ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার

  • আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮২ বার পড়া হয়েছে

ক্যারিয়ার ও ক্যাম্পাস ডেস্ক : ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু) বলতে মূলত বোঝায় বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের নিজেদের জ্ঞান, বুদ্ধি, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে সেটি সে ব্যক্তি বা সংস্থার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি। অন্যদিকে কপিরাইট আইন সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করে, যা স্বীকৃতি অর্জনের সাথে অর্থনৈতিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে পারে। এ দুই ধরনের ক্ষেত্র অবশ্য বেশ জটিল। দেশ আর ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এগুলোর প্রয়োগ আলাদা হয়। তাই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক একটা ধারণা পাবেন এবারের লেখায়।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একটি কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস যদি আইনগতভাবে সংরক্ষিত না থাকে, তাহলে সেগুলো যে কেউ ইচ্ছামতো তৈরি করতে পারবে। ফলে সে কোম্পানির ব্যবসা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে দরকার হয় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইনের প্রয়োগ। যেমন, স্যামসাং ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোর ট্রেডমার্ক করা থাকে বলে অন্য যে কেউ চাইলেই সেগুলোর নকল সংস্করণ বের করতে পারবেনা। বের করলে বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সৃজনশীল কাজে চলে আসে কপিরাইট আইনের ব্যবহার। ধরা যাক আপনি একটি গান লিখেছেন। আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ এ গান নিজের কোন গানে ব্যবহার করলে তা হবে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন।
বাংলাদেশে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের ভূমিকা কেমন?
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউআইপিওর (ডওচঙ) সদস্য। এ সংস্থাটির সাধারণ নিয়মকানুন তাই আমাদের দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর ধারাবাহিকতায় ‘ঞযব চবহধষ ঈড়ফব ড়ভ ইধহমষধফবংয’ যেকোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ রোধ নিশ্চিত করে। তবে বিভিন্ন শিল্প-ব্যবসায় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের প্রয়োগ তুলনামূলকভাবে নতুন।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কী কী ক্ষেত্র রয়েছে?
একজন আইনজীবী হিসাবে আপনি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে পারবেন। যেমন—ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (টেড সিক্রেট), পেটেন্ট, লাইসেন্সিং
ট্রেডমার্ক : একই ধরনের পণ্য যখন একাধিক কোম্পানি উৎপাদন করে তখন পরস্পরের পণ্যের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের নাম, চিহ্ন কিংবা স্লোগান সম্বলিত লোগো ব্যবহার করে। যদি কোন কোম্পানি নিজের পণ্যতে অন্য কোম্পানির লোগো বা অন্য কোন চিহ্ন ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগী কোম্পানি মামলা করতে পারে। পুরো বিষয়টি ট্রেডমার্ক সংরক্ষণের সাথে জড়িত।
কপিরাইট : কপিরাইট আইন কোন ব্যক্তির শিল্পকর্ম, যেমন— আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম, সঙ্গীতকর্ম, লেখনী ইত্যাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে এর স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত আইনজীবী নিজের ক্লায়েন্টের কাজের স্বীকৃতি লাভের নিশ্চয়তা পেতে কাজ করেন।
বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (ট্রেড সিক্রেট) : একই পণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হলে কোন কোম্পানি অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক নীতির আশ্রয় নেয়। এগুলো সাধারণত গোপন থাকে এবং ব্যবসায়িক সমপ্রদায়ের কাছে প্রকাশ করা হয়না। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী দেখবেন তার কোম্পানির তথ্যগুলো গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গোপনীয়তা নষ্ট হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে কিনা।
পেটেন্ট : পেটেন্ট সংরক্ষণ হলো মূলত আবিষ্কার সংরক্ষণ। এর মাধ্যমে নিজস্ব মেশিন বা সেরকম কোন আবিষ্কারের ফলে এর স্বত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবিষ্কারকের কাছে রাখা যায়। নিযুক্ত আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লাইসেন্সিং : পূর্বে উল্লিখিত সকল সেক্টরের সীমিত বা মুক্ত ব্যবহারের অনুমতি দেবার ব্যবস্থা হলো লাইসেন্সিং। একজন শিল্পী কপিরাইটের অধীনে থাকা তাঁর শিল্পকর্ম সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। একইভাবে কোন কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত পণ্য পুনরুৎপাদনের জন্য অন্য কোম্পানিকে লাইসেন্স দিতে পারে।

। দেশ আর ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এগুলোর প্রয়োগ আলাদা হয়। তাই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক একটা ধারণা পাবেন এবারের লেখায়।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একটি কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস যদি আইনগতভাবে সংরক্ষিত না থাকে, তাহলে সেগুলো যে কেউ ইচ্ছামতো তৈরি করতে পারবে। ফলে সে কোম্পানির ব্যবসা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে দরকার হয় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইনের প্রয়োগ। যেমন, স্যামসাং ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোর ট্রেডমার্ক করা থাকে বলে অন্য যে কেউ চাইলেই সেগুলোর নকল সংস্করণ বের করতে পারবেনা। বের করলে বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সৃজনশীল কাজে চলে আসে কপিরাইট আইনের ব্যবহার। ধরা যাক আপনি একটি গান লিখেছেন। আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ এ গান নিজের কোন গানে ব্যবহার করলে তা হবে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন।
বাংলাদেশে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের ভূমিকা কেমন?
