ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ৬০ লাখ মানুষ

  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৫ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০ লাখ মানুষ। এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। উদ্ভূত বাস্তবতায় আফগান পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য তহবিল দিতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। মার্টিন গ্রিফিথস জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আফগানিস্তান মানবিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু, ক্ষুধা ও আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে। আসন্ন শীতে দেশটির মানুষ যেন বেঁচে থাকতে পারে সেজন্য দাতাদের অবিলম্বে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দেওয়া উচিত। আফগানিস্তানে সংঘাত, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। তবে যে বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘এতোটা সংকটময়’ করে তুলেছে সেটি হলো বড় ধরনের উন্নয়ন সহায়তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া। মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, দারিদ্র্য গভীর হচ্ছে, জনসংখ্যা এখনও বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের মতো কোনও বাজেট নেই। এটা স্পষ্ট যে, কিছু উন্নয়ন সহায়তা পুনরায় চালু করা দরকার। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানের তিন কোটি ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর দেশটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০ লাখ মানুষ। ১০ লাখেরও বেশি শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, শীতের প্রস্তুতির জন্য জরুরিভাবে ৬১৪ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন। এই প্রস্তুতির মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র মেরামত ও আপগ্রেড করা, গরম কাপড় ও কম্বল সরবরাহের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত আরও ১৫৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ৭০ শতাংশেরও বেশি আফগান গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে গ্রিফিথস বলেন, যদি কৃষি এবং গবাদি পশু উৎপাদনকে সুরক্ষিত করা না যায় তাহলে লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। দেশটির খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ৬০ লাখ মানুষ

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : আফগানিস্তানে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০ লাখ মানুষ। এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। উদ্ভূত বাস্তবতায় আফগান পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য তহবিল দিতে দাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। মার্টিন গ্রিফিথস জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আফগানিস্তান মানবিক, অর্থনৈতিক, জলবায়ু, ক্ষুধা ও আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে। আসন্ন শীতে দেশটির মানুষ যেন বেঁচে থাকতে পারে সেজন্য দাতাদের অবিলম্বে ৭৭০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দেওয়া উচিত। আফগানিস্তানে সংঘাত, দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তনের ধাক্কা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ‘দীর্ঘদিন ধরে একটি দুঃখজনক বাস্তবতা। তবে যে বিষয়টি বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘এতোটা সংকটময়’ করে তুলেছে সেটি হলো বড় ধরনের উন্নয়ন সহায়তাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া। মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, দারিদ্র্য গভীর হচ্ছে, জনসংখ্যা এখনও বাড়ছে। কর্তৃপক্ষের কাছেও আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগের মতো কোনও বাজেট নেই। এটা স্পষ্ট যে, কিছু উন্নয়ন সহায়তা পুনরায় চালু করা দরকার। জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, আফগানিস্তানের তিন কোটি ৯০ লাখ মানুষের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আর দেশটিতে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে ৬০ লাখ মানুষ। ১০ লাখেরও বেশি শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, শীতের প্রস্তুতির জন্য জরুরিভাবে ৬১৪ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন। এই প্রস্তুতির মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র মেরামত ও আপগ্রেড করা, গরম কাপড় ও কম্বল সরবরাহের মতো বিষয়গুলো রয়েছে। এছাড়া খাবার ও অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য অতিরিক্ত আরও ১৫৪ মিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। ৭০ শতাংশেরও বেশি আফগান গ্রামীণ এলাকায় বসবাস করে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে গ্রিফিথস বলেন, যদি কৃষি এবং গবাদি পশু উৎপাদনকে সুরক্ষিত করা না যায় তাহলে লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকির মুখে পড়বে। দেশটির খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।