ঢাকা ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক

  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক ঢাকায় দুটি কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। কিশোর গ্যাং দুটো ‘ডন সাগর গ্রুপ’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’ নামে পরিচিত। হাজারীবাগ ও দারুস সালাম এলাকা থেকে গত রোববার তাদের আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার বছিলায় নিজেদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ২-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আটক কিশোরদের কাছ থেকে ছুরি, চাপাতি, ক্ষুরসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাকিল হাওলাদার (১৮), মুরাদ হোসেন (২০), মামুন খান (১৮), রিফাদ হোসেন (১৮), মো. রায়হান (১৮), হাসান শেখ (১৯), মো. হাসনাইন (১৯), নাসির উদ্দিন আলবানী (১৯), জয় চন্দ্র ঘোষ (১৯)। অন্যদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলমের দাবি, আটক কিশোরদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভ টিজিং, চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা টিকটক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ করত। র‌্যাব ২ অধিনায়কের দাবি, বিভিন্ন এলাকায় এই কিশোরেরা দীর্ঘদিন রাস্তাঘাটে দলবদ্ধভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও সংঘাতের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করত। এভাবে এলাকায় ত্রাস তৈরি করেছিল তারা। এ ছাড়া আধিপত্য বজায় রাখতে অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষেও লিপ্ত হওয়ার নজিরও রয়েছে।
আটক কিশোরদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। তিনি বলেন, এদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এই কিশোরদের প্রভাবশালী কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাব ২ অধিনায়ক বলেন, ‘এরা শিশুদের মতো কাজ করেছে, তা নয়। এদের পৃষ্ঠপোষক আছে। যারা আটক আছে, তাদের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা আছে, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আমরা তাদের আটক করব। দলমত–নির্বিশেষ কোনো পরিচয় আমরা দেখব না। প্রভাবশালী নাকি প্রভাবশালী নয়—এগুলো আমরা না দেখে চেষ্টা করব এসব অপরাধে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের আইনের আওতায় আনা।’
তিনি বলেন, আটক কিশোরদের অনেকেই বিভিন্নভাবে চুল কাটিয়ে, রং করে টিকটক ভিডিও করত। অনেকের হাতে গ্যাংয়ের নাম লিখিত ট্যাটু আছে। অনেকে আবার গলার মধ্যে বিভিন্ন চেইন ঝুলিয়ে রেখেছে। এসবের মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করত। র‌্যাব ২-এর দাবি, গত এক মাসে তারা ১১টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন গ্রেপ্তার : এদিকে র‌্যাব ২ মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে গত রোববার ৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন মেয়ে ও ৪ জন ছেলে। এঁরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব ২ অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এঁদের থেকে মাদক কিনতেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য আটক

আপডেট সময় : ১২:৫৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

প্রতিবেদক ঢাকায় দুটি কিশোর গ্যাংয়ের ১৬ জনকে আটক করেছে র‌্যাব। কিশোর গ্যাং দুটো ‘ডন সাগর গ্রুপ’ ও ‘মুন্না গ্রুপ’ নামে পরিচিত। হাজারীবাগ ও দারুস সালাম এলাকা থেকে গত রোববার তাদের আটক করা হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার বছিলায় নিজেদের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব ২-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম সাংবাদিকদের জানান, আটক কিশোরদের কাছ থেকে ছুরি, চাপাতি, ক্ষুরসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শাকিল হাওলাদার (১৮), মুরাদ হোসেন (২০), মামুন খান (১৮), রিফাদ হোসেন (১৮), মো. রায়হান (১৮), হাসান শেখ (১৯), মো. হাসনাইন (১৯), নাসির উদ্দিন আলবানী (১৯), জয় চন্দ্র ঘোষ (১৯)। অন্যদের বয়স ১৩ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলমের দাবি, আটক কিশোরদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক সেবন, ইভ টিজিং, চাঁদাবাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা টিকটক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধ করত। র‌্যাব ২ অধিনায়কের দাবি, বিভিন্ন এলাকায় এই কিশোরেরা দীর্ঘদিন রাস্তাঘাটে দলবদ্ধভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও সংঘাতের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করত। এভাবে এলাকায় ত্রাস তৈরি করেছিল তারা। এ ছাড়া আধিপত্য বজায় রাখতে অন্যান্য কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষেও লিপ্ত হওয়ার নজিরও রয়েছে।
আটক কিশোরদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। তিনি বলেন, এদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলাও রয়েছে। এই কিশোরদের প্রভাবশালী কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করত কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাব ২ অধিনায়ক বলেন, ‘এরা শিশুদের মতো কাজ করেছে, তা নয়। এদের পৃষ্ঠপোষক আছে। যারা আটক আছে, তাদের সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা আছে, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। অনুসন্ধানের ভিত্তিতে আমরা তাদের আটক করব। দলমত–নির্বিশেষ কোনো পরিচয় আমরা দেখব না। প্রভাবশালী নাকি প্রভাবশালী নয়—এগুলো আমরা না দেখে চেষ্টা করব এসব অপরাধে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করে, তাদের আইনের আওতায় আনা।’
তিনি বলেন, আটক কিশোরদের অনেকেই বিভিন্নভাবে চুল কাটিয়ে, রং করে টিকটক ভিডিও করত। অনেকের হাতে গ্যাংয়ের নাম লিখিত ট্যাটু আছে। অনেকে আবার গলার মধ্যে বিভিন্ন চেইন ঝুলিয়ে রেখেছে। এসবের মাধ্যমে তারা ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করত। র‌্যাব ২-এর দাবি, গত এক মাসে তারা ১১টি কিশোর গ্যাংয়ের মোট ৬২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ জন গ্রেপ্তার : এদিকে র‌্যাব ২ মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে গত রোববার ৬ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে। মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া এলাকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন মেয়ে ও ৪ জন ছেলে। এঁরা সবাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাঁদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব ২ অধিনায়ক বলেন, বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা এঁদের থেকে মাদক কিনতেন।