নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের তদন্ত কমিশন অচিরেই হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। ২০১৯ সালে যখন (কমিশন গঠনের) প্ল্যান করলাম, তখন করোনার সংক্রমণ শুরু হলো। কমিশন গঠনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। এক্ষেত্রে তার আদেশ শিরোধার্য। তিনি হয়তো পরিমার্জন করবেন, সেজন্য এর আগে আমি এটি জনসম্মুখে আনতে চাই না।’
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা কোনও রাজনৈতিক হত্যাকা- নয়, বরং এটা ষড়যন্ত্রমূলক হত্যাকা-’, মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হবে এটা কেউ ভাবতেও পারেনি। যারা তাকে হত্যা করেছে, তারা বুঝতে পেরেছিল, যে ব্যর্থ রাষ্ট্র তারা করতে চেয়েছে, তার পরিবারের এক ফোঁটা রক্ত থাকলে সেটা তারা করতে পারবে না। এ থেকেই বোঝা যায় এটি পূর্বপরিকল্পিত, ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা।’ আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু নিজেকে সাধারণ মানুষ ভাবতেন। তবে তিনি মোটেও সাধারণ মানুষ ছিলেন না। তিনি বিশ্ব নেতৃত্বে স্থান করে নিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের নেতৃত্ব দিয়ে।’
‘দেশে অবাধ বাকস্বাধীনতা রয়েছে’ দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক চেয়ারম্যানের কাছে কিছু মানবাধিকার কর্মী বলেছে, বাংলাদেশ নাকি পুলিশি স্টেট। অথচ এরা টকশোতে যায়, তারা অসভ্য ভাষা পর্যন্ত ব্যবহার করে। আমরা বাধা দিই না, এটাই বাকস্বাধীনতা। এটাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।’
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব এ কে এম আতিকুর রহমান। রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রমুখ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে তদন্ত কমিশন অচিরেই হবে: আইনমন্ত্রী
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