প্রতিবেদক : কিশোর গ্যাং ‘চাঁন-জাদু’ গ্রুপ ও ‘ব্যান্ডেজ’ গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের মুগদা থানা পুলিশ। চাঁন-জাদু গ্রুপের জাদুকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও চাঁনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা দলবেঁধে চলাফেরা করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত। নির্দিষ্ট গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারিও করত তারা। গতকাল বুধবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আ. আহাদ। এই দুই কিশোর গ্যাং গ্রুপের গ্রেপ্তার সদস্যরা হলেন- মো. জাদু, মো. রবিন, নয়ন ইসলাম শুভ এবং ব্যান্ডেজ গ্রুপের মো. হিরো ও মো. রিপন। ডিসি মো. আ. আহাদ বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করে আসামিদের তালিকা তৈরির পর গত মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুই গ্রুপের ৩২ কিশোর সদস্য রয়েছে। বাকিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, এই দুই কিশোর গ্যাং সদস্যরা স্মার্টফোন ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ করত। রাস্তায় চলাচলরত নারীদেরকে উত্ত্যক্ত করা, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভটিজিং, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত তারা। এ ছাড়া তারা প্রায়ই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টার জন্য দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে। ডিসি আ. আহাদ আরও বলেন, বিভিন্ন জনবিরল এমনকি জনসমাগমপূর্ণ স্থানেও তারা একাকী পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে। এরপর আশপাশে কেউ বুঝে ওঠার আগেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে মানিব্যাগ, টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যেত। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের ইন্ধনদাতা হিসেবে যদি প্রভাবশালী কেউ, এমনকি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা আমরা এরইমধ্যে কমিয়ে এনেছি।
জনপ্রিয় সংবাদ