ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

  • আপডেট সময় : ০২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে


প্রত্যাশা ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাভাইরাস মহামারী ও রাজ্যে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতার ছায়ায় রাজভবনে খুবই সীমিত আয়োজনে গতকাল বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাকে শপথ পড়ান। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর পরনে ছিল তার বরাবরের পোশাক সাদা শাড়ি ও শাল।
মন্ত্রিপরিষদের বাকি সদস্যরা ৯ মে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীর দিনে শপথ নেবেন বলে দলের নেতাদের উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে
২০১১ ও ২০১৬ সালের মতো এবার শপথ অনুষ্ঠানে কোনো আড়ম্বর বা বড় আয়োজন নেই।করোনাভাইরাসের সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রাজভবনের হলে সীমাবদ্ধ রাখা হয় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় কলকাতার কিছু বিশিষ্ট মানুষ ও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন রয়েছেন ক্রিকেট কিংবদন্তী সৌরভ গাঙ্গুলী, তৃণমূল কংগ্রেস এমপি অভিষেক ব্যানার্জি, নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও দলের নেতা ফিরহাদ হাকিম।
প্রথমবার রাজভবনের ময়দানে বিরাট মঞ্চ তৈরি করে বৃহৎ জনসমাগমে হয়েছিল মমতার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয়বার মমতার শপথ হয়েছিল রেড রোডে; দেশের বিজেপিবিরোধী সব নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এবার কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।
প্রথমবারের মতোই এবারও মমতা বিধায়ক না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিচ্ছেন। নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে তার এক সময়কার ডানহাত বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। সেই ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল; ফল চ্যালেঞ্জ আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১১ সালে সরকার ক্ষমতায় এলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক নিয়মরক্ষা করেন মমতা। ২০১৬ সালে অবশ্য সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভবানীপুর থেকে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। এবার নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন। তবে ১৮০ উপনির্বাচনে তাকে জয়ী হতে হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, গতবারের চেয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২১৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা।
জয় পাওয়ার পর বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাদের দায়িত্বের পাশাপাশি প্রাথমিক লক্ষ্য মহামারী নিয়ন্ত্রণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

তৃতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা

আপডেট সময় : ০২:৩২:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মে ২০২১


প্রত্যাশা ডেস্ক : তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাভাইরাস মহামারী ও রাজ্যে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতার ছায়ায় রাজভবনে খুবই সীমিত আয়োজনে গতকাল বুধবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাকে শপথ পড়ান। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর পরনে ছিল তার বরাবরের পোশাক সাদা শাড়ি ও শাল।
মন্ত্রিপরিষদের বাকি সদস্যরা ৯ মে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীর দিনে শপথ নেবেন বলে দলের নেতাদের উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানিয়েছে
২০১১ ও ২০১৬ সালের মতো এবার শপথ অনুষ্ঠানে কোনো আড়ম্বর বা বড় আয়োজন নেই।করোনাভাইরাসের সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে রাজভবনের হলে সীমাবদ্ধ রাখা হয় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় কলকাতার কিছু বিশিষ্ট মানুষ ও কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন রয়েছেন ক্রিকেট কিংবদন্তী সৌরভ গাঙ্গুলী, তৃণমূল কংগ্রেস এমপি অভিষেক ব্যানার্জি, নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ও দলের নেতা ফিরহাদ হাকিম।
প্রথমবার রাজভবনের ময়দানে বিরাট মঞ্চ তৈরি করে বৃহৎ জনসমাগমে হয়েছিল মমতার মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ। ওই অনুষ্ঠানে তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয়বার মমতার শপথ হয়েছিল রেড রোডে; দেশের বিজেপিবিরোধী সব নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এবার কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়েছে।
প্রথমবারের মতোই এবারও মমতা বিধায়ক না হয়েই মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিচ্ছেন। নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে তার এক সময়কার ডানহাত বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। সেই ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল; ফল চ্যালেঞ্জ আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১১ সালে সরকার ক্ষমতায় এলে ভবানীপুর উপনির্বাচনে জিতে সাংবিধানিক নিয়মরক্ষা করেন মমতা। ২০১৬ সালে অবশ্য সাধারণ নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ভবানীপুর থেকে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। এবার নন্দীগ্রামে পরাজিত হয়েও তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন। তবে ১৮০ উপনির্বাচনে তাকে জয়ী হতে হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, গতবারের চেয়ে শক্তি বাড়িয়ে ২১৫টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা।
জয় পাওয়ার পর বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী তাদের দায়িত্বের পাশাপাশি প্রাথমিক লক্ষ্য মহামারী নিয়ন্ত্রণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।