নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাত দিন ধরে অনশন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আল–আমিন (আটিয়া) নামের এক কলেজছাত্র। টানা ১৭০ ঘণ্টা অনশনের পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আল-আমিন মিরপুর বাঙলা কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের দাম ৮০ টাকার নিচে আনার দাবিতে ১৬ আগস্ট তিনি অনশনে বসেন। শারীরিক অসুস্থতায় আল–আমিনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তিনি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, জ্বালানির অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষি উৎপাদনসহ সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শিক্ষার্থীদের পরিবারগুলোর মাসিক আয় না বাড়লেও শিক্ষার্থীদের পরিবহন ভাড়াসহ সব খরচ বেড়ে চলেছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে কৃষি খাতসহ অন্য উৎপাদনশীল খাতগুলো উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা হারাবে। কিন্তু জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বা সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের টনক নড়েনি।
আল–আমিন ছাত্র অধিকার আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত। তবে তাঁর এ অনশন একান্তই ব্যক্তিগত বলে জানান গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্যসচিব জিল্লু খান। তিনি বলেন, আল–আমিনের আন্দোলনের প্রতি বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ সংহতি জানিয়েছেন। ২১ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে তাঁর এ আন্দোলনে সংহতি জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আল-আমিনের স্ত্রী রাত্রি আটিয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে আল-আমিনের দুই ঘণ্টা জ্ঞান ছিল না। তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে দুপুরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মোবাইল ক্লিনিক সেখানে গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। গণস্বাস্থ্য মোবাইল ক্লিনিকের কো-অর্ডিনেটর ও গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিনের অধ্যাপক শওকত আলী আরমান বলেন, আল-আমিন শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল হয়েছেন। টানা অনশনের কারণে তাঁর মধ্যে নানা চাপ তৈরি হয়েছে। সব মিলে তাঁর মধ্যে মানসিক অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।