ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:১৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে এবং আইন প্রয়োগে কাজ করছে।’
রোববার (২৮ আগস্ট) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, এমপি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— বিসিআইসির অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৩০ থেকে ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তামাক সেক্টর থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাক শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত আছে। এ মানুষগুলোর বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।’ টিপু মুনশি জানান, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা করণীয়, সেগুলো করা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার মাধ্যগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:১৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশ সরকার বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে এবং আইন প্রয়োগে কাজ করছে।’
রোববার (২৮ আগস্ট) ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা আহছানিয়া মিশন আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন-পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী এবং ডা. প্রাণগোপাল দত্ত, এমপি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— বিসিআইসির অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৩০ থেকে ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। তামাক সেক্টর থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে, তার চেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তামাক শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত আছে। এ মানুষগুলোর বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।’ টিপু মুনশি জানান, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা করণীয়, সেগুলো করা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার মাধ্যগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।