ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫

মাদক মামলায় ব্যবসায়ী নাসির-অমি কারাগারে

  • আপডেট সময় : ১২:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার এদিন দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামি নাসিরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তাদেরনজামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ জুন দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
তারপর এ মামলায় গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিরসহ তাদের তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বিমানবন্দর থানার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫) ও তুহিন সিদ্দিকী অমির (৩৩) সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়াও আদালত মামলার অন্য তিন আসামি লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে (২৪) তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর গত ১৯ জুন তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার পরদিন গত ২০ জুন তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদক মামলায় ব্যবসায়ী নাসির-অমি কারাগারে

আপডেট সময় : ১২:০৭:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুন ২০২১

প্রতিবেদক : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার এদিন দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামি নাসিরের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস তাদেরনজামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ জুন দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে মামলা করেন।
তারপর এ মামলায় গত ১৫ জুন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিরসহ তাদের তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বিমানবন্দর থানার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালত আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫) ও তুহিন সিদ্দিকী অমির (৩৩) সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ছাড়াও আদালত মামলার অন্য তিন আসামি লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে (২৪) তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর গত ১৯ জুন তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার পরদিন গত ২০ জুন তিন আসামির পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।