরার পলাশপোলে ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন কৃতি এই ফুটবলার। ২০০৭ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন ফুটবলে পা রেখেছিলেন। ২০০৯ সালেই জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুটায় পিতার মতো সাবিনার সঙ্গে থেকেছেন আকবার আলী। যিনি শহরের চালতেতলা এলাকায় ২০০২ সালে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নামের একটি আবাসিক সংগঠন গড়ে তোলেন। সাবিনার হাতেখড়িও সেই প্রতিষ্ঠান থেকে। এ প্রসঙ্গে জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহসংগঠক ও আকবর আলীর স্ত্রী রেহেনা আক্তার বলেন, “সাবিনা তখন নবারুণ স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায় তার খেলা নজর কাড়ে আকবর আলীর। “তিনি সাবিনাকে পিটিআই স্কুল মাঠে ফুটবল প্রশিক্ষণ দিতে থাকেন। জেলা ও বিভাগীয় বিভিন্ন ইভেন্টের খেলায় আমি ও আমার স্বামী তার সঙ্গে যেতাম।”
তিনি আরও বলেন, “জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই মাসুরা পারভীনেরও হাতেখড়ি। দুঃখ একটাই মেয়েদের এই সাফল্য আমার স্বামী দেখে যেতে পারলেন না। ”

সাবিনা-মাসুরার ফুটবল গুরু আকবর আলীর হাতে গড়া জ্যোতি ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্রীদেরকে সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের আহ্বান জানিয়েছেন রেহেনা আক্তার। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি হুমায়ুন কবির জানান, শনিবার বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাবিনা খাতুনকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মাসুরা পারভীন এখনও বাড়িতে আসেননি। তিনি ফিরলে তাদের দুজনকে একসঙ্গে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে আগামীতে সময় করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান সংস্থার সভাপতি।