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউআইপিওর (ডওচঙ) সদস্য। এ সংস্থাটির সাধারণ নিয়মকানুন তাই আমাদের দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর ধারাবাহিকতায় ‘ঞযব চবহধষ ঈড়ফব ড়ভ ইধহমষধফবংয’ যেকোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ রোধ নিশ্চিত করে। তবে বিভিন্ন শিল্প-ব্যবসায় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের প্রয়োগ তুলনামূলকভাবে নতুন।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কী কী ক্ষেত্র রয়েছে?
একজন আইনজীবী হিসাবে আপনি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে পারবেন। যেমন—ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (টেড সিক্রেট), পেটেন্ট, লাইসেন্সিং
ট্রেডমার্ক : একই ধরনের পণ্য যখন একাধিক কোম্পানি উৎপাদন করে তখন পরস্পরের পণ্যের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের নাম, চিহ্ন কিংবা স্লোগান সম্বলিত লোগো ব্যবহার করে। যদি কোন কোম্পানি নিজের পণ্যতে অন্য কোম্পানির লোগো বা অন্য কোন চিহ্ন ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগী কোম্পানি মামলা করতে পারে। পুরো বিষয়টি ট্রেডমার্ক সংরক্ষণের সাথে জড়িত।
কপিরাইট : কপিরাইট আইন কোন ব্যক্তির শিল্পকর্ম, যেমন— আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম, সঙ্গীতকর্ম, লেখনী ইত্যাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে এর স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত আইনজীবী নিজের ক্লায়েন্টের কাজের স্বীকৃতি লাভের নিশ্চয়তা পেতে কাজ করেন।
বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (ট্রেড সিক্রেট) : একই পণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হলে কোন কোম্পানি অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক নীতির আশ্রয় নেয়। এগুলো সাধারণত গোপন থাকে এবং ব্যবসায়িক সমপ্রদায়ের কাছে প্রকাশ করা হয়না। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী দেখবেন তার কোম্পানির তথ্যগুলো গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গোপনীয়তা নষ্ট হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে কিনা।
পেটেন্ট : পেটেন্ট সংরক্ষণ হলো মূলত আবিষ্কার সংরক্ষণ। এর মাধ্যমে নিজস্ব মেশিন বা সেরকম কোন আবিষ্কারের ফলে এর স্বত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবিষ্কারকের কাছে রাখা যায়। নিযুক্ত আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লাইসেন্সিং : পূর্বে উল্লিখিত সকল সেক্টরের সীমিত বা মুক্ত ব্যবহারের অনুমতি দেবার ব্যবস্থা হলো লাইসেন্সিং। একজন শিল্পী কপিরাইটের অধীনে থাকা তাঁর শিল্পকর্ম সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। একইভাবে কোন কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত পণ্য পুনরুৎপাদনের জন্য অন্য কোম্পানিকে লাইসেন্স দিতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার

আপডেট সময় : ০৯:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্যারিয়ার ও ক্যাম্পাস ডেস্ক : ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি (ওহঃবষষবপঃঁধষ চৎড়ঢ়বৎঃু) বলতে মূলত বোঝায় বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি বা সংস্থা তাদের নিজেদের জ্ঞান, বুদ্ধি, মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে সেটি সে ব্যক্তি বা সংস্থার ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি। অন্যদিকে কপিরাইট আইন সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করে, যা স্বীকৃতি অর্জনের সাথে অর্থনৈতিক সুবিধাও নিশ্চিত করতে পারে। এ দুই ধরনের ক্ষেত্র অবশ্য বেশ জটিল। দেশ আর ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এগুলোর প্রয়োগ আলাদা হয়। তাই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক একটা ধারণা পাবেন এবারের লেখায়।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একটি কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস যদি আইনগতভাবে সংরক্ষিত না থাকে, তাহলে সেগুলো যে কেউ ইচ্ছামতো তৈরি করতে পারবে। ফলে সে কোম্পানির ব্যবসা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে দরকার হয় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইনের প্রয়োগ। যেমন, স্যামসাং ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোর ট্রেডমার্ক করা থাকে বলে অন্য যে কেউ চাইলেই সেগুলোর নকল সংস্করণ বের করতে পারবেনা। বের করলে বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সৃজনশীল কাজে চলে আসে কপিরাইট আইনের ব্যবহার। ধরা যাক আপনি একটি গান লিখেছেন। আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ এ গান নিজের কোন গানে ব্যবহার করলে তা হবে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন।
বাংলাদেশে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের ভূমিকা কেমন?
