ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

আইইউবিতে চালু হচ্ছে ‘কিং সেজং ইনস্টিটিউট’

  • আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ^বিদ্যালয় প্রতিবেদক : দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ‘কিং সেজং ইনস্টিটিউট’ চালু করতে যাচ্ছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। গত ৯ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসানের হাতে প্রয়োজনীয় সনদ হস্তান্তর করে কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ অনুদান পায় আইইউবি। সেই অনুদানের অর্থে ক্যাম্পাসে একটি ‘কোরিয়া কর্নার’ স্থাপনের কাজ চলছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কর্মকৌশলের অংশ। এখানে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন উপকরণ রাখা হবে, যা থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। এরই ধারাবাহিকতায় কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে আইইউবি। ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনের বিষয়টি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে সরাসরি কোরিয়ান ভাষাভাষীদের কাছ থেকে ভাষাটি শেখার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, আইইউবিতে কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপনের সুযোগ পাওয়া একটি অনন্য সম্মান। এটি আইইউবির ‘গোয়িং গ্লোবাল’ ও ‘কমিউনিটি এনগেজমেন্ট’ কর্মকৌশলের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সচেতন বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যার জন্য মাতৃভাষা ছাড়াও অন্য ভাষার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কিং সেজং ইনস্টিটিউট চালু হলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সবার জন্য সহজে কোরিয়ান ভাষা শেখার সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কিং সেজং ইনস্টিউট স্থাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে আইইউবি প্রায় এক দশক ধরে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি আশা করি এ ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে দুদেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। কিং সেজং ইনস্টিটিউটের নামকরণ করা হয়েছে কোরিয়ান বর্ণমালার প্রবক্তা সেজং দ্য গ্রেটের নামানুসারে। বর্তমানে বিশ্বের ৮০টি দেশে ২৩৪টি কিং সেজং ইনস্টিটিউট চালু আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে এ ইনস্টিটিউটগুলোর কার্যক্রম দেখভাল করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরিতে কাজ করে এ ইনস্টিটিউটগুলো।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আইইউবিতে চালু হচ্ছে ‘কিং সেজং ইনস্টিটিউট’

আপডেট সময় : ১০:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

বিশ^বিদ্যালয় প্রতিবেদক : দক্ষিণ কোরিয়ার বিখ্যাত ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ‘কিং সেজং ইনস্টিটিউট’ চালু করতে যাচ্ছে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)। গত ৯ আগস্ট দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসানের হাতে প্রয়োজনীয় সনদ হস্তান্তর করে কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন। গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ অনুদান পায় আইইউবি। সেই অনুদানের অর্থে ক্যাম্পাসে একটি ‘কোরিয়া কর্নার’ স্থাপনের কাজ চলছে, যা বিশ্ববিদ্যালয়টির কমিউনিটি এনগেজমেন্ট কর্মকৌশলের অংশ। এখানে দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন উপকরণ রাখা হবে, যা থাকবে সবার জন্য উন্মুক্ত। এরই ধারাবাহিকতায় কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা করছে আইইউবি। ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনের বিষয়টি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। ইনস্টিটিউট স্থাপিত হলে সরাসরি কোরিয়ান ভাষাভাষীদের কাছ থেকে ভাষাটি শেখার সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, আইইউবিতে কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপনের সুযোগ পাওয়া একটি অনন্য সম্মান। এটি আইইউবির ‘গোয়িং গ্লোবাল’ ও ‘কমিউনিটি এনগেজমেন্ট’ কর্মকৌশলের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সচেতন বিশ্বনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যার জন্য মাতৃভাষা ছাড়াও অন্য ভাষার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। কিং সেজং ইনস্টিটিউট চালু হলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সবার জন্য সহজে কোরিয়ান ভাষা শেখার সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কিং সেজং ইনস্টিউট স্থাপন করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে আইইউবি প্রায় এক দশক ধরে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমি আশা করি এ ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে দুদেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। কিং সেজং ইনস্টিটিউটের নামকরণ করা হয়েছে কোরিয়ান বর্ণমালার প্রবক্তা সেজং দ্য গ্রেটের নামানুসারে। বর্তমানে বিশ্বের ৮০টি দেশে ২৩৪টি কিং সেজং ইনস্টিটিউট চালু আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন বিশ্বজুড়ে এ ইনস্টিটিউটগুলোর কার্যক্রম দেখভাল করে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আগ্রহ তৈরিতে কাজ করে এ ইনস্টিটিউটগুলো।