ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নির্বাচনে বিপর্যস্ত মাখোঁর দল

  • আপডেট সময় : ১১:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের স্থানীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এবং বিরোধী নেতা মারিন লে পেন—কারও দলই পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো ভোট পাচ্ছে না। ভোটের পর বুথফেরত জরিপসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এই ভোট হয়েছে। ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়ার জন্য যে পরিমাণ ভোট পাওয়া দরকার, তার থেকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোট কম পেতে পারে মাখোঁর দল। এই জরিপ প্রকাশের পর মাখোর দলের এক আইনপ্রণেতা ওহ বের্গ বলেন, এটা ছিল চপেটাঘাত।
ভোটের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে পারে লে পেনের দল ন্যাশনালিস্ট র‌্যালি পার্টি। যদিও ধারণা করা হচ্ছিল, এ নির্বাচনে শীর্ষে থাকবে তাঁর দল। এ ছাড়া অন্তত একটি অঞ্চলে তাঁর দল জয়লাভ করবে। কিন্তু তা হয়নি।
লে পেন এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন না। কিন্তু দলের এবারের নির্বাচনী প্রচারের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমকে ‘নাগরিক বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
লে পেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা বাড়াতে যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তিনি বলেন, এ কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসেননি। নির্বাচনীব্যবস্থার ওপর মানুষের অনাস্থার কারণে এমনটা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ফ্রান্সের এ স্থানীয় নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ, এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে, এই ভোটের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে ভোটারদের মনোভাব বোঝা যাচ্ছে।
ফ্রান্সভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসসের জরিপ অনুসারে মাখোঁর দল এলআরইএম ভোট পেতে পারে ১২ শতাংশ, লেজ রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ২৭ শতাংশ, লে পেনের দল পেতে পারে ১৯ শতাংশ। এরপর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে গ্রিন পার্টি ও সোশ্যালিস্ট পার্টি।
ইপসস বলেছে, ভোটের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে মাখোঁর দল। তাঁর দল এই প্রথম আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কারণ, ২০১৫ সালে যখন এই নির্বাচন হয়, তখন দলটির অস্তিত্বই ছিল না। ফলে, দলটির ভালো করার খুব প্রত্যাশাও ছিল না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে বিপর্যস্ত মাখোঁর দল

আপডেট সময় : ১১:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফ্রান্সের স্থানীয় নির্বাচনের প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এবং বিরোধী নেতা মারিন লে পেন—কারও দলই পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো ভোট পাচ্ছে না। ভোটের পর বুথফেরত জরিপসূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার এই ভোট হয়েছে। ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়ার জন্য যে পরিমাণ ভোট পাওয়া দরকার, তার থেকে কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোট কম পেতে পারে মাখোঁর দল। এই জরিপ প্রকাশের পর মাখোর দলের এক আইনপ্রণেতা ওহ বের্গ বলেন, এটা ছিল চপেটাঘাত।
ভোটের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকতে পারে লে পেনের দল ন্যাশনালিস্ট র‌্যালি পার্টি। যদিও ধারণা করা হচ্ছিল, এ নির্বাচনে শীর্ষে থাকবে তাঁর দল। এ ছাড়া অন্তত একটি অঞ্চলে তাঁর দল জয়লাভ করবে। কিন্তু তা হয়নি।
লে পেন এবারের নির্বাচনে লড়াই করছেন না। কিন্তু দলের এবারের নির্বাচনী প্রচারের নেতৃত্বে রয়েছেন তিনি। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমকে ‘নাগরিক বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
লে পেন বলেন, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা বাড়াতে যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তাতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। তিনি বলেন, এ কারণে প্রায় ৭০ শতাংশ ভোটার ভোটকেন্দ্রে আসেননি। নির্বাচনীব্যবস্থার ওপর মানুষের অনাস্থার কারণে এমনটা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। ফ্রান্সের এ স্থানীয় নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গেই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কারণ, এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে, এই ভোটের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সে ভোটারদের মনোভাব বোঝা যাচ্ছে।
ফ্রান্সভিত্তিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইপসসের জরিপ অনুসারে মাখোঁর দল এলআরইএম ভোট পেতে পারে ১২ শতাংশ, লেজ রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পেতে পারে ২৭ শতাংশ, লে পেনের দল পেতে পারে ১৯ শতাংশ। এরপর পরের অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে গ্রিন পার্টি ও সোশ্যালিস্ট পার্টি।
ইপসস বলেছে, ভোটের দিক থেকে পঞ্চম অবস্থানে মাখোঁর দল। তাঁর দল এই প্রথম আঞ্চলিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কারণ, ২০১৫ সালে যখন এই নির্বাচন হয়, তখন দলটির অস্তিত্বই ছিল না। ফলে, দলটির ভালো করার খুব প্রত্যাশাও ছিল না।