ঢাকা ০৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

ঋণ চাচ্ছে একের পর এক দেশ, আইএমএফ’র সতর্কতা

  • আপডেট সময় : ১০:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন ডলারের শক্তিবৃদ্ধিতে কিস্তি পরিশোধ যখন কঠিনতর হয়ে উঠেছে, তখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন করছে একের পর এক দেশ। এ অবস্থায় নি¤œআয়ের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য দ্রুত ও আরও বিস্তৃত পরিসরে অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-প্রধান।
গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ নি¤œআয়ের দেশ উচ্চঝুঁকিতে অথবা এরই মধ্যে ঋণ সংকটে রয়েছে। আর সংকটের পর্যায়ে রয়েছে অন্তত ২০টি উদীয়মান বাজার। আমরা সম্ভবত আরও দেশের জন্য ঋণের ছাড়ের প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাবো। বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কয়েক ধাপে সুদের হার বাড়িয়েছে, যার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের আগ্রাসী পদক্ষেপের। এতে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে মর্কিন ডলারের দর বাড়ে ব্যাপক হারে। এর মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশগুলো দুর্দশা সংক্রান্ত ঋণের পাহাড় তৈরি করে, যা খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়ার হুমকি সৃষ্টি করেছে। গীতা গোপীনাথ বলেন, ডলারের তুলনায় উদীয়মান বাজারগুলোর মুদ্রার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এই মুহূর্তে এটি তাদের আর্থিক নীতিকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে। এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা ডলারে ঋণ নিয়েছে। এটি তাদের দেনা শোধ করাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে নি¤œআয়ের দেশগুলোর ঋণ পরিশোধ স্থগিত অথবা পুনর্গঠনের জন্য ‘কমন ফ্রেমওয়ার্ক’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করে গ্রুপ অব ২০ বা জি২০। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল বেশিরভাগ ধনী ঋণদাতা দেশ। কিন্তু সেই কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এরপরে বৈশ্বিক ঋণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই সংকট কাটানোর বিষয়ে আইএমএফ উপ-প্রধান বলেন, খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং ফ্রেমওয়ার্কের পরিধি মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও প্রসারিত করতে হবে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

মিটফোর্ড হাসপাতাল ‘শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

ঋণ চাচ্ছে একের পর এক দেশ, আইএমএফ’র সতর্কতা

আপডেট সময় : ১০:৩৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : মার্কিন ডলারের শক্তিবৃদ্ধিতে কিস্তি পরিশোধ যখন কঠিনতর হয়ে উঠেছে, তখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণ সহায়তার জন্য আবেদন করছে একের পর এক দেশ। এ অবস্থায় নি¤œআয়ের পাশাপাশি মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য দ্রুত ও আরও বিস্তৃত পরিসরে অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির উপ-প্রধান।
গত শুক্রবার (২৬ আগস্ট) ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইএমএফের ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর গীতা গোপীনাথ বলেন, প্রায় ৬০ শতাংশ নি¤œআয়ের দেশ উচ্চঝুঁকিতে অথবা এরই মধ্যে ঋণ সংকটে রয়েছে। আর সংকটের পর্যায়ে রয়েছে অন্তত ২০টি উদীয়মান বাজার। আমরা সম্ভবত আরও দেশের জন্য ঋণের ছাড়ের প্রয়োজনীয়তা দেখতে পাবো। বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কয়েক ধাপে সুদের হার বাড়িয়েছে, যার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের আগ্রাসী পদক্ষেপের। এতে বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতে মর্কিন ডলারের দর বাড়ে ব্যাপক হারে। এর মধ্যেই উন্নয়নশীল দেশগুলো দুর্দশা সংক্রান্ত ঋণের পাহাড় তৈরি করে, যা খেলাপি ঋণের রেকর্ড গড়ার হুমকি সৃষ্টি করেছে। গীতা গোপীনাথ বলেন, ডলারের তুলনায় উদীয়মান বাজারগুলোর মুদ্রার অবমূল্যায়নে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এই মুহূর্তে এটি তাদের আর্থিক নীতিকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে। এমন অনেক দেশ রয়েছে যারা ডলারে ঋণ নিয়েছে। এটি তাদের দেনা শোধ করাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে নি¤œআয়ের দেশগুলোর ঋণ পরিশোধ স্থগিত অথবা পুনর্গঠনের জন্য ‘কমন ফ্রেমওয়ার্ক’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করে গ্রুপ অব ২০ বা জি২০। এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল বেশিরভাগ ধনী ঋণদাতা দেশ। কিন্তু সেই কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ডিসেম্বরে। এরপরে বৈশ্বিক ঋণের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এই সংকট কাটানোর বিষয়ে আইএমএফ উপ-প্রধান বলেন, খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন এবং ফ্রেমওয়ার্কের পরিধি মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেও প্রসারিত করতে হবে।