ঢাবি সংবাদদাতা : বিএনপির আন্দোলনের সক্ষমতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘তের বছর ধরে কত শুনলাম! রোজার ঈদের পরে, কোরবানির ঈদের পরে, দেখতে দেখতে তের বছর!’ ‘দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু, ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় না! ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন দিল্লি দূর অস্ত।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী একথা বলেন। ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি, বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছে। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ পাক এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। মুক্তির জন্য শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ের আপসহীন কান্ডারি শেখ হাসিনা।’
বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দোষীও না, আমরা অপরাধী না, আমাদেরকে আর্থিক সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতি মূল্য দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে।’ ‘ধৈর্যহারা হবেন না কেউ; ইনশাআল্লাহ এই দিন থাকবে না। শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বুঝেন। সরকারপ্রধান হয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন মানুষ কষ্ট করছে। এই কষ্ট লাগবের উদ্যোগ তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কষ্ট সাময়িক, এই দুর্দিন চলে যাবে। ইনশাল্লাহ সুদিন আবার আসবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুদিন আগে দেখলাম, বেগম জিয়ার জন্মদিবসে এবার পনের তারিখে কেক কাটা হয়নি। কিন্তু, ষোল তারিখে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া মাহফিলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা না।’ ‘কিন্তু, দোয়া মাহফিলটার উপলক্ষ কী? উপলক্ষ খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনো ভুয়া জন্মদিন। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন? বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এ তামাশার নাটক আর কতদিন করবেন?’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।