ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

গ্রামেও ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেবে সরকার

  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গ্রামেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। এজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের ডাকঘরগুলোকে প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করার পাশাপাশি গ্রামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিটিসিএল’র ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ি বা ধর্মপাশার মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার দরগ্রামে অবস্থিত দেশের প্রথম ডিজিটাল পল্লীতেও বিটিসিএল’র ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
গত শুক্রবার দরগ্রাম ডিজিটাল পল্লী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তির শক্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছে। আমাদের এই যাত্রার লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। উচ্চগতির ইন্টারনেটের মহাসড়ক ধরেই গ্রামের তাঁতি, কুমার, কৃষক— সবার ই-কমার্সে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। সে জন্য ডাকসেবাকে ডিজিটালে রূপান্তর করছি। তিনি আরও জানান, সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৩ কিলোমিটার ক্যাবল টেনে হলেও এখানে ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁতিদের শৈল্পিক সত্তার বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
ই-কমার্স ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সেবা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার মাটি ও সোনার মানুষকে সম্পদে রূপান্তর করে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করবো। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বিজয় ডিজিটাল লিমিটেডের সিইও জেসমিন জুই, ডিজিটাল পল্লী প্রকল্পের পরামর্শক ইব্রাহিম খলিল এবং উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে স্থানীয় অনেকের সুখ-দুঃখের কথা শুনে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যেমন একদিন অবিশ্বাস্য ছিল, তা আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে; তেমনি বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম একদিন ডিজিটাল পল্লী হবে। ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে ডিজিটাল উদ্যোক্তা।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

গ্রামেও ব্রডব্যান্ড পৌঁছে দেবে সরকার

আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, গ্রামেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হবে। এজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের ডাকঘরগুলোকে প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করার পাশাপাশি গ্রামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিটিসিএল’র ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ি বা ধর্মপাশার মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার দরগ্রামে অবস্থিত দেশের প্রথম ডিজিটাল পল্লীতেও বিটিসিএল’র ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
গত শুক্রবার দরগ্রাম ডিজিটাল পল্লী পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তির শক্তিতে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে যাত্রা করেছে। আমাদের এই যাত্রার লক্ষ্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। উচ্চগতির ইন্টারনেটের মহাসড়ক ধরেই গ্রামের তাঁতি, কুমার, কৃষক— সবার ই-কমার্সে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যকে বিশ্বে ছড়িয়ে যাবে। সে জন্য ডাকসেবাকে ডিজিটালে রূপান্তর করছি। তিনি আরও জানান, সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১৩ কিলোমিটার ক্যাবল টেনে হলেও এখানে ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তাঁতিদের শৈল্পিক সত্তার বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
ই-কমার্স ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সেবা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার মাটি ও সোনার মানুষকে সম্পদে রূপান্তর করে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত করবো। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, বিজয় ডিজিটাল লিমিটেডের সিইও জেসমিন জুই, ডিজিটাল পল্লী প্রকল্পের পরামর্শক ইব্রাহিম খলিল এবং উপজেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পরিদর্শনকালে স্থানীয় অনেকের সুখ-দুঃখের কথা শুনে তাদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যেমন একদিন অবিশ্বাস্য ছিল, তা আজ বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে; তেমনি বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম একদিন ডিজিটাল পল্লী হবে। ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে ডিজিটাল উদ্যোক্তা।