ক্রীড়া ডেস্ক : ভারতের সবচেয়ে সফল কোচের নাম রবি শাস্ত্রী? এই প্রশ্নের উত্তরে এর বিরোধিতা করবেন, এমন মানুষ খুব বেশি নেই। সত্যিই তো শাস্ত্রী দীর্ঘ দিন কোচ হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে অন্য একটা উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। জন রাইট যদি ভারতীয় ক্রিকেট দলের নতুন পথের দিশা হন, গ্যারি কারস্টেন যদি বিশ্বকাপজয়ী কোচ হন, তাহলে শাস্ত্রীর হাত ধরেই ভারতীয় দলের ভয়ডরহীন ক্রিকেটের পথচলা। তাঁর অধীনেই ভারত অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়েছে। বিশেষ করে বিরাট কোহলি–রবি শাস্ত্রী জুটি ভারতীয় ক্রিকেট দলকে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলে পরিণত করেছে, এটা তো প্রমাণিতই। কোচ হিসেবে কেমন ছিলেন শাস্ত্রী? তাঁর অধীনে ভারতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে দিনেশ কার্তিক নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন ক্রিকবাজের একটি ভিডিও সিরিজে। কার্তিক মনে করেন কোচ হিসেবে সব সময়ই খেলোয়াড়দের প্রতি সমর্থন জুগিয়ে গেছেন শাস্ত্রী। খারাপ পারফরম্যান্সেও তাদের পাশে থেকেছেন। কিন্তু কয়েকটি জিনিস তিনি একেবারেই সহ্য করতে পারতেন না। তিনি ক্রিকেটারদের অনাগ্রহ, ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার ব্যর্থতা এবং ফিটনেস নিয়ে গাফিলতির ব্যাপারে কোনো ছাড় দিতেন না বলেই জানিয়েছেন দিনেশ কার্তিক। কার্তিক বলেন, ‘কোনো ক্রিকেটার যদি ধীরলয়ে ব্যাটিং করত, সেটি রবি শাস্ত্রী নিতে পারতেন না। এমনকি নেট অনুশীলন কিংবা ম্যাচে কোনো ব্যাটসম্যান যদি পরিকল্পনার বাইরে গিয়ে ব্যাটিং করত, সেটিও মেনে নিতে পারতেন না শাস্ত্রী। তিনি খুব ভালোমতোই জানতেন, ঠিক কোন জিনিসটা তিনি দল ও খেলোয়াড়দের কাছ থেকে চাচ্ছেন। ব্যর্থতাও তিনি মনে নিতে পারতেন না। তিনি সব সময়ই ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ভালো পারফরম্যান্স আশা করতেন। এর অন্যথা হলে বিরক্ত হতেন।’ রবি শাস্ত্রী ভারতের হয়ে খেলেছেন ১৯৮১ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। খেলেছেন ৮০টি টেস্ট ও ১৫০টি ওয়ানডে। ১৯৮৩ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। টেস্টে রান ৩৮৩০, ওয়ানডেতে ৩১০৮। খেলা ছাড়ার পর জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হিসেবেই নাম কামিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে প্রথম ভারতের টিম ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। ২০১৭ সালে অনিল কুম্বলে পদত্যাগ করার পর তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর তিনি সরে দাঁড়ান কোচের পদ থেকে।