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউআইপিওর (ডওচঙ) সদস্য। এ সংস্থাটির সাধারণ নিয়মকানুন তাই আমাদের দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর ধারাবাহিকতায় ‘ঞযব চবহধষ ঈড়ফব ড়ভ ইধহমষধফবংয’ যেকোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ রোধ নিশ্চিত করে। তবে বিভিন্ন শিল্প-ব্যবসায় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের প্রয়োগ তুলনামূলকভাবে নতুন।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কী কী ক্ষেত্র রয়েছে?
একজন আইনজীবী হিসাবে আপনি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে পারবেন। যেমন—ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (টেড সিক্রেট), পেটেন্ট, লাইসেন্সিং
ট্রেডমার্ক : একই ধরনের পণ্য যখন একাধিক কোম্পানি উৎপাদন করে তখন পরস্পরের পণ্যের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের নাম, চিহ্ন কিংবা স্লোগান সম্বলিত লোগো ব্যবহার করে। যদি কোন কোম্পানি নিজের পণ্যতে অন্য কোম্পানির লোগো বা অন্য কোন চিহ্ন ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগী কোম্পানি মামলা করতে পারে। পুরো বিষয়টি ট্রেডমার্ক সংরক্ষণের সাথে জড়িত।
কপিরাইট : কপিরাইট আইন কোন ব্যক্তির শিল্পকর্ম, যেমন— আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম, সঙ্গীতকর্ম, লেখনী ইত্যাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে এর স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত আইনজীবী নিজের ক্লায়েন্টের কাজের স্বীকৃতি লাভের নিশ্চয়তা পেতে কাজ করেন।
বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (ট্রেড সিক্রেট) : একই পণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হলে কোন কোম্পানি অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক নীতির আশ্রয় নেয়। এগুলো সাধারণত গোপন থাকে এবং ব্যবসায়িক সমপ্রদায়ের কাছে প্রকাশ করা হয়না। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী দেখবেন তার কোম্পানির তথ্যগুলো গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গোপনীয়তা নষ্ট হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে কিনা।
পেটেন্ট : পেটেন্ট সংরক্ষণ হলো মূলত আবিষ্কার সংরক্ষণ। এর মাধ্যমে নিজস্ব মেশিন বা সেরকম কোন আবিষ্কারের ফলে এর স্বত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবিষ্কারকের কাছে রাখা যায়। নিযুক্ত আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লাইসেন্সিং : পূর্বে উল্লিখিত সকল সেক্টরের সীমিত বা মুক্ত ব্যবহারের অনুমতি দেবার ব্যবস্থা হলো লাইসেন্সিং। একজন শিল্পী কপিরাইটের অধীনে থাকা তাঁর শিল্পকর্ম সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। একইভাবে কোন কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত পণ্য পুনরুৎপাদনের জন্য অন্য কোম্পানিকে লাইসেন্স দিতে পারে।

। দেশ আর ইন্ডাস্ট্রি ভেদে এগুলোর প্রয়োগ আলাদা হয়। তাই ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক একটা ধারণা পাবেন এবারের লেখায়।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একটি কোম্পানির বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিস যদি আইনগতভাবে সংরক্ষিত না থাকে, তাহলে সেগুলো যে কেউ ইচ্ছামতো তৈরি করতে পারবে। ফলে সে কোম্পানির ব্যবসা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ পরিস্থিতি ঠেকাতে দরকার হয় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি আইনের প্রয়োগ। যেমন, স্যামসাং ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোর ট্রেডমার্ক করা থাকে বলে অন্য যে কেউ চাইলেই সেগুলোর নকল সংস্করণ বের করতে পারবেনা। বের করলে বড় অংকের জরিমানার মুখে পড়তে হবে। সৃজনশীল কাজে চলে আসে কপিরাইট আইনের ব্যবহার। ধরা যাক আপনি একটি গান লিখেছেন। আপনার অনুমতি ছাড়া কেউ এ গান নিজের কোন গানে ব্যবহার করলে তা হবে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন।
বাংলাদেশে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের ভূমিকা কেমন?
বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বা ডব্লিউআইপিওর (ডওচঙ) সদস্য। এ সংস্থাটির সাধারণ নিয়মকানুন তাই আমাদের দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এর ধারাবাহিকতায় ‘ঞযব চবহধষ ঈড়ফব ড়ভ ইধহমষধফবংয’ যেকোন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির উপর হস্তক্ষেপ রোধ নিশ্চিত করে। তবে বিভিন্ন শিল্প-ব্যবসায় ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনের প্রয়োগ তুলনামূলকভাবে নতুন।
ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও কপিরাইট আইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কী কী ক্ষেত্র রয়েছে?
একজন আইনজীবী হিসাবে আপনি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করতে পারবেন। যেমন—ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (টেড সিক্রেট), পেটেন্ট, লাইসেন্সিং
ট্রেডমার্ক : একই ধরনের পণ্য যখন একাধিক কোম্পানি উৎপাদন করে তখন পরস্পরের পণ্যের মধ্যে পার্থক্য করার জন্য কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের নাম, চিহ্ন কিংবা স্লোগান সম্বলিত লোগো ব্যবহার করে। যদি কোন কোম্পানি নিজের পণ্যতে অন্য কোম্পানির লোগো বা অন্য কোন চিহ্ন ব্যবহার করে, সেক্ষেত্রে ভুক্তভোগী কোম্পানি মামলা করতে পারে। পুরো বিষয়টি ট্রেডমার্ক সংরক্ষণের সাথে জড়িত।
কপিরাইট : কপিরাইট আইন কোন ব্যক্তির শিল্পকর্ম, যেমন— আলোকচিত্র, চিত্রকর্ম, সঙ্গীতকর্ম, লেখনী ইত্যাদি সংরক্ষণের মাধ্যমে এর স্বীকৃতি নিশ্চিত করে। এক্ষেত্রে নিযুক্ত আইনজীবী নিজের ক্লায়েন্টের কাজের স্বীকৃতি লাভের নিশ্চয়তা পেতে কাজ করেন।
বাণিজ্যিক গোপনীয়তা (ট্রেড সিক্রেট) : একই পণ্য উৎপাদনকারী বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হলে কোন কোম্পানি অন্যদের থেকে এগিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক নীতির আশ্রয় নেয়। এগুলো সাধারণত গোপন থাকে এবং ব্যবসায়িক সমপ্রদায়ের কাছে প্রকাশ করা হয়না। এক্ষেত্রে কোম্পানি কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী দেখবেন তার কোম্পানির তথ্যগুলো গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গোপনীয়তা নষ্ট হবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে কিনা।
পেটেন্ট : পেটেন্ট সংরক্ষণ হলো মূলত আবিষ্কার সংরক্ষণ। এর মাধ্যমে নিজস্ব মেশিন বা সেরকম কোন আবিষ্কারের ফলে এর স্বত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আবিষ্কারকের কাছে রাখা যায়। নিযুক্ত আইনজীবী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লাইসেন্সিং : পূর্বে উল্লিখিত সকল সেক্টরের সীমিত বা মুক্ত ব্যবহারের অনুমতি দেবার ব্যবস্থা হলো লাইসেন্সিং। একজন শিল্পী কপিরাইটের অধীনে থাকা তাঁর শিল্পকর্ম সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারেন। একইভাবে কোন কোম্পানি তাদের আবিষ্কৃত পণ্য পুনরুৎপাদনের জন্য অন্য কোম্পানিকে লাইসেন্স দিতে পারে।