অর্থনৈতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতের ছয়টি প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগ, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। গত রোববার ও গত সোমবার বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের বৈঠক হয়। ইআরডি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে অনেকেই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সভায় অংশ নেন। সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর প্রকল্প পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ খাতের ছয়টি প্রকল্পকে ‘সমস্যাপূর্ণ’ প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে। প্রকল্পগুলো হলো বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলাইবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট; এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন; পুনর্নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বৃদ্ধি; ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট পুনর্বিদ্যুতায়ন; পল্লি এলাকায় বিদ্যুতায়ন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ বিতরণ আধুনিকীকরণ কর্মসূচি। জানা গেছে, এসব প্রকল্প চার-পাঁচ বছর আগে নেওয়া হলেও বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশের বেশি নয়। এ ছাড়া পরামর্শক নিয়োগ, জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন জটিলতায় প্রকল্পগুলোর কাজ এগোচ্ছে না। সভায় প্রকল্প পরিচালকেরা এসব প্রকল্পের সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলাইবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পটি ২০১৭ সালে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মূল কাজ শুরু হয়নি। প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্পের মূল নকশা হবে। এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিয়ন শীর্ষক এই প্রকল্পের ৪৭ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। কোভিডের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ধীরগতি। এ ছাড়া ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট পুনর্বিদ্যুতায়ন প্রকল্পটি পুনরায় সংশোধন করে বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে ৫৫টি প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এসব প্রকল্পে প্রায় ১ হাজার ৫৬৯ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সভায় অংশ নেওয়া ইআরডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর জন্য এই সভা হয়েছে। গতি বাড়াতে কী কী করতে হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে কী ধরনের প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক বিনিয়োগ করবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। দুই দিনব্যাপী সভায় ইআরডির নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল বাকী ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন। প্রথম দিনে ইআরডি সচিব শরীফা খাতুন বক্তব্য দেন।

























