ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ভারতে ক্যাফেতে বসেই চলছে অফিস

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : বন্যায় ভেসে গেছে অফিস। সেখানে বসে কাজ করার সুযোগ নেই। তাই বলে তো আর অফিসের কাজ বন্ধ থাকবে না। অগত্যা পাশের একটি ক্যাফেতে ঠাঁই নিয়েছেন কয়েকজন। শুধু কি তাই, বন্যায় প্লাবিত অফিস থেকে নিজ নিজ ডেস্কটপ কম্পিউটার এনে সেই ক্যাফেতে বসিয়েছেন। কফি শপটিকে রীতিমতো অফিস বানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। আর সেখানে বসেই চলছে অফিসের প্রাত্যহিক কাজ। সম্প্রতি এমনই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল রোববার এই ছবি ও ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো ক্যাফেতে গেলে ল্যাপটপ খুলে অনেককেই কাজ করতে দেখা যায়। অনেকে ক্যাফেতে বসে কফি খেতে খেতে টুকটাক লেখালেখি কিংবা ই–মেইল করার মতো ছোট কাজগুলো সেরে নেন। তাই বলে একদল মানুষ ডেস্কটপ খুলে ক্যাফে থেকে অফিসের কাজ করছেন, এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না।
সাম্প্রতিক বন্যার সময় এমন বিচিত্র কাজটাই করেছেন বেঙ্গালুরুর একদল মানুষ। বন্যায় অফিস প্লাবিত হওয়ায় পাশের একটি কফি শপকে রীতিমতো অফিস বানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ‘থার্ড ওয়েভ কফি’ নামের ক্যাফেটি যেন সাময়িক সময়ের জন্য অফিস হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে সংকেত সাহু নামে এক ব্যক্তি এমনই একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি ক্যাফেতে বসে ডেস্কটপ খুলে কাজ করছেন। ক্যাপশনে সংকেত সাহু জানান, অফিস প্লাবিত হওয়ায় ক্যাফেটিকে অফিস বানিয়ে নিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় কিংবা তাঁরা কোন অফিসে কাজ করেন, সেসবের বিস্তারিত জানানো হয়নি। এমনকি সংকেত সাহু টুইটারে যে ছবি আপলোড করেছেন, নাম–পরিচয় গোপন রাখার জন্য সেটিতে থাকা ব্যক্তির মুখ ঝাপসা করে দিয়েছেন তিনি। তবে এই ছবি নিয়ে টুইটারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটাকে ‘দুঃখজনক’ ও ‘বাজে করপোরেট সংস্কৃতি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মতে, বন্যায় অফিস ডুবে গেলে কর্মীদের ছুটি দেওয়া উচিত ছিল। আবার অনেকে মজা করে লিখেছেন, ‘এটা টিকে থাকা কিংবা মারা যাওয়ার মতো পরিস্থিতি’।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ভারতে ক্যাফেতে বসেই চলছে অফিস

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : বন্যায় ভেসে গেছে অফিস। সেখানে বসে কাজ করার সুযোগ নেই। তাই বলে তো আর অফিসের কাজ বন্ধ থাকবে না। অগত্যা পাশের একটি ক্যাফেতে ঠাঁই নিয়েছেন কয়েকজন। শুধু কি তাই, বন্যায় প্লাবিত অফিস থেকে নিজ নিজ ডেস্কটপ কম্পিউটার এনে সেই ক্যাফেতে বসিয়েছেন। কফি শপটিকে রীতিমতো অফিস বানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। আর সেখানে বসেই চলছে অফিসের প্রাত্যহিক কাজ। সম্প্রতি এমনই একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি গতকাল রোববার এই ছবি ও ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, কোনো ক্যাফেতে গেলে ল্যাপটপ খুলে অনেককেই কাজ করতে দেখা যায়। অনেকে ক্যাফেতে বসে কফি খেতে খেতে টুকটাক লেখালেখি কিংবা ই–মেইল করার মতো ছোট কাজগুলো সেরে নেন। তাই বলে একদল মানুষ ডেস্কটপ খুলে ক্যাফে থেকে অফিসের কাজ করছেন, এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না।
সাম্প্রতিক বন্যার সময় এমন বিচিত্র কাজটাই করেছেন বেঙ্গালুরুর একদল মানুষ। বন্যায় অফিস প্লাবিত হওয়ায় পাশের একটি কফি শপকে রীতিমতো অফিস বানিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। ‘থার্ড ওয়েভ কফি’ নামের ক্যাফেটি যেন সাময়িক সময়ের জন্য অফিস হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে সংকেত সাহু নামে এক ব্যক্তি এমনই একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ব্যক্তি ক্যাফেতে বসে ডেস্কটপ খুলে কাজ করছেন। ক্যাপশনে সংকেত সাহু জানান, অফিস প্লাবিত হওয়ায় ক্যাফেটিকে অফিস বানিয়ে নিয়েছেন কয়েকজন ব্যক্তি। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় কিংবা তাঁরা কোন অফিসে কাজ করেন, সেসবের বিস্তারিত জানানো হয়নি। এমনকি সংকেত সাহু টুইটারে যে ছবি আপলোড করেছেন, নাম–পরিচয় গোপন রাখার জন্য সেটিতে থাকা ব্যক্তির মুখ ঝাপসা করে দিয়েছেন তিনি। তবে এই ছবি নিয়ে টুইটারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ এটাকে ‘দুঃখজনক’ ও ‘বাজে করপোরেট সংস্কৃতি’ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মতে, বন্যায় অফিস ডুবে গেলে কর্মীদের ছুটি দেওয়া উচিত ছিল। আবার অনেকে মজা করে লিখেছেন, ‘এটা টিকে থাকা কিংবা মারা যাওয়ার মতো পরিস্থিতি’।