কাশফিয়া জান্নাত কুহু : শিশুরা দেশের সম্পদ। কিন্তু শিশুদের পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি বদলায়নি। অনেক পরিবারই বাধ্য হয়ে শিশু সন্তানকে পড়াশোনা বন্ধ করে কাজে পাঠাচ্ছে। পুরো পরিবার শিশুর উপর নির্ভরশীল, এমন পরিবারের সংখ্যাও নেহাত কম নয় বলে আমার ধারণা। সরকারি জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে শিশুশ্রমজীবীর সংখ্যা ৭৯ লাখ। তাদের মধ্যে ৬৪ লাখ গ্রামাঞ্চলে এবং বাকি ১৫ লাখ শহরে বিভিন্ন শ্রমে নিয়োজিত। এই শ্রমিকের মধ্যে ৪৫ লাখ শিশুশ্রমজীবী ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত। তাদের মধ্যে ৩২ লাখ শিশু সপ্তাহে ১৪ ঘণ্টা এবং ১৩ লাখ শিশুশ্রমজীবী সপ্তাহে ৪৩ ঘণ্টা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করছে। শ্রম আইন ২০০৬-এ শিশুদের ন্যূনতম বয়স ১৪ আর কিশোরদের বয়স ১৪-১৮ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে ১৪ বছরের কম বয়সিদের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। শিশুর অভিভাবক কাজ করানোর জন্য কারো সাথে কোনো প্রকার চুক্তি করতে পারবে না। অনেক সময় শিশুদের কাজে নিয়োগ করার ক্ষেত্রে এসকল বিধি লঙ্ঘন করা হয়। নিয়োগকর্তারা অল্প পারিশ্রমিকে শিশুদের দিয়ে দীর্ঘক্ষণ কাজ করিয়ে নেন। শিশুদের দিয়ে বিপজ্জনক কাজ করানো হলে তারা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু স্বাস্থ্য সেবাও পায় না শিশুরা। শ্রমে যুক্ত হওয়ার কারণে এই শিশুরা তাদের শিক্ষা গ্রহণের অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়। শিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পথ এভাবেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: ঢাকা।-সৌজন্যে : বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতা বিষয়ক বিভাগ ‘হ্যালো’।