ঢাকা ০২:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫

ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের হিসাবের তথ্য দুদকে পেশ

  • আপডেট সময় : ০২:০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • ১১২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোবেল জয়ী অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় দুদক প্রধানন কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের কাছে এসব নথি হস্তাস্তর পেশ করেন।
শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাৎ ও ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করে দুদক। শুধু তাই নয়, কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে লেনদেনের সব তথ্যও চাওয়া হয়।
চিঠিতে গ্রামীণফোন কোম্পানিতে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শেয়ার ও তার বিপরীতে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি কত টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে, ওই লভ্যাংশের টাকা কোন কোন খাতে কীভাবে ব্যয় করেছে, তার বছরভিত্তিক তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গ্রামীন টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগশাজশে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মাসাৎ করেন, তাই এসব বিষয়ে বিশদ নথি চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো, তাদের শেয়ার থাকা গ্রামীণফোনের ‘গ্রামীণফোন ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ড’-এর অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন তারা।
এর আগে ২০১৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের পাঁচ কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে এক হাজার ৩০০ শ্রমিক ও কর্মচারীর ৭০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। পরে এই মামলা শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেন এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগসংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামীণ টেলিকমের অনিয়ম অনুসন্ধানে নাম আসা অভিযুক্তদের দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করবে কিনা জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘অনুসন্ধানের জন্য বিধি-বিধান অনুযায়ী অনুসন্ধান করবে দুদক। প্রয়োজন মনে করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের হিসাবের তথ্য দুদকে পেশ

আপডেট সময় : ০২:০১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : নোবেল জয়ী অর্থনীতিবীদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের চার সদস্যের সম্পদের হিসাব দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পেশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় দুদক প্রধানন কার্যালয়ে প্রতিষ্ঠানটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের কাছে এসব নথি হস্তাস্তর পেশ করেন।
শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ না দিয়ে তা আত্মসাৎ ও ৩ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে চলতি মাসের শুরুতে নোবেল জয়ী ডক্টর ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করে দুদক। শুধু তাই নয়, কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পর থেকে লেনদেনের সব তথ্যও চাওয়া হয়।
চিঠিতে গ্রামীণফোন কোম্পানিতে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শেয়ার ও তার বিপরীতে ১৯৯৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি কত টাকা লভ্যাংশ পেয়েছে, ওই লভ্যাংশের টাকা কোন কোন খাতে কীভাবে ব্যয় করেছে, তার বছরভিত্তিক তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, গ্রামীন টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পরস্পর যোগশাজশে দুই হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মাসাৎ করেন, তাই এসব বিষয়ে বিশদ নথি চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ হলো, তাদের শেয়ার থাকা গ্রামীণফোনের ‘গ্রামীণফোন ওয়ার্কার্স প্রফিট ফান্ড অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার ফান্ড’-এর অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের ৫ শতাংশ অর্থ লোপাট, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে অ্যাডভোকেট ফি ও অন্যান্য ফির নামে ৬ শতাংশ অর্থ কর্তন এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দকৃত সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ ১৩ হাজার ৬৪৩ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করেন তারা।
এর আগে ২০১৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক ইউনিয়নের পাঁচ কর্মচারী প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে এক হাজার ৩০০ শ্রমিক ও কর্মচারীর ৭০০ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন। পরে এই মামলা শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ইউসুফ হোসেন এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগসংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশন পর্যালোচনা করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। গ্রামীণ টেলিকমের অনিয়ম অনুসন্ধানে নাম আসা অভিযুক্তদের দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করবে কিনা জানতে চাইলে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘অনুসন্ধানের জন্য বিধি-বিধান অনুযায়ী অনুসন্ধান করবে দুদক। প্রয়োজন মনে করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হতে পারে।