ঢাকা ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

বিআরটির ওই ক্রেন ত্রুটিপূর্ণ, নেই ফিটনেস সার্টিফিকেটও

  • আপডেট সময় : ০৩:০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার সরানোর ক্রেনটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সেটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, উত্তরায় গার্ডার পড়ে হাতাহতের ঘটনায় ব্যবহৃত ক্রেনের ওজন সরানোর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ছিল ৫০ টন। কিন্তু যে গার্ডারটি সরানো হচ্ছিল, সেটির ওজন ৬০ থেকে ৭০ টন। ক্রেনটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে ক্রেনটি কেনা হয়েছিল। ত্রুটিপূর্ণ ক্রেনটি কাউন্টার লোড ছাড়াই গার্ডার স্থাপনের কাজ চালানো হচ্ছিল। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাসহ কয়েকটি কারণে ১০ জনকে আটক করে র‌্যান। সে ব্যাপারে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিআরটি প্রকল্পে থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ক্রেনটি সরবরাহ করে। ক্রেনটি আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে আনা হয়েছিল। এটি ৮০ টনের ক্রেন হলেও বর্তমান সক্ষমতা ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টন।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ক্রেনটির ফিটনেস ছিল না। অতিরিক্ত ভার বহন করায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের গার্ডার স্থানান্তর করতে কাউন্টার লোড ব্যবহার করা উচিত ছিল। এছাড়া, আরেকটি ক্রেন পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই রাখা উচিৎ ছিল। এমনকি যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত তা ছিল না। বিআরটি প্রকল্পের এই অংশটি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অন্য অংশ বাস্তবায়ন করছে সেতু বিভাগ। গত সোমবার উত্তরার জসীমউদদীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে বিআরটি প্রকল্পের কাজের সময় ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ৫ জনের নিহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন আহত হন। চিকিৎসা দেওয়া হলে তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬), জাকারিয়া (২) ও হৃদয়। আহত হন রিয়া ও তার স্বামী হৃদয়। এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে যতদ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

বিআরটির ওই ক্রেন ত্রুটিপূর্ণ, নেই ফিটনেস সার্টিফিকেটও

আপডেট সময় : ০৩:০২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর উত্তরায় প্রাইভেটকারের ওপর নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার সরানোর ক্রেনটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সেটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি জানান, উত্তরায় গার্ডার পড়ে হাতাহতের ঘটনায় ব্যবহৃত ক্রেনের ওজন সরানোর সর্বোচ্চ সক্ষমতা ছিল ৫০ টন। কিন্তু যে গার্ডারটি সরানো হচ্ছিল, সেটির ওজন ৬০ থেকে ৭০ টন। ক্রেনটির ফিটনেস সার্টিফিকেটও ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে ক্রেনটি কেনা হয়েছিল। ত্রুটিপূর্ণ ক্রেনটি কাউন্টার লোড ছাড়াই গার্ডার স্থাপনের কাজ চালানো হচ্ছিল। গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে একটি প্রাইভেটকারে থাকা পাঁচ আরোহীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলাসহ কয়েকটি কারণে ১০ জনকে আটক করে র‌্যান। সে ব্যাপারে জানাতেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বিআরটি প্রকল্পে থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ার লিমিটেড মাসিক ভাড়ার চুক্তিতে ক্রেনটি সরবরাহ করে। ক্রেনটি আনুমানিক ১৯৯৬-৯৭ সালে আনা হয়েছিল। এটি ৮০ টনের ক্রেন হলেও বর্তমান সক্ষমতা ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টন।
আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ক্রেনটির ফিটনেস ছিল না। অতিরিক্ত ভার বহন করায় সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এ ধরনের গার্ডার স্থানান্তর করতে কাউন্টার লোড ব্যবহার করা উচিত ছিল। এছাড়া, আরেকটি ক্রেন পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই রাখা উচিৎ ছিল। এমনকি যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা উচিত তা ছিল না। বিআরটি প্রকল্পের এই অংশটি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অন্য অংশ বাস্তবায়ন করছে সেতু বিভাগ। গত সোমবার উত্তরার জসীমউদদীনে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে বিআরটি প্রকল্পের কাজের সময় ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ৫ জনের নিহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজন আহত হন। চিকিৎসা দেওয়া হলে তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬), জাকারিয়া (২) ও হৃদয়। আহত হন রিয়া ও তার স্বামী হৃদয়। এ ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী ঘটনাস্থলে পরিদর্শন শেষে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের তথ্য নিশ্চিত করেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতারকে প্রধান করে এই কমিটি গঠিত হয়। কমিটিকে যতদ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